প্রিয়াঙ্কার সাফল্যের ১০ মন্ত্র!

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের তালিকা করলে তার একেবারে প্রথম সারিতে যে নামটি জ্বলজ্বল করবে, তিনি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। যাঁর তারকাখ্যাতি কেবল দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, ছড়িয়ে পড়েছে মলয় সাগর থেকে আটলান্টিকের ওপার পর্যন্ত।

অভিনেত্রী হিসেবে নয়, গায়িকা হিসেবেও তিনি নাম করেছেন। ফ্যাশন ডিভা হিসেবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আলো ছড়াচ্ছেন অ্যামি থেকে অস্কারে। ২০০০ সালের এই বিশ্বসুন্দরীর অর্জনের তালিকার কেবল শুরু আছে। সদ্য সাঁইত্রিশে পা দেওয়া এই অভিনেত্রীর ঝুলিতে রয়েছে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আর পাঁচটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার ২০১৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে।

টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ মানুষের তালিকায় স্থান দিয়েছে। আর কয়েক বছর ধরেই তিনি ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়ে আসছেন। ২০১৮ সালের ম্যাক্সিম ম্যাগাজিনের জরিপে ‘বিশ্বের সেরা ১০০ জন আবেদনময়ী নারী’র তালিকায় শীর্ষে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এমনকি যে ২৫ নারী বদলে দিচ্ছেন বিশ্বকে, সেই নারীদের একজন প্রিয়াঙ্কা। ২০১৯ সালে গোল্ড হাউসের এশিয়া, আমেরিকা আর প্যাসিফিক আইল্যান্ডের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় উঠে এসেছে এই তারকার নাম; মানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাসের।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

আর ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়ে তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ছুটছেন ইথিওপিয়ায়। সেই সঙ্গে প্যারিসের প্রমোদতরিতে পার্টি করছেন। ইতালির টুস্কেনির খোলা আকাশের নিচে নিক জোনাসের সঙ্গে ‘ভোলারে’ গানে নাচছেন।

সংক্ষেপে এই হলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, যিনি একের ভেতর অনেক। আর তাই এ সবকিছু ছাড়াও তাঁকে প্রায়ই দেখা যায় মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য, শিক্ষা, অভিবাসন সমস্যা, সফলতার মূলমন্ত্র প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বক্তৃতা দিতে। ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’ হিসেবেও আলাদা নাম আছে তাঁর।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার দুই দশকের যাত্রা। এর পুরোটাই সাফল্যে ভরা। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তাঁর কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস আর সামনে এগিয়ে চলার প্রত্যয়। এর ওপর তাঁর সেরা ১০ উক্তি তুলে ধরেছে ফিল্মফেয়ার, সফল হতে চাইলে যে উক্তিগুলো আপনি আপনার নোটবুকে টুকে রাখতেই পারেন।

* যখন জীবন তোমাকে কেবল লেবু দেবে, সেই লেবু কচলে জুস বানিয়ে নাও। আর তারপর একটা সোফায় বসে জুস খাও। আর মানুষকে অবাক হতে দাও, তুমি কীভাবে এটা বানালে!

* তুমি পড়ে যাও উঠে দাঁড়াও, ভুল করো ভুল থেকে শেখো, মানুষ হও। তুমি তোমার মতো হও।

* উচ্চাকাঙ্ক্ষা এমন একটা শব্দ, যা নারীদের ক্ষেত্রে নেতিবাচক বলে মনে করা হয়। মানুষ আড়চোখে বলে, মেয়েটা খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী! আরে, তাতে সমস্যাটা কোথায়? উচ্চাকাঙ্ক্ষী হও, উচ্চাকাঙ্ক্ষী হও, উচ্চাকাঙ্ক্ষী হও।

* সিনড্রেলাকে বলা হলো, এটুকু জুতার ভেতরেই পা ধরাতে হবে। আমার বাবা বলতেন, ‘তুমি জুতাটাই বদলে ফেলো। তুমি প্রথা বদলে ফেলো। তুমি গল্পটা বদলে ফেলো।’

* একজন নারী যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে, কেবল তখনই সে নিজের জীবন যাপন করতে পারবে।

* ফলাফল তোমার হাতে নেই। কী হবে, তুমি জানো না। তবে তুমি যে কাজই করো না কেন, তোমার সেরাটা দিয়ে করো। ভাগ্য তোমার হাতে এসে ধরা দেবে।

* যেভাবেই হোক, জীবন তো চলেই যায়। তুমি কেবল চোখ-কান খোলা রাখো। আর খুঁজে বের করো, কোন কাজটা তুমি ভালো পারো। সেই কাজ দিয়ে নিজের জীবন নিজের গতিতে চালাও। জীবন কেন তোমাকে চালাবে? তুমি তোমার জীবনের দক্ষ চালক হও।

* বিশ্বাস রাখো নিজের ওপর। আর নিজের দক্ষতার ওপর। সবকিছুই সম্ভব।

* কঠোর পরিশ্রমী হও। লক্ষ্যে স্থির থাকো। একসময় অবাক হয়ে দেখবে, তুমিই সবার ওপরে।

* নিজেই নিজের শিক্ষক হও। নিজেকে সুশিক্ষা দাও, যোগ্যতম করে গড়ে তোলো। কেবল তখনই পৃথিবী তোমার কথায় চলবে।