ভালোবাসাই এত দূর নিয়ে এসেছে: পলি

পলি বিশ্বাস
পলি বিশ্বাস

মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের নাটক ‘শিখণ্ডী কথা’র ১৭৫তম মঞ্চায়ন আজ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে। নাটকটিতে সবচেয়ে বেশি প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের একজন পলি বিশ্বাস। অভিনয়, থিয়েটার ও ব্যস্ততা নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

আপনি কতটি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন?
১৬৫টির বেশি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছি। মা হওয়ার কারণে কিছু প্রদর্শনী বাদ গেছে।

এতগুলো প্রদর্শনী করতে চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখিনি। সাত মাস টানা মহড়া করে নাটকটি করেছিলাম। একধরনের ভালো লাগা কাজ করেছে। কারণ, নাটকটির বিষয়বস্তু অসাধারণ। সমাজের অবহেলিত মানুষদের নিয়ে। তা ছাড়া নাটকের সংগীতে আমি কাজ করি। যার ফলে কোনো শো-ই মিস করিনি। নাটকটির প্রতি ভালোবাসাই এত দূর নিয়ে এসেছে।

অভিনয়ের শুরু...
এই দলের সুনাই কন্যার পালা নাটকটি দেখি ২০০২ সালে। দেখে আমার এত ভালো লাগল...। তারপর দলটিতে অভিনয়ের জন্য আসি। শিবানী সুন্দরী নাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করি।

অর্জন কী বলে মনে করেন?
মঞ্চনাটকেই অভিনয় করেছি। এখানে অভিনয় করে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, যা বাস্তব জীবনের নানা ক্ষেত্রে কাজে লাগে। বিশেষ করে ধৈর্য অনেক বেড়েছে। এটি বেশ কাজে লাগছে চাকরিজীবন, ব্যক্তিগত জীবনে। আর বলব টাইমলি সবকিছু করাটাও শিখেছি এখান থেকে। মঞ্চের মানুষ হিসেবে অনেকেই চেনে, এটাও কম পাওয়া নয়। কেউ দেখলে ‘নিশিমন’ বলে ডাকে। আমি যে চরিত্রগুলোতে অভিনয় করি, সেগুলো বলে ডাকে। ভালো লাগে। এটাই প্রাপ্তি।

মঞ্চনাটক করতে নারীদের জন্য বাধা কী?
পারিবারিক ও সামাজিকভাবে একটা নেতিবাচকতা আছে। বিশেষ করে মহড়া করে অনেক রাতে বাসায় ফিরতে হয়। এটা ভালো চোখে দেখা হয় না। এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো উচিত। তা ছাড়া মহড়ার সময়টা যেন বেশি রাত পর্যন্ত না হয়, সেদিকেও দৃষ্টি রাখা দরকার।

থিয়েটার নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
বাংলাদেশে সবাই একটি দিন নির্দিষ্ট করে রাখবে নাটক দেখার জন্য। যে নাটকই মঞ্চে আসবে, সেটা নিয়ে সিনেমার মতো আলাপ-আলোচনা করবে।