এইচবিওর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মামলা

মাইকেল জ্যাকসন
মাইকেল জ্যাকসন

চুক্তি ভঙ্গের দায়ে টেলিভিশন চ্যানেল এইচবিওর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মামলা করেছেন মাইকেল জ্যাকসনের তত্ত্বাবধায়কেরা। পপ গায়ক মাইকেল জ্যাকসন দুই শিশুকে যৌন হয়রানি করেছিলেন, এই ঘটনা নিয়েই প্রামাণ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ নির্মাণ করেছে এইচবিও। জ্যাকসন তত্ত্বাবধায়কদের দাবি, বহু বছর আগে মীমাংসিত মিথ্যে এ ঘটনাটিকে পুনরায় সামনে নিয়ে এসে চ্যানেলটি জ্যাকসনের সঙ্গে চুক্তি ভেঙেছে।

১৯৯২ সালে ‘বুখারেস্ট: দ্য ডেঞ্জারাস ট্যুর’ কনসার্টটি প্রচারের আগে এইচবিওর সঙ্গে মাইকেল জ্যাকসনের চুক্তি হয়। চুক্তির একটি ধারা ভেঙে এইচবিও জ্যাকসনকে নিয়ে বিতর্কিত এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ ও প্রচার করতে যাচ্ছে। গত মাসের ২৫ তারিখ সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যচিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে।

জ্যাকসনের তত্ত্বাবধায়কেরা ৫৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, তথ্যচিত্রটি অপপ্রচারমূলক ও একপেশে। এক পক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতে নির্মিত এ তথ্যচিত্র শিল্পীর সম্মানহানির উদ্দেশ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি কোনো সত্যতাও নিশ্চিত করা হয়নি। মামলার সালিসির জন্য এইচবিওকে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।

মাইকেল জ্যাকসনের অ্যাটর্নি হাওয়ার্ড উইজম্যান জানান, এইচবিওকে প্রমাণ করতে হবে যে সার্বিক বাস্তবতার নিরিখে সত্য ও ভারসাম্য রেখেই তারা তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছে। অন্যদিকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বলছে, মামলা-মোকদ্দমায় তারা দমছে না, এমনকি তথ্যচিত্র প্রচার বন্ধ করবে না। যথাসময়েই ৪ ঘণ্টার এ তথ্যচিত্রটি দুই পর্বে প্রচার করবে তারা।

কথিত আছে, মাইকেল জ্যাকসন তাঁর জীবদ্দশায় ৭ ও ১০ বছর বয়সী দুই বালককে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। তাঁরা এখন ৩০ বছরের যুবক। তাঁদের ভাষ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ওই তথ্যচিত্র। এ দুজনের একজন ওয়েড রবসন এখন একজন কোরিওগ্রাফার। ব্রিটনি স্পিয়ার্সসহ নামী সব শিল্পী নিয়ে কাজ করেন তিনি।

মাইকেল জ্যাকসনের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার এক কিশোরের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৩ সালে পুলিশ তাঁর ক্যালিফোর্নিয়ার খামারবাড়ি ‘নেভারল্যান্ড’-এ তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই খামারবাড়ির নামানুসারে তথ্যচিত্রের নামকরণ করা হয়েছে। জ্যাকসনের তত্ত্বাবধায়কদের দাবি, তথ্যচিত্রে ওয়েড রবসন ও জেমস সেফচাককে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে, জ্যাকসনের ঘনিষ্ঠ অন্য সবাই সেখানে রীতিমতো উপেক্ষিত। জ্যাকসন কখনোই শিশুদের সঙ্গে বাজে আচরণ করতেন না। বরং সব সময় তিনি তাদের আদর করতেন।

‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে পরিচালক রিড, এইচবিও এবং চ্যানেল ফোর। মার্চের ৬ ও ৭ তারিখে যুক্তরাজ্যে চ্যানেল ফোরে তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে। তথ্যসূত্র: গার্ডিয়ান