৭ গুণীর হাতে শিল্পকলা পদক তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি

সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রবর্তিত ২০১৮ সালের ‘শিল্পকলা পদক’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর পদক পাচ্ছেন দেশের সাতজন গুণী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ বছর কণ্ঠসংগীতে গৌর গোপাল হালদার, যন্ত্রসংগীতে সুনীল চন্দ্র দাস, আবৃত্তিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, নৃত্যকলায় শুক্লা সরকার, চারুকলায় অলকেশ ঘোষ, লোকসংস্কৃতিতে মিনা বড়ুয়া এবং নাট্যকলায় ম. হামিদ পুরস্কার পাচ্ছেন।

নির্বাচিত গুণীদের প্রত্যেককে স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকা ও সনদ দেওয়া হবে। আগামী বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে পদক তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ভারপ্রাপ্ত সংস্কৃতিসচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী। আলোচনা ও পদক প্রদান শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা মালেক, শিল্পকলা একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভুঁইয়া। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় কার্যক্রম। দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজন এবং তাদের কর্মকে চিহ্নিত করে সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা ও বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শিল্পকলা পদক প্রদান নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, একাডেমির সচিব, একাডেমির ছয়জন পরিচালক, সাতজন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি সমন্বয়ে সর্বমোট ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতিবছর পদক প্রদানের ক্ষেত্রে এবং পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করে থাকেন। এবার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সন্‌জীদা খাতুন, মুস্তাফা মনোয়ার, রামেন্দু মজুমদার, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, আ ব ম নূরুল আনোয়ার, জি এম রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও মিনু হক। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা, সংগীত ও নৃত্যকলা, চারুকলা বিভাগের পরিচালক এ কমিটিতে ছিলেন। একাডেমির সচিব এ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

‘শিল্পকলা পদক’ প্রদানের জন্য ১০টি বিষয় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে কণ্ঠসংগীত, যন্ত্রসংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, আলোকচিত্র, যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি। এখান থেকে বাছাই করে সাতটি বিষয়ে পদক দেওয়া হয়। আগামী বছর থেকে এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক গবেষণা, সৃজনশীল সংগঠক, সাংস্কৃতিক গবেষক—তিনটি বিষয় যুক্ত হতে পারে বলে জানালো আয়োজকেরা। এ সময় আরও জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় পদক পদক পাওয়া গুণীদের এ পুরস্কারের বিবেচনার বাইরে রাখা হয়।