আজীবন সম্মাননা পেয়ে গর্বিত কবরী

বিএফটিসিসি আয়োজিত বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘রাজ রাজ্জাক লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্র নায়িকা কবরী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বিএফটিসিসি আয়োজিত বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘রাজ রাজ্জাক লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্র নায়িকা কবরী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম উৎসব। কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে এই উৎসব আয়োজন করেছে বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার অব কমার্স (বিএফটিসিসি)। প্রদীপ জ্বালিয়ে এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক আলমগীর, ভারতের বাংলা ছবির জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিৎ, অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা ব্রাত্য বসু, সুরকার ও সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র, চলচ্চিত্র পরিচালক শতরূপা সান্যাল, বিএফটিসিসির সভাপতি ফেরদৌসাল হাসান প্রমুখ।

চলচ্চিত্রে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্র নায়িকা কবরীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘রাজ রাজ্জাক লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’। হীরালাল সেন পদক পান সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। ‘দেবকী কুমার বোস লাইফটাইম পদক’ দেওয়া হয় পরিচালক গৌতম ঘোষকে, ‘বিএন সরকার পদক’ দেওয়া হয় অরোরা ফিল্মকে। আর বিশেষ সম্মান ‘ইনফরমেশন কমিউনিকেশন এন্টারটেইনমেন্ট পদক’ দেওয়া হয় বাংলাদেশের আহমেদ আকবর সোবহানকে।

কবরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি কলকাতায় ছিলাম। এই কলকাতাকে আমার দারুণ ভালো লাগে। এখনো আমার অন্যতম প্রিয় শহর এই কলকাতা। সময় পেলে ছুটে আসি এই প্রিয় শহরে। আর এই সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত এবং আপ্লুত।’

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুরস্কার পেতে তো সবারই ভালো লাগে। আমারও লাগে। তবে হীরালাল সেনের নামাংকিত পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ মুগ্ধ হয়েছি। হীরালাল সেন আমার আদর্শ।’

চিত্রনায়ক আলমগীর বলেন, ‘গত বছর এই উৎসবে রাজ রাজ্জাক লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম। এবার এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে দারুণ গর্বিত। আমার ভালো লাগার শহর কলকাতা। এই শহর আমাকে ডাকলেই চলে আসব। এই শহরের সঙ্গে রয়েছে আমার নাড়ির টান। আর গত বছর এই সম্মান নেওয়ার সময় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের প্রাণপুরুষ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য পেয়েছিলাম। এবার এসে আবার নতুন করে ভালোবাসার আবেগে আপ্লুত হলাম।’