গেন্ডারিয়া থেকে শাহবাগে এ টি এম শামসুজ্জামান

বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতাল থেকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আজগর আলী হাসপাতাল থেকে বিদায় দেওয়ার সময় অভিনেতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতাল থেকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আজগর আলী হাসপাতাল থেকে বিদায় দেওয়ার সময় অভিনেতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

টানা ৫০ দিন নিজ এলাকায় চিকিৎসা শেষে আজ শনিবার শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলো বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে। আজ বেলা দুইটায় তাঁকে নতুন ঠিকানায় নেওয়া হয়। এত দিন তিনি গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজ থেকে তিনি থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিনে।

আজগর আলী হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মতিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোগীর অবস্থা এখন আগের তুলনায় যথেষ্ট ভালো। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েই নিয়মানুযায়ী ছাড়পত্র দিয়েছি। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য তাঁকে আরও অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকের আওতায় থাকতে হবে। চিকিৎসকের সরাসরি পর্যবেক্ষণ তাঁর জন্য খুব প্রয়োজন।’

এ টি এম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী জামানের কাছ জানা গেছে, ‘এখন তিনি (এ টি এম শামসুজ্জামান) যথেষ্ট ভালো আছেন। কথা বলছেন, স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন। কেবল নার্সিং সেবার জন্য তাঁকে আমরা এখানে এনেছি।’ তিনি আরও জানান, এখানে কিছুদিন রেখে এই অবস্থা থাকলে তাঁকে বাসায় নিয়ে যাবেন। এর আগে বাসার কিছু অবকাঠামোগত পরিবর্তন করতে হবে। বাসার পরিবেশ ঠিক করতে হবে।

গত ২৬ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এ টি এম শামসুজ্জামান। সেদিন খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ টি এম শামসুজ্জামানের অন্ত্রে প্যাঁচ লেগেছিল। সেখান থেকে আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা। খাবার, তরল, পাকস্থলীর অ্যাসিড বা গ্যাস বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং অন্ত্রের ওপর চাপ বেড়ে যায়। ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এসব সারাতেই অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখান থেকে কিছু জটিলতা হয়েছিল তাঁর।