টাইগারদের দিকে তাকিয়ে আছেন তারকারাও

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপর শুরু হয়ে যাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। প্রথম খেলায় অংশ নেবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের ওভালে ২ জুন বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিনোদন অঙ্গনের তারকারা জানালেন বাংলাদেশ দলের জয় নিয়ে তাঁরা আশাবাদী। অনেকের মত, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা অনেক। কেউ কেউ বলছেন, চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও বাংলাদেশ অনেক ভালো কিছু করবে। চলচ্চিত্র, নাটক ও গানের কয়েকজন তারকার সঙ্গে কথা বলেছেন মনজুর কাদের



অমিতাভ রেজা
পরিচালক

অমিতাভ রেজা
অমিতাভ রেজা

বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন হবে, এর বাইরে তো কিছুই ভাবতে পারছি না। ভাবছি, তারা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় কি না। যদিও ক্রিকেট অনিশ্চিত খেলা, তারপরও বাংলাদেশ দলের সব ধরনের যোগ্যতা ও সক্ষমতা আছে। সেটা ব্যবহার করে, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে যদি তারা ফর্মে থাকে, টেম্পারম্যান্ট ধরে রাখতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তামিমকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। তামিমের স্ট্রোক আমাকে মুগ্ধ করে। তিনি খুব স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। মুশফিকের দিকেও আমার দৃষ্টি থাকবে। বোলারদের মধ্যে রুবেল হোসেনের দিকে তাকিয়ে থাকব।

শাকিব খান

অভিনেতা

শাকিব খান
শাকিব খান

বিশ্ব ক্রিকেটের জায়ান্ট দলগুলোর একটি বাংলাদেশ। আমার দেশের অনেক খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেট–বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছেন। দলীয় ও ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশ অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। সবকিছু মিলিয়ে এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ হবে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ—এই পঞ্চপাণ্ডবের কথা তো আলাদা করে বলতেই হয়। সব দিক হিসাব করলে, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো না করার কোনো কারণ দেখি না। মাশরাফির এটাই শেষ বিশ্বকাপ। মন থেকে চাইছি তাঁর হাতেই যেন বিশ্বকাপ জয়ের ট্রফিটা ওঠে। মোসাদ্দেক তো কদিন আগেই আয়ারল্যান্ডে চোখধাঁধানো খেলা খেললেন।

তিশা

অভিনেত্রী

তিশা
তিশা

বাংলাদেশ দল ভালো খেলুক। নান্দনিক খেলে বিশ্ববাসীর মন জয় করুক। বাংলাদেশের নাম যে বিশ্ব ক্রিকেটের এত বড় মঞ্চে উচ্চারিত হচ্ছে, এটাই আমাদের জন্য অনেক গর্বের। দূর থেকে অনেক কিছুই বলা সম্ভব। যাঁরা মাঠে থাকেন, শুধু তাঁরাই জানেন কীভাবে সময়গুলো পার হয়। পুরোনোদের মধ্যে তামিম ইকবাল, মাশরাফি ও সাকিব আল হাসান অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়ও আছেন। তাঁদের মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে খেলার মানসকিকতা তৈরি হয়েছে। সিনিয়র ও জুনিয়র সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেললেই দারুণ কিছু ঘটতেও পারে।

চঞ্চল চৌধুরী

অভিনেতা

চঞ্চল চৌধুরী
চঞ্চল চৌধুরী

বাংলাদেশ দলের সবার দিকে আমার দৃষ্টি থাকবে। বিশেষ করে মাশরাফিই প্রাধান্য পাবেন, তিনি এখন বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি অধিনায়ক। ক্রিকেট ও দেশের প্রতি মাশরাফির যে ভালোবাসা—সবকিছু ভেবে বলতে চাই, বাংলাদেশ যেন এবার বিশ্বকাপ জেতে। আমাদের বর্তমান দলটি পুরোপুরি ব্যালেন্সড একটা দল। আমাদের ভালো ব্যাটসম্যান যেমন আছেন, তেমনি আছেন ভালো বোলারও। এ বিশ্বকাপ মাশরাফির জন্য বিশেষ কিছু হয়ে থাকুক। যাঁরা বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করছে; তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকেরাও আছেন সেই দলে। সবার জন্য শুভকামনা।

তাহসান

অভিনেতা

তাহসান
তাহসান

বাংলাদেশ দল নিয়ে এবার আমার প্রত্যাশা একটু বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দলের খেলোয়াড়েরা দারুণ ফর্মে। আমাদের প্রত্যাশার চাপ মাথায় না নিয়ে শুধু খেলা উপভোগ করলেই বিশ্বকাপ চলে আসবে। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ এখন বেশ ভারাসম্যাপূর্ণ একটি দল। সেই হিসেবে বলতে পারি, যে কোনো দলের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার সামর্থ এই দলের আছে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ম্যাচে মোসাদ্দেকের ম্যাচ উইনিং ইনিংস দেখার পর তো মুগ্ধ হয়েছি। মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ অপরিহার্য। তাসকিন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে আছেন। আমাদের পেস অ্যাটাকে তিনি থাকলে হয়তো শক্ত বোলিং লাইনআপ হতো।

কনা

সংগীতশিল্পী

কনা
কনা

চোখের সামনে বাংলাদেশ দলের এগিয়ে যাওয়া দেখছি। একটা সময় ছিল, যখন একটি খেলা জিততে পারলেই সন্তুষ্ট থাকতাম। এখন আর সেই অবস্থায় নেই আমরা। আমাদের দল এখন বিশ্বের যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে। বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যেমন আছেন দলে, তেমনি তারুণ্যনির্ভর অনেক খেলোয়াড়ও আছেন। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ঠান্ডা মাথায় নিজেদের মতো করে খেলাটা খেললেই হয়। ক্যাপ্টেন মাশরাফির দিকে তাকিয়ে আছি। কাপটা নিয়ে ফিরে আসুক আমাদের টাইগার বাহিনী।

বুবলী

অভিনেত্রী

বুবলী
বুবলী

কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটের বড় দলগুলোর সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে। তাই প্রত্যাশাও অনেক। যে নৈপুণ্য তারা এত দিন দেখিয়েছে, এটা যেন বজায় থাকে। লড়ে যদি হারতে হয়, সেখানেও কষ্ট নেই। আমার প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিম। দেখতে কেমন শান্ত, অথচ ব্যাট হাতে যেন অন্য এক রূপ তাঁর। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসানও রয়েছে পছন্দের তালিকায়। তবে মাশরাফি সবকিছু্র উর্ধ্বে। তাঁর নেতৃত্বের গুণ সব সময় মুগ্ধ করে। সামনে থেকে দলকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেন। তাঁর হাতেই বিশ্বকাপ জয়ের ট্রফি চাই।

সাবিলা নূর

অভিনেত্রী

সাবিলা নূর
সাবিলা নূর

বাংলাদেশ দল যেন তাদের সেরা নৈপুণ্য দেখাতে পারে এটাই কামনা করছি। ভালো না খেললে যে তাঁদের ওপর মন খারাপ করব, তা কিন্তু না। বিশ্ব ক্রিকেটে আমার দেশ লড়ছে, অনেক শক্ত দলকে এরই মধ্যে হারিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণও রেখেছে। এটা আমাকে অনেক বেশি আশাবাদী করে তুলেছে। কেন জানি মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ দল এবার চ্যাম্পিয়ন হবে। আমার একটাই চাওয়া, পুরো দলের সবাই যেন খেলে। সাকিব আল হাসান ও মাশরাফির দিকে আমি তাকিয়ে থাকব। তাঁরা দুজন যেকোনো কিছুই আমাদের উপহার দিতে পারেন।