আগামীর নির্মাতার খোঁজে

‘আগামীর নির্মাতা’ প্রতিযোগিতার তিন বিচারক অমিতাভ রেজা, রুবাইয়াত হোসেন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
‘আগামীর নির্মাতা’ প্রতিযোগিতার তিন বিচারক অমিতাভ রেজা, রুবাইয়াত হোসেন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

আপনার মনে যদি কোনো গল্প থাকে আর যদি থাকে সেই গল্পে ছবি নির্মাণের স্বপ্ন, তাহলে আপনার সঙ্গে আছে মেরিল–প্রথম আলো ফেইম ফ্যাক্টরি। মেরিল–প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে তরুণ নির্মাতাদের জন্য আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার নাম ‘আগামীর নির্মাতা’।
৪০ বছরের নিচে যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক টেলিভিশন, ইউটিউব, ফেসবুকসহ যেকোনো মাধ্যমের জন্য ফিকশন কিংবা নন–ফিকশন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেছেন, তাঁরা এ প্রতিযোগিতায় আবেদন করতে পারবেন।
এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে সেরা ১০০ তরুণ নির্মাতাকে বেছে নেওয়া হবে। এই প্রতিযোগিতার তিন বিচারক হলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অমিতাভ রেজা ও রুবাইয়াত হোসেন। বাছাই করা ১০০ তরুণ নির্মাতাকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে একটি কর্মশালা, যা পরিচালনা করবেন দেশসেরা নির্মাতা ও কলাকুশলীরা।
‘আগামীর নির্মাতা’ নিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘প্রয়াত নির্মাতা তারেক মাসুদ বলতেন, “আমি শিং ভেঙে বাছুর হতে চাই, তাই আমি তরুণদের কাছে আসি।” আমারও এই আগামীর নির্মাতা প্রজেক্টে যুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্য এটাই। আমি শিং ভেঙে বাছুর হতে চাই। আমি তরুণদের মনোজগৎ সম্পর্কে জানতে চাই।’
সেরা ১০০ জনের কর্মশালা ও প্রতিযোগিতায় পাঠানো কাজ বিচার করে ১০ জনকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে, যাঁদের প্রত্যেকে একটি করে মোট ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানানোর সুযোগ পাবেন এবং এতে তাঁরা সহযোগিতা পাবেন মেরিল ও প্রথম আলোর পক্ষ থেকে।
অমিতাভ রেজা বলেন, ‘আমিও যখন ছোট ছিলাম, তখন ছবি তৈরি করতে চাইতাম। কিন্তু মেরিল–প্রথম আলো যে সুযোগটা দিয়েছে, এত সুন্দর সুযোগ আমরা আমাদের সময় পাইনি। আমি জানি, এখনো তরুণ–তরুণীরা ছবি তৈরি করতে চায়। এটা তাদের সৌভাগ্য যে তারা এই সুযোগ পাচ্ছে।’
১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থেকে বিচারকদের রায় ও দর্শকদের ভোটে বেছে নেওয়া হবে সেরা তিন নির্মাতাকে। এই তিনজন তাঁদের স্বপ্নের চলচ্চিত্র নির্মাণের সুযোগ পাবেন। শুধু তা–ই নয়, বিজয়ী নির্মাতারা সুযোগ পাবেন কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক বিভাগ ‘মার্শ দ্যু ফিল্ম’–এ অংশ নেওয়ার।
নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নতুন নির্মাতারা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
আগামীর তারকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার শেষ তারিখ ১৮ মার্চ। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে, www.merilprothomalo.com ঠিকানায়।

পুরস্কারের বাইরে একটু কিছু
কবির বকুল
এ দেশে সম্মানজনক এবং গ্রহণযোগ্য যে কটি স্বীকৃত পুরস্কার, তার মধ্যে ‘মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার’ একটি। ১৯৯৯ সালের ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের প্রথম আয়োজন। গত ২০ বছর ধরে আমরা এই পুরস্কার প্রদান করে আসছি। এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য আমাদের শিল্পীদের সম্মান জানানো, সংস্কৃতির পুরোধা ব্যক্তিদের অভিবাদন জানানো। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই পুরস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে একটা প্রশ্ন ছিল, মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার শুধু কি পারফরমিং আর্টের সব কুশীলবকে অভিনন্দন জানানোর জন্যই বা ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই? প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ওই বছর ‘মেরিল–প্রথম আলো সহায়তা তহবিল’ করা হয়েছিল। সেই তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে এখনো সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু পুরস্কারের বাইরে আর কী করা যায়, যার মাধ্যমে মেরিল–প্রথম আলো মঞ্চটি আরও বেশি আলোকিত হবে। সেই ভাবনা থেকেই নতুন এই উদ্যোগ ‘আগামীর নির্মাতা’। ভাবনাটি স্কয়ার টয়লেট্রিজের পরিচালক সাইয়িদ মোহাম্মদ মালিকের। এ বছর থেকে আমরা শুরু করছি মেরিল–প্রথম আলোর নতুন মঞ্চ ‘ফেইম ফ্যাক্টরি’। প্রতিভাবান তরুণদের ছোট স্বপ্নকে সত্যি করার এই নতুন আয়োজন।

প্রিয় পাঠক,
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন তারকার কাজ আপনার ভালো লেগেছে, তা জানান কুপন পাঠিয়ে, এসএমএস, অনলাইন বা ফেসবুকে। প্রিয় তারকার নাম ও কোড নম্বরসংবলিত কুপনটি পাবেন আজকের মূল পত্রিকায়। কুপন পাঠিয়ে আপনি জিতে নিতে পারেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। লটারির মাধ্যমে বাছাই করা হবে বিজয়ী।