'সমন্বিতভাবে সংকট কাটাতে চেষ্টা করব'

আহসান হাবীব নাসিম
আহসান হাবীব নাসিম
>

অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন সম্পন্ন হলো। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আহসান হাবীব নাসিম। সংগঠনটির আগামী দিনের পরিকল্পনা ও নতুন কমিটির কাজ নিয়ে তিনি কথা বললেন প্রথম আলোর সঙ্গে।

অভিনন্দন
ধন্যবাদ।

আগামী দিনের পরিকল্পনা কী?
আমাদের পেশাদারির সংকট নিরসনে কিছু কাজ শুরু হয়েছিল এবং কিছু কাজ করেছি। সেগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখব। এ পেশা সমন্বিত শিল্প। এখানে পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী—প্রতিটি বিভাগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই অভিনয়টা চালিয়ে যেতে হয়। সুতরাং এসব সংগঠনের সঙ্গে আরও বেশি একাত্ম হয়ে সমন্বিতভাবে সংকট নিরসনের জন্য প্রচেষ্টা চালাব। পুরোনো কাজ পর্যালোচনা করব, সেই অনুযায়ী সামনের দিনগুলোর পরিকল্পনা করব। এরপর সদস্যদের মতামত নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করব।

কোন বিষয়ের ওপর বেশি জোর দেবেন?
আমাদের কর্মঘণ্টা এখনো নির্ধারণ করতে পারিনি। এটা সময়েরও ব্যাপার। দীর্ঘদিনের অনভ্যস্ততার কারণে কর্মঘণ্টা নির্ধারিত হয়নি। এই বিষয়ে বেশ কিছু চুক্তি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে কাজগুলোর ওপর বেশি জোর দেব। শুটিং-সম্পর্কিত যে সংকটগুলো থাকে, তা নিরসনের জন্য কাজ করব। অনেকে অভিযোগ করেন, শিল্পী সেটে সময়মতো যাননি। অনেকে ঠিক উল্টো করেন, শিল্পী পাণ্ডুলিপি পাননি; বলা হয়েছে একটা, দেওয়া হয়েছে আরেকটা। নানান রকমের অসংগতি আছে শুটিং-সম্পর্কিত। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে এগুলো মিটবে। পেশাদারির সংকট নিয়ে আমরা একটা সেমিনার করেছিলাম। সেটা দিয়ে কিছু কাজের সূত্রপাত হয়েছে। সেখান থেকে কিছু বিষয় এসেছে। তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। কী করে এই সংকট মোকাবিলা করতে পারি, তা নিয়ে কিছু কর্মপন্থা বের করব।

নাটকের মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবেন?
নাটকের বাজেট কমে গেছে। এ কারণে নাটকের পাণ্ডুলিপির পরিধি কমে এসেছে। সামাজিক ও পারিবারিক চরিত্রগুলো আমাদের নাটকে নেই। আমাদের সামাজিক চরিত্রগুলো যেমন—একজন চিকিৎসক, একজন সাংবাদিক, একজন ইমাম, একজন শিক্ষক সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই চরিত্রগুলো আমাদের নাটক থেকে হরিয়ে যাচ্ছে বাজেটের কারণে। যার কারণে নাটকের মূল উপাদানগুলো, যা দর্শককে আকৃষ্ট করে, তা হারিয়ে যাচ্ছে। দর্শক আসলে বাংলা নাটকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। আমরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করছি।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কীভাবে সম্পৃক্ত করবেন?
আমরা খুব তাড়াতাড়ি সবাই মিলে বসব। তাঁরা কীভাবে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন, এ বিষয়ে তাঁদের আহ্বান জানাব। আমাদের যেসব কর্মসূচি থাকবে, তাতে তাঁদের কমিটি, উপকমিটিতে রাখব। আমি নির্বাচিত হয়েছি, তিনি হননি—এটা কোনো কথা নয়। তিনি যদি কাজ করতে চান, তবে কাজ করার সুযোগ থাকবে।