মাধুরীর অনুপ্রেরণা অমিতাভ

মাধুরী দীক্ষিত ও অমিতাভ বচ্চন
মাধুরী দীক্ষিত ও অমিতাভ বচ্চন

বলিউড তারকা মাধুরী দীক্ষিতকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘সাজন’, ‘খলনায়ক’, ‘লজ্জা’, '‘দেবদাস’, ‘গুলাব গ্যাং’-এই ছবিগুলো জানিয়ে দিয়েছে, কী তাঁর পরিচয়। বলিউডে তিন দশক কাটিয়ে দেওয়া এই অভিনেত্রী সম্প্রতি শেয়ার করেছেন তাঁর জীবন, বায়োপিক, অনুপ্রেরণা আর বলিউডের অনেক গল্প। 

বলিউডে তিন দশক কাটিয়ে দেওয়া এই অভিনেত্রীর জীবনও আর দশটা তারকার মতো অত্যন্ত নাটকীয়। তাঁর জীবনেও আছে প্রেম, বিচ্ছেদ আর হারিয়ে যাওয়ার গল্প। আছে ফিরে এসে সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসার গল্প। আছে নির্ঘুম রাতের গল্প। আছে একজন সাধারণ মায়ের গল্প। তাঁকে নিয়ে তাই বায়োপিকের প্রশ্ন উড়ছে বলিউডের আকাশে-বাতাসে। কিন্তু সেই গুজবকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বললেন, তাঁর বায়োপিক নির্মাণের সময় নাকি আসেনি। জীবনে এখনো অনেক কিছু করার বাকি তাঁর।

মাধুরী দীক্ষিত
মাধুরী দীক্ষিত

ছয়বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এমন কোনো চরিত্র আছে কি না, যেটি তাঁর স্বপ্নের চরিত্র, তিনি করতে চান। উত্তরটা দিলেন একটু অন্যভাবে। বলেন, ‘এ রকম কোনো একটা চরিত্র নেই। কোন চরিত্র কীভাবে লেখা হয়েছে, কে সেই চরিত্রের পরিচালক, ওই ছবির পুরো দল—সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কিছু টানলে তবেই সেই চরিত্র করব।’ নিকট ভবিষ্যতে দর্শক তাঁকে কোনো ভূতের ছবিতে দেখতে পাবেন? মাধুরী বলেন, ‘শুধু ভূত কেন, কোনো কিছু হতেই আপত্তি নেই। যে কোনো ধারার যেকোনো চরিত্র যদি আমাকে আকর্ষণ করে, আগ্রহী করে তোলে, সেই চরিত্র করব।’

টিভিতে নাচের রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের আসনে বসার কারণ আর অভিজ্ঞতা জানান তিনি। তাঁর মতে, বিভিন্ন স্থান থেকে উঠে আসা, বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার আর পটভূমির ভিন্ন ভিন্ন মানুষ যখন তাঁদের মেধাকে উপস্থাপন করার একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়ে প্রতিভার স্বীকৃতি পায়—সেটা চোখের সামনে দেখা একটা চমৎকার ব্যাপার।

মাধুরী দীক্ষিত
মাধুরী দীক্ষিত

এই ড্যান্সিং কুইন আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয়। তিনি নিয়মিত সেখানে নাচের প্রশিক্ষণ দেন এবং ভিডিও আপলোড করেন। ২০৯টি দেশের কোটি দর্শক নিয়মিত সেই সব ভিডিও দেখেন। তাঁর মতে, এটা পেশা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আপনি কীভাবে এই নতুন মাধ্যমের সঙ্গে মানিয়ে নিলেন? মাধুরী বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে অমিতাভ বচ্চন আমার অনুপ্রেরণা। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে খুব সুন্দরভাবে ব্যবহার ও পরিচালনা করেন। আমি তাঁকে দেখিয়ে নিজেকে বলি, তাহলে আমি কেন পারব না?’

এই সময়টা নাকি বলিউডে নারীদের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। মাধুরী দীক্ষিতও একমত প্রকাশ করে বলেন, এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে নারীবান্ধব বলিউড। এখন যে ধরনের বৈচিত্র্যময় চিত্রনাট্যে নারীরা কাজ করতে পারছেন, ১০ বছর আগে তা চিন্তা করা যেত না। তা ছাড়া প্রচুর নারীপ্রধান ও নারীকেন্দ্রিক ছবি হচ্ছে। এখন একজন পুরুষ তারকা যে পরিমাণ পারিশ্রমিক, মর্যাদা বা তারকাখ্যাতি পান, নারী শিল্পীদের তাঁর চেয়ে কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।