সাত বছর পর বিয়ের ছবি ভাইরাল

সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খানের বিয়ের পর তোলা হয় ছবিটি
সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খানের বিয়ের পর তোলা হয় ছবিটি

২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর কারিনা কাপুর ও সাইফ আলী খানের জীবনের সবচেয়ে বিশেষ দিন। কারণ, সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা মেনে মহাসমারোহে এই দুই নাম এক হয়ে হয়েছিল সাইফিনা। কিছু বিশেষ মুহূর্তকে স্থির করে রাখতে মানুষ ছবি তোলে। সময়ের সঙ্গে সেই মুহূর্তগুলো ছবি হয়ে অতীতের সুন্দর সময় মনে করিয়ে হৃদয়ে হাসি ফোটায়। সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুরের (সাইফিনা) বিয়ের ছবিগুলোও সে রকম। এবার দীর্ঘ সাত বছর পর সেই বিয়ের ছবি ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুরের বিয়ের এই রাজকীয় ছবিতে তাঁরা দুজন ছাড়া আরও দেখা যায় সাইফ আর তাঁর প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সন্তান সারা আলী খান ও ইব্রাহিম আলী খান, মা শর্মিলা ঠাকুর এবং বোন সোহা আলী খান ও সাবা আলী খানকে। এত দিন পর এই পারিবারিক ছবি ভাইরাল হওয়ায় বোঝা যায়, পতৌদি পরিবারের প্রতি এখনো সবার আগ্রহ তুঙ্গে। তা হতে পারে মাত্র ২১ বছরে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনসুর আলী খান পতৌদির কারণে, হতে পারে বাঙালি অভিনেত্রী ও ‘সত্যজিতের নায়িকা’ শর্মিলা ঠাকুরের জন্য। আবার হতে পারে পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য তৈমুর আলী খানের অভাবনীয় জনপ্রিয়তার কারণে। কেননা, কারিনা বা সারা আলী খান যতই সিনেমা, সাক্ষাৎকার বা ফ্যাশন ডিভা হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করুক না কেন, কিছু না করেই তিন বছর বয়সী তৈমুরের যে জনপ্রিয়তা, তার ধারেকাছে নেই তাঁরা।

পতৌদি পরিবারের এই ছবি সম্প্রতি তোলা। এখানে নেই শুধু সাবা আলী খান
পতৌদি পরিবারের এই ছবি সম্প্রতি তোলা। এখানে নেই শুধু সাবা আলী খান

কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলী খানের সেই বিয়ের ছবি আর সম্প্রতি তোলা আরেকটি ছবি কিছুদিন আগে সোহা আলী খান তাঁর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন। পরের ছবিতেও বিয়ের দিনের ওই মানুষগুলোকে দেখা যায়। কারিনার কোলে দেখা যায় পতৌদি পরিবার সর্বশেষ সংযোজন ও এই পরিবারের সবচেয়ে জনপ্রিয় সদস্য তৈমুর আলী খানকে। এই দুই ছবির আরেকটা বড় পার্থক্য হলো, যিনি চোখ ঝাপসা দেখেন, তিনিও দুটো ছবির দিকে একনজর তাকালেই বুঝবেন, প্রথম ছবিতে ইব্রাহিম একেবারে কিশোর আর পরের ছবিতে সে সদ্য তরুণ। তবে পরের ছবিতে সোহা আলী খানকে দেখা গেলেও আরেক বোন জুয়েলারি ডিজাইনার সাবা আলী খান আছেন অনুপস্থিত। সাবা আলী খান এই পরিবারের সেই সদস্য, যিনি সব সময় ক্যামেরার চোখের আড়ালে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

এর আগে ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানের ষষ্ঠ সিজনে সারার কাছে তাঁর বাবা সাইফ আলী খান আর সৎমা কারিনার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে সারা বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি একটা বিষয়ে পরিষ্কার ছিলাম। যে আমার বাবাকে খুশি রাখে, সে আমাকেও খুশি রাখে। সেই মানুষটা কারিনা না হয়ে অন্য কেউও হতে পারে। আমার বাবা যাকে ভালোবাসে, আমিও তাকে ভালোবাসি। তবে আমি খুশি যে সেই মানুষটা কারিনা।’

এ সময় সারা আলী খান কারিনার সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্বের কথা জানান। কারিনাও ‘কেদারনাথ’ ছবির শুটিংয়ে সারার জন্য নিজের হেয়ার ও মেকআপ স্টাইলিস্ট পম্পি হংসকে পাঠান। এমনকি সারার ছবির সাফল্যে ‘সাকসেস পার্টি’ও দিয়েছেন কারিনা। সারার বাবা–মায়ের ডিভোর্স বা বাবার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কোনো আপত্তি নেই, বরং এই বিষয়গুলোতে সারা খুশি। তাঁর মতে, একটা অসুখী পরিবারের থেকে দুটো সুখী পরিবার নিঃসন্দেহে ভালো। সারা আরও জানিয়েছেন, কারিনার সঙ্গে বাবার বিয়েতে মা অমৃতা সিং তাঁকে নিজ হাতে সাজিয়ে দিয়েছিলেন।