যাঁরা হতে চান সাইফ অথবা কারিনা

সাইফ আলী খান, কারিনা কাপুর আর ছোট্ট তৈমুর
সাইফ আলী খান, কারিনা কাপুর আর ছোট্ট তৈমুর

বলুন তো, বলিউডের সব থেকে ‘ফিট’ কাপল কারা? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর। এবার সেই ফিটনেসের রহস্য ফাঁস করলেন এই জুটি। বলে দিলেন ফিট থাকার মন্ত্র।

২০০৭ সাল থেকে পুষ্টিবিশেষজ্ঞ রুজুতা দিয়াকরের ডায়েটের তালিকা অনুসরণ করেন এই দম্পতি।

কারিনা কাপুরের জানেন, প্রতিটি নারী তাঁর মতো স্লিম থাকতে চান। কিন্তু তিনি এটাকে শুধু স্লিম থাকার মধ্যে আবদ্ধ রাখতে নারাজ। বরং এটাকে একটা সামগ্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখেন কারিনা। আপনি যদি ভেবে থাকেন, না জানি কত কী হাতি ঘোড়া খেয়ে ফিট থাকেন কারিনা, তো একেবারেই ভুল। তাঁর খাবার একেবারেই সাধারণ। আর তাঁর জিরো ফিগারের রহস্য জানলে অবাক হবেন। এক বাটি ভাত আর ডাল। হ্যাঁ, এটুকুই। এখান থেকেই কারিনা দিনের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটান। তবে কারিনা এও জানান, এক বাটি ‘ঠিকঠাক’ ডাল রান্না করা অতটা সহজ নয়, যতটা আপনি ভাবছেন। কারিনার ডালের রেসিপিতে ঘি আবশ্যক উপকরণ।

কারিনার প্রিয় খাবার কী জানেন? বৃষ্টি পড়লেই আমাদের যে খাবারটা খেতে ইচ্ছা করে সেটি। হ্যাঁ, খিচুড়ি। প্রায়ই খিচুড়ি দিয়ে রাতের খাওয়া সারেন কারিনা আর সাইফ। সঙ্গে প্রতিদিন নিয়ম করে একটা আম খান।

‘ফিট’ সাইফ ও কারিনা
‘ফিট’ সাইফ ও কারিনা

সাইফ আলী খানের বয়স কত জানেন? আগামী ১৬ আগস্ট তিনি বিশাল কেকের ওপর ‘৫০টি’ মোমবাতি নিভিয়ে জন্মদিন পালন করবেন। কিন্তু তাঁকে দেখে তা বোঝার জো নেই। কেন জানেন? কারণ সাইফ মনে করেন, কী খাবেন আর কাকে ভোট দেবেন, দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, যে যা বলবে, তা খেলে চলবে না। শুনতে হবে পুষ্টিবিদ রুজুতার পরামর্শ। সাইফ মনে করেন ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকা মোটেও কাজের কথা না।

সে কী, খাব আবার চিকনও হব? হ্যাঁ, সাইফ তো সে রকমই বলছেন। তিনি যা খান, সেটা নাকি অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেন না। সাইফ আলী খানকে শুটিং সেটে বিকেলে প্রায়ই পাউরুটি আর পনির খেতে দেখে অবাক হন অনেকেই।

সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর
সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর

জিরো ফিগারের কারিনা ছোট নবাব তৈমুরকে জন্ম দিয়ে গিয়ে বেশ মুটিয়ে গিয়েছিলেন। অনেকে মনে করেন, কারিনা খুব দ্রুত আবার ‘জিরোতে’ ফিরে এসেছেন। কিন্তু সত্যিটা হলো, ফিগার ফিরিয়ে আনতে কারিনার সময় লেগেছিল পাক্কা এক বছর। এই সময়টাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন কারিনা। এটা নাকি সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ঘুম আর ব্যায়ামের গুণে। কারিনা এ সময় সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে বাচ্চাদের মতো খুশি হয়ে যান, যখন তিনি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতেন। আর ঘুম থেকে উঠে তাঁর বেশ ফুরফুরে লাগত। মনে হতো, তিনি একজন নতুন মানুষ আর বেশ কয়েক ইঞ্চি কমে গেছেন। যখন অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়, তখন কারিনার নিজেকে ‘মোটা’ আর খিটখিটে লাগে।

এখন বলিউডের সবচেয়ে বড় ‘তারকা কিড’ তৈমুর নাকি বাবা-মায়ের রুটিন বদলে দিয়েছেন। তাঁদের মতে, ‘আমরা এখন ওর সময়ের সঙ্গে আমাদের নিজেদের সময় সামঞ্জস্য করি। বিষয়টা আসলে খারাপ না। সপ্তাহ শেষে আমরা যদি গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি করি, সেটা মোটেই পছন্দ না তৈমুরের।’

তৈমুরকে কখনো বাইরের কিছু খাওয়ান না এই দম্পতি।