যুক্তরাষ্ট্রে আমাকে সবাই মুরগি মুন্নী বলে

রিচি সোলায়মান
রিচি সোলায়মান
>

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন মাসের জন্য ঢাকায় এসেছেন রিচি সোলায়মান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে কয়েক দিন ধরে তাঁকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। জানতে চাই, চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করলেন নাকি? বললেন, ‘না। উপস্থাপনা করছি।’ নতুন এই অনুষ্ঠান উপস্থাপনার সূত্র ধরে কথা প্রসঙ্গে এই অভিনয়শিল্পী জানালেন তাঁর কর্মপরিকল্পনা ও প্রবাসজীবন নিয়ে... 

দেশে এসে কোথায় ঘোরাঘুরি করবেন, অথচ এসেই কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেন?
এসেই এক মাস কিন্তু ঘুরেছি। এরপর শুটিং। ঈদের আগে এসেছি, অনেকের কাছ থেকে অনুরোধও পাচ্ছি নাটকে অভিনয়ের। তাই না করতে পারিনি। অভিনয়ও করছি।
আপনি তো এর আগে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। এটিও কি তেমন অনুষ্ঠান?
এই অনুষ্ঠান আগের অনুষ্ঠানের চেয়ে আলাদা। রান্নাবিষয়ক রিয়েলিটি শো। নাম ডিপ্লোমা মিষ্টি লড়াই। এমনিতে নন-ফিকশন আমার অনেক পছন্দ। এই ধরনের অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কথাও বলা যায়। এটা রান্নার প্রতিযোগিতা।

রান্না করেন?
রান্না ব্যাপারটা আমার শখ। রান্না করতে খুব পছন্দ করি। রান্নার অনুষ্ঠানে একটা সুবিধাও আছে, অনেক কিছু শেখা যায়। মানুষ তো টাকা দিয়ে রান্না শেখে, আমি অনুষ্ঠান করতে গিয়ে পাঁচ তারকা হোটেলের শেফদের সঙ্গে কাজ করি। বিনে পয়সায় অনেক রেসিপি শিখতেও পারি। এটাই বড় সুবিধা। তা ছাড়া এখন তো রিয়েলিটি শোগুলোয় দর্শকসাড়াও পাওয়া যায়। দর্শকেরা অনেক বেশি দেখেন।

আপনার হাতের কোন রান্না খেয়ে সবাই বলে বেশ ভালো?
আমার হাতের মুরগি রান্না খুব ভালো হয়। যুক্তরাষ্ট্রে আমাকে চেনা সবাই মুরগি মুন্নী বলে। আমার ডাকনাম মুন্নী। আমার বড় ভাই দেশি স্টাইলের মুরগি রান্না খুব পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তো আমার প্রচুর আত্মীয়স্বজন। নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সবাই আছেন। দেখা যায়, ভাইয়া সব জায়গায় মুন্নীর মুরগি বলে। খারাপ হয় মাছ রান্না। ছোট মাছ কিংবা দেশের কোনো মাছ ভালো হয় না। আম্মু ভালো রান্না করে তো, তাই তুলনা চলে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রে সময় কাটে কীভাবে?
আমি দুই সন্তানের মা। একজনের সাত বছর, আরেকজনের দুই বছর। যুক্তরাষ্ট্রে একটা সন্তান। ওখানে আমিই চালক, আমিই ধোপা, আমিই সব।

ওখানে কি অভিনয় করেন?
এখন তো যুক্তরাষ্ট্রে অনেক শিল্পী যায়। স্টেজ শো। আসার আগে আজিজুল হাকিম ভাইয়ের সঙ্গে পাঁচটা মঞ্চের শো করেছি।