সুমনের চিকিৎসা সহায়তায় আজ ঢাকা থিয়েটারে 'ধাবমান'

ঢাকা থিয়েটারের ‘ধাবমান’ নাটকের একটি দৃশ্য। নাটকটি রোববার জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে। ফাইল ছবি
ঢাকা থিয়েটারের ‘ধাবমান’ নাটকের একটি দৃশ্য। নাটকটি রোববার জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে। ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সুমন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছোটবেলায় বাতজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুমন। পরিণত বয়সে রোগটি তাঁর শরীরে নানা জটিলতা তৈরি করে। এতে সুমনের হৃৎপিণ্ডের একটি ভালভ অকেজো হয়ে পড়েছে। হৃদ্‌রোগ ও ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসা চলাকালে তাঁর স্ট্রোক হয়। এখন তাঁর পরিস্থিতি সংকটজনক। তাঁর চিকিৎসা সহায়তায় আজ রোববার মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে সেলিম আল দীনের ‘ধাবমান’।

জাতীয় নাট্যশালায় আজ সন্ধ্যা সাতটায় নাটকটির প্রদর্শনী শুরু হবে। ঢাকা থিয়েটারের প্রযোজনাটি পরিচালনা করছেন শিমুল ইউসুফ।

বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিরিশিরি দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও সোমেশ্বরী নদী এই নাট্যাখ্যানের মূল পটভূমি। বাঙালি (নগদি) ও গারো এই দুই জাতির প্রান্তিক মানুষদের জীবন নিয়েই নাটকটি আবৃত। রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা টানাপোড়েন, দুই জাতির দ্বন্দ্ব ও সহাবস্থান, পারস্পরিক সহমর্মিতা এসব বিষয় এ নাটকে উঠে এসেছে।

নাটক হিসেবে নয়, ‘ধাবমান’ কথাকাহিনি হিসেবে লিখেছিলেন সেলিম আল দীন। গল্পের ভেতরে প্রবেশ করামাত্র দর্শক পরিচিত হন দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে। একদিকে নহবত, তার স্ত্রী সুবতী ও তাদের একমাত্র বিকলাঙ্গ পুত্র এসহাক, অন্যদিকে হামেলা ও তার পুত্র সোহরাব যেন একান্নবর্তী একটি পরিবার, তারা একে অপরের সুখে সুখী, দুঃখে দুঃখী।

এর আগে সুমনের চিকিৎসা সহায়তার জন্য বেইলি রোডের মহিলা সমিতিতে গত শুক্রবার বিকেল পরপর দুই শো হয়েছে ‘হ্যাপি ডেজ’-নাটকের। ফ্রান্স অ্যাম্বাসি প্রযোজিত নাটকটির পরিবেশন করেছে মণিপুরি থিয়েটার ও হৃৎমঞ্চ।

জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শরীরের ডান দিক নড়াচড়ায় অক্ষম ও বাক্শক্তি হারিয়ে স্কয়ার হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন সুমন। ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের ডাক্তাররা তাঁর অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া দরকার। খরচ হবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা, যা তাঁর পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।