অক্ষয় কুমারের পাশে স্ত্রী আর নরেন্দ্র মোদি

নরেন্দ্র মোদি ,অক্ষয় কুমার এবং  টুইঙ্কেল খান্না
নরেন্দ্র মোদি ,অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কেল খান্না

বলিউড এবং বলিউডের বাইরে টুইঙ্কেল খান্নার একটা বিশেষ পরিচিতি আছে টুইটারে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে শক্তিশালী মন্তব্য করার জন্য। সেসব লেখা চোখ এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। সেসব মন্তব্য পড়ে নরেন্দ্র মোদির মনে হয়েছে, টুইঙ্কেল খান্নার বোধ হয় তাঁর ওপর রাগ আছে। সেসবের বহিঃপ্রকাশ ঘটান এসব লেখায়!

সম্প্রতি বলিউডের ‘অ্যাকশান হিরো’ অক্ষয় কুমার লোকসভা নির্বাচন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘অরাজনৈতিক’ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সেই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেন তিনি। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অক্ষয় কুমার রাজনীতিতে যোগ দেবেন কি না, সে প্রশ্নও উঠে এসেছে।

সেখানে অক্ষয় কুমার মোদিকে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, টুইটারে মানুষ কী বলছে, মোদি সেগুলো ফলো করেন কি না। পিএম নরেন্দ্র মোদি তাঁর স্বভাবসুলভ বুদ্ধিদীপ্ত রসবোধ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেন, ‘আমি আপনার টুইটার দেখি, আবার টুইঙ্কেল খান্নার টুইটারও দেখি। মাঝেমধ্যে তো আমার মনে হয়, টুইটারে ও সমস্ত রাগ (টুইঙ্কেল খান্না) আমার ওপর ঝাড়ছে। এ জন্য নিশ্চয়ই আপনাদের পারিবারিক জীবনে অনেক শান্তি বজায় থাকে। সমস্ত অশান্তির ঝাল তো আমার ওপর দিয়েই চলে যায়। এভাবেই আমি আপনাদের পারিবারিক শান্তি বজায় রাখার কাজে আসি।’ এটুকু বলে হাসিও দেন মোদি।

হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় কুমারকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘মোদি যখন টুইঙ্কেল খান্নার প্রসঙ্গ তুললেন, তখন আপনি কী অনুভব করছিলেন?’ অক্ষয় অকপট উত্তর দেন, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম না কোন দিকে তাকাব। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরে আমি তাজ্জব বনে গেছি! তিনি রসবোধের সঙ্গে যেভাবে উত্তর করলেন, আমি আর বলার কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি কেবল বোকার মতো হতবুদ্ধি হয়ে হেসেছি। আর ভেবেছি, একপাশে স্ত্রী আর আরেক পাশে দেশের প্রধানমন্ত্রী। উভয়েরই আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। চুপ থাকাই এখানে সব থেকে ভালো আর নিরাপদ।’

অবশ্য টুইঙ্কেল খান্নাও কম যান না। তিনিও এর জবাব দিতে তুলে নিয়েছেন টুইটারকেই। মজা করে লিখেছেন, ‘আমি অবশ্য বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি। আমি আছি, প্রধানমন্ত্রী কেবল এটুকু জেনেই ক্ষান্ত দেননি; বরং তিনি আমার লেখা পড়েনও!’