৩০ বছরে ইত্যাদি

১. ২০০১ সালের মার্চে প্রচারিত ‘ইত্যাদি’তে একটি দেশাত্মবোধক গানের দৃশ্যে হানিফ সংকেতের সঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ ও আইয়ুব বাচ্চু। ২. – ১৯৯৩ সালের ‘ইত্যাদি’তে প্রয়াত এম আর আখতার মুকুল ও হানিফ সংকেত। ৩. ১৯৯০ সালের ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে সুরকার সত্য সাহা ও ভাষাসৈনিক আবদুল লতিফ। ৪. ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার আনন্দে ক্রিকেট নিয়ে গান নির্মাণ করেন হানিফ সংকেত। এটি প্রচারিত হয় ১৯৯৭ সালের ২৯ মে।
১. ২০০১ সালের মার্চে প্রচারিত ‘ইত্যাদি’তে একটি দেশাত্মবোধক গানের দৃশ্যে হানিফ সংকেতের সঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ ও আইয়ুব বাচ্চু। ২. – ১৯৯৩ সালের ‘ইত্যাদি’তে প্রয়াত এম আর আখতার মুকুল ও হানিফ সংকেত। ৩. ১৯৯০ সালের ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে সুরকার সত্য সাহা ও ভাষাসৈনিক আবদুল লতিফ। ৪. ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার আনন্দে ক্রিকেট নিয়ে গান নির্মাণ করেন হানিফ সংকেত। এটি প্রচারিত হয় ১৯৯৭ সালের ২৯ মে।

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির বয়স হচ্ছে ৩০। এই ৩০ বছরে মানুষের মনে এখনো ইত্যাদির জায়গা আছে আগের মতো। বিষয়বৈচিত্র্য আর বিনোদন, দুটোই হাত ধরাধরি করে চলে অনুষ্ঠানটিতে। ইত্যাদির ৩০ বছর উপলক্ষে প্রথম আলোর মুখোমুখি বসেছিলেন এর পরিচালক, রচয়িতা ও পরিকল্পনার পেছনের মানুষ ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত। কথা বলেছেন ইত্যাদির দুটি প্রসঙ্গে ছয় ঘটনা নিয়ে।

মিরপুরের ফাগুন অডিও ভিশনের অফিসের দ্বিতীয় তলার কক্ষটা সুনসান। বেশ কজন কর্মী নীরবে কাজ করে চলেছেন। হানিফ সংকেত ছিলেন ভেতরে। দ্বিতীয় তলার অফিসে ঢুকতেই ভেতরে ডাকলেন। গত সোমবার বিকেলে হানিফ সংকেতের সঙ্গে আলাপ শুরু হলো ইত্যাদি নিয়েই। তবে গতানুগতিক নয়। দুটো বিষয়ে শুরু হয় কথা। ইত্যাদির হাত ধরে যাঁদের প্রতিভা আর কর্ম উঠে এসেছে সবার সামনে, তাঁদের গল্প। সেই সঙ্গে জানালেন ইত্যাদি করতে গিয়ে বিপদের মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে।

ইত্যাদির হাত ধরে...
ইত্যাদির হাত ধরে অনেকেই তারকা হয়েছেন। সে তালিকা লম্বা। তবে এমন তিনজন মানুষের কথা হানিফ সংকেত আমাদের বললেন, যাঁরা একবারে মাটি থেকে উঠে আসা। তাঁদের নিয়ে শুরুতেই বললেন, এখন সবাই অনেক বড় তারকা। তাঁরা ক্যারিয়ারের শুরুতে ইত্যাদিতে পা রেখেছিলেন। রেখেছিলেন প্রতিভার স্বাক্ষর।

মমতাজ ও হানিফ সংকেত, ২০০০
মমতাজ ও হানিফ সংকেত, ২০০০

মানিকগঞ্জ থেকে সারা দেশের মমতাজ

হানিফ সংকেত খবর পেয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় সারা রাত জারিগান, পালাগান করেন মমতাজ নামের এক শিল্পী। তাঁর শতাধিক ক্যাসেটও বের হয়েছে। মানিকগঞ্জসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় তিনি। খবর পেয়ে লোক পাঠান তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। কিন্তু খুব বেশি পাত্তা দেন না শুরুতে। তিনি নিয়মিত পালাগানই করতে চান। টেলিভিশনে গান করার কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর। এটা ২০০০ সালের ঘটনা। পরে হানিফ সংকেতের অনুরোধে তাঁর অফিসে আসেন। তাঁকে বুঝিয়ে বলেন হানিফ সংকেত, ‘গানটা আপনি ভালো করেন। এটা মানুষকে শুনতে দিন। আপনার গলায় মাটির সুর আছে। এখানে গাইলে শুধু গ্রামে গ্রামে নয়, ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে আপনার গান।’ তিনি রাজি হলেন। পরের ঘটনা এগিয়ে গেল তুমুল গতিতে। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানকে দিয়ে ‘রিটার্ন টিকিট হাতে নিয়া’ শিরোনামের একটি গান লেখালেন। তারপর সুর আর কম্পোজিশান করতে যন্ত্রীদের নিয়ে হানিফ সংকেত নিজেই বসে গেলেন। সেটা এক টেকে গেয়ে ফেললেন মমতাজ। গানের শুটিংয়ে একটু বিপত্তি হয়েছিল। কারণ, শুটিংয়ের সময় তাঁর পরে আসা শাড়িটা ঠিক গানের মেজাজের সঙ্গে যাচ্ছিল না, তাই তাত্ক্ষণিকভাবে নতুন একটা শাড়ি এনে তাঁকে পরিয়ে শেষ করা হয় শুটিং। তারপর থেকে পুরো দেশে জনপ্রিয় হয়ে যান মমতাজ।

ইত্যাদির মঞ্চে আকবর, ২০০৩
ইত্যাদির মঞ্চে আকবর, ২০০৩

আকবরের পাখি হয়ে ওড়ার গল্প

২০০৩ সালের ঘটনা। অনেকের মতো আকবরও চিঠি লিখেছিলেন ইত্যাদির ঠিকানায়। বেশ কয়েকজনসহ আকবর ডাক পেলেন দেখা করার। ফাগুন অডিও ভিশনের অফিসেই বসে ছিলেন সবাই। একে একে সবার গান শোনেন হানিফ সংকেত। কিন্তু মনে ধরে যায় আকবরের গান। তখনই হানিফ সংকেত সিদ্ধান্ত নেন আকবরকে দিয়ে গান করাবেন। সেই ঘটনা মনে করে তিনি বলেন, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করি সংগীত পরিচালক রিপন খানের সঙ্গে। তাঁর কাছে কিশোর কুমারের মিউজিক ট্র্যাক আছে জেনে নিয়ে ওই রাতেই পাঠিয়ে দিলাম আকবরকে। কারণ, মিউজিকের সঙ্গে গানটা গাইতে পারবে কি না সেটা জানা দরকার। রিপন আকবরের কয়েকটা গানের মুখটুকু রেকর্ডিং করে পাঠালেন। সেই রাতে এখানে এসে থাকলেন আকবর। পরের দিন ওর সঙ্গে আলাপ করলাম এবং গানগুলো শুনলাম। তারপরের ঘটনা তো সবাই জানেন। ইত্যাদির পরে প্রকাশ পেল তাঁর অ্যালবাম। তারকা হয়ে গেলেন আকবর। অনেকেই ভাবতেন শুধু কিশোর কুমারের গান গাইতে পারেন তিনি। পরে তাঁর মৌলিক গান গাওয়ার ব্যবস্থা করি। যার মডেল ছিলেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা।’ আর গানটি ছিল মোহাম্মদ রফিজউজ্জামানের লেখা, ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে...।’ সেটিও তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

পলান সরকারের সঙ্গে হানিফ সংকেত
পলান সরকারের সঙ্গে হানিফ সংকেত

পলান সরকারের গল্প

আমি খোঁজ পেলাম পলান সরকার বলে একজন আছেন রাজশাহীতে। প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। সঙ্গে থাকে বই। তিনি গ্রামে গ্রামে বই বিলি করে বেড়ান। ঘটনার সত্যতা জানতে আমি আমার একটি দল পাঠালাম। তারা বিষয়টি জেনে এল। তারপর পাঠালাম ক্যামেরাসহ একটা টিম। কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে ওই দল দেখল পলান সরকারের সংগ্রহে খুব বেশি বই নেই। তখন নতুন করে কিছু বই কিনে দেওয়া হলো। শেষ করা হলো শুটিং। পলান সরকারের উদ্দেশ্য মহৎ। আমরা প্রচারের পর তাঁকে নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে যায়। একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান তাঁকে নিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেন। প্রথম আলো অনেক বড় ফিচার প্রকাশ করে। সবশেষে একুশে পদক পান তিনি। তাঁকে সামনে নিয়ে আসাটা ইত্যাদির অর্জন।

ইত্যাদি করতে গিয়ে যত দুর্ঘটনা

ইত্যাদির শুটিং, মহড়া ও শুটিং স্পট দেখতে গিয়ে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন হানিফ সংকেত এবং ইত্যাদির দল। তারই কিছু বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

মহড়া থেকে ফিরতে

১৯৯৪ সালের ঘটনা। ঈদের জন্য একটা ইত্যাদি নির্মাণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। টাঙ্গাইলের ভারতেশ্বরী হোমসের শিশু–কিশোর শিক্ষার্থীদের দিয়ে একটা কোরিওগ্রাফি করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে কয়েক দিন মহড়া চলতে থাকে। ঢাকা থেকে গিয়ে হানিফ সংকেত মহড়া করিয়ে এসেছেন। তো একদিন মহড়া করে ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ক্যামেরাম্যান গোলাম মোস্তফা বাচ্চু ও সহকারী আনোয়ার। গাড়ি চালাচ্ছিলেন হানিফ সংকেত। হঠাৎ দেখলেন গাড়ির সামনে দিয়ে একটা বাচ্চা দৌড় দিয়েছে। গাড়ির গতি তখন ৮০ কিলোমিটার । এই সময় কী করার আছে? রাস্তার একপাশে খাল। আরেক পাশে গাছ। হানিফ সংকেত সোজা গাড়িটা লাগিয়ে দিলেন গাছের সঙ্গে। হাতে, পায়ে ও মাথায় আঘাত পান। কুমুদিনী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা শেষে যেতে হয় দেশের বাইরে।

সুনামগঞ্জের টেকেরঘাটে ‘ইত্যাদি’র সেটে দর্শকের পাহাড়
সুনামগঞ্জের টেকেরঘাটে ‘ইত্যাদি’র সেটে দর্শকের পাহাড়

ছিনতাইকারীর কবলে

২০০৭ সালের একটি ইত্যাদির জন্য পান্থপথের একজন সংগীত পরিচালকের কাছে এসেছিলেন হানিফ সংকেত। সেটা ছিল একটি নাচের মিউজিক তৈরির কাজ। টানা কয়েক দিন ধরেই করছিলেন। কিন্তু যেদিনের ঘটনা সেদিন ছিল শেষ দিন। কাজ শেষ করতে করতে রাত একটার মতো বেজে যায়। তিনি নেমে গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গাড়িটি চালু হয় না। সেখানে কাজ করছিলেন কিছু শ্রমিক। তাঁদের সহযোগিতা নেন চালক ও হানিফ সংকেত। কিন্তু গাড়ি কিছু দূর গিয়ে আবার বন্ধ হয়ে যায়। সেই ঘটনার কথা মনে করে হানিফ সংকেত বলেন, ‘ওই সময় আমার গাড়ির চালককে বাসায় রাখা গাড়িটা নিয়ে আসতে বলি। সঙ্গে রশি। যাতে করে ওটার সঙ্গে এটা বেঁধে নিয়ে যাওয়া যায়। চালক আমাকে বলল এখানে এত রাতে একা একা আমার দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপদ নয়। তার চেয়ে বরং আমি যেন যাই। ওর কথামতো রওনা দিই। আমার বাসাও বেশি দূরে না। ধানমন্ডিতে। সেদিন ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট খেলা চলছিল। এ কারণে রাস্তাঘাট সুনসান। আমি হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলছিলাম আনোয়ার হোসেন বুলুর সঙ্গে। ধানমন্ডির লেক ধরে হাঁটছিলাম। পানসি রেস্টুরেন্টের কাছে যেতেই একটা হলুদ ট্যাক্সিক্যাব এসে সামনে দাঁড়াল। ঠাস ঠাস করে চারটা দরজা খুলে গেল। বের হলো কয়েকজন। হাতে অস্ত্র। আমি ফোনটা ফেলে দিয়েই দৌড় দিলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। তাদের অস্ত্রের আঘাত ঠিকই আমার পিঠে পড়ল। রক্ত পড়তে লাগল। পরে আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো কাছের ল্যাবএইড হাসপাতালে। ১২টা সেলাই লেগেছিল ওই দিন।’

বৃষ্টি বিড়ম্বনা

এই বিড়ম্বনা সম্পর্কে বলার আগে হানিফ সংকেত বললেন, ‘আবহাওয়া অফিস নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেন। কিন্তু আমি যেকোনো জায়গায় অনুষ্ঠান করার আগে আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা যে তথ্যই আমাকে দেয় সেটা একেবারে হুবহু মিলে যায়। আমি এ কারণে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

২০০৯ সালের মে মাসের ১০ তারিখে কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধবিহারে ইত্যাদির শুটিংয়ের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই বিহারের পুরো মাঠ ভরে যায়। বৌদ্ধবিহারের সীমানাপ্রাচীরেও অসংখ্য মানুষ বসে যায়। অনুষ্ঠান শুরু করার আগে আগে আবহাওয়া অফিস থেকে ফোন করে হানিফ সংকেতকে। বলে, রাত ১২টার আগে যেন অনুষ্ঠান শেষ করা হয়। ঝড় হতে পারে সঙ্গে বাতাস। এটা শুনে সবাই দ্রুত কাজ করতে থাকেন। ১১টা ৫০ মিনিটে শেষ হয় সেই অনুষ্ঠান। গোছানোর আয়োজন শুরু হয়। কিন্তু ঠিক রাত ১২টায় শুরু হয় ঝড়। পুরো সেট লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় লাইট, ক্যামেরাসহ অনেক কিছুই। এ রকম অসংখ্য ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে আজকের এই ৩০ বছরের ইত্যাদি।

কথা শেষ করতে হয়। শেষ করার আগে আগে জানতে চাইলাম, এই ৩০ বছরের ইত্যাদিতে আপনার অনুভূতি কী?

উপস্থাপনার মতোই বেশ গুছিয়ে উত্তর দেন হানিফ সংকেত। ‘অবশ্যই ভালো। কারণ এই দীর্ঘ সময়ে মানুষের অনেক ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছি। আর এই ভালোবাসার কারণেই এখনো নানান সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও অনুষ্ঠানটি করছি। কিছু অসহায় মানুষ ও তাদের পরিবারের মুখের হাসি আমার প্রধান প্রাপ্তি। যখন দেখি ইত্যাদিতে দেখানো প্রচারবিমুখ মানুষগুলো রাষ্ট্রীয় সম্মান পান, ভালো লাগে। ইত্যাদির প্রতিবেদন দেখে কেউ যখন অনুপ্রাণিত হয়ে জনকল্যাণে এগিয়ে আসেন তখন আমরা আনন্দ পাই। দীর্ঘ ৩০ বছরে ইত্যাদির বিভিন্ন মানবিক প্রতিবেদন, নানা রকম জীবনের গল্প মনুষ্যত্বের বোধকে দাঁড় করিয়েছে বিবেকের কাঠগড়ায়। এসব মানুষের কাজ দেখে মমতায় আর্দ্র হয়েছে কোটি দর্শকের চোখ। তখন আবেগে আপ্লুত হয়েছি।’

৩০ বছর বয়সী ইত্যাদি

আগামীকাল শুক্রবার রাত আটটার সংবাদের পর বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে দেখানো হবে ইত্যাদির নতুন পর্ব। ইত্যাদির ৩০তম বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের প্রথম পর্ব এটি। এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে কুয়াকাটায় সমুদ্রসৈকতের ধারে। বরাবরের মতো এবারের পর্বটিও রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।