পিস্তলের প্রয়োজন কেন হলো ব্ল্যাকের?

কোডাক ব্ল্যাক
কোডাক ব্ল্যাক

র‍্যাপ গানের যাঁরা ভক্ত, তাঁরা ২১ বছর বয়সী কোডাক ব্ল্যাককে একনামে চিনবেন। তিনি মার্কিন র‍্যাপার, সংগীতশিল্পী এবং গীতিকার। ‘জে জে’, ‘রোল ইন পিস’, ‘টানেল ভিশন’, ‘ওয়েক আপ ইন দ্য সিটি’, ‘নো ফ্লকিন’ গানগুলোর জন্য কম বয়সে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এই শিল্পী। এই মার্কিন তারকা নানা খবর হয়ে প্রায়ই সামনে আসেন। এবার এসেছেন নেতিবাচক খবর হয়ে। মাদক আর অস্ত্রসহ কানাডার সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।

ঘটনা কয়েক দিন আগের। ১৮ এপ্রিল অস্ত্র আর মাদকসহ কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্র আসার পথে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছাকাছি এক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কোডাক ব্ল্যাককে। এমনটাই জানিয়েছেন আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে সদস্য। ব্ল্যাক আরও দুজনকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে গাড়িতে লুইস্টন-কুইনস্টন ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ পার হচ্ছিলেন। ওই সময় আরও একজন তাঁদের সামনে এসে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। সেই পোরশে গাড়িতেও তিনটি গুলিভরা পিস্তল ছিল। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই বোস্টনে ব্ল্যাকের শো ছিল। আর ব্ল্যাককে যেখানে দেখা গেছে, বোস্টন সেখান থেকে ৬৪০ কিমি পূর্বে অবস্থিত।

তাহলে ওই দিন ওখানে কেন গিয়েছিলেন ব্ল্যাক? ওই দুই লোকই বা কারা? ব্ল্যাক কি তাহলে ওই লোককে মারতে চেয়েছিলেন? রহস্যময় ওই পোরশে গাড়ির লোকটার পিস্তলেও কেন গুনে গুনে তিনটি গুলি ছিল? ব্ল্যাকরা মোট তিনজন ছিলেন বলে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা যায়নি।

পরবর্তীতে ওই দুই লোককে আটক করার পর তাঁরা জানায়, তাঁদের কাছে মারিজুয়ানা আর অস্ত্র ছিল। ব্ল্যাকের কাছে গুলিসহ একটা ‘গ্লক নাইন এমএম’ পিস্তল পাওয়া যায়। অথচ ওই গাড়িতে যে তিনজন ছিল, তাঁদের কারও পিস্তল রাখার অনুমতি নেই। অবৈধভাবে পিস্তল রাখার অপরাধে ও মারিজুয়ানা লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ব্ল্যাককে। মারিজুয়ানা না হয় বুঝলাম, কিন্তু গুলিভরা পিস্তলের কেন প্রয়োজন হয়েছিল ব্ল্যাকের?

এটা তো তাও ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ ক্রিমিনাল অভিযোগ। ব্ল্যাকের ইতিহাস আরও কলঙ্কিত। এর আগে ২০১৬ সালে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি অপরাধ’ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। সেবার জেলও খাটতে হয়েছে এই র‍্যাপারকে। কিন্তু এসব তারকাদের ক্ষেত্রে যা হয় আর কী। প্রায় ২০ লাখ টাকা মুচলেকা দিয়ে বের হয়ে আসেন তিনি। সেই সঙ্গে আরও ১০ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে ক্যামেরার সামনে হাত দিয়ে মুখ ঢাকার জন্য।

ব্ল্যাক ছাড়া বাকি তিনজন এখন জেলে আছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের পর ৮ মে বিচারের সম্মুখীন করা হয়।

এখন পর্যন্ত ব্ল্যাকের সর্বশেষ অ্যালবাম ‘ডায়িং টু লিভ’। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া এই অ্যালবাম ‘বিলবোর্ড হট হান্ড্রেড’ তালিকায় শীর্ষে ছিল।