সুবর্ণা নয় 'বিশ্বসুন্দরী'তে চম্পা

চম্পা
চম্পা

‘রিকশা গার্ল’ ছবিতে অভিনয়ে মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর বড় পর্দার কাজে হাজির হয়েছিলেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজয়ী গুণী অভিনেত্রী চম্পা। আবার শোনা গেল চম্পা আরেকটি ছবিতে কাজ শুরু করেছেন। নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্রে ‘বিশ্বসুন্দরী’ অভিনয় করছেন তিনি। ১৬ জুলাই থেকে নরসিংদীর শিবপুরে এ চলচ্চিত্রের চিত্র ধারণের কাজে অংশ নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গে আছেন এ ছবির নায়ক-নায়িকা সিয়াম ও পরীমনি। সিয়াম ও পরীমনিও এবারই প্রথম একসঙ্গে এ ছবির শুটিং করলেন।

বিশ্বসুন্দরীর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন রুম্মান রশীদ খান। বিশ্বসুন্দরীতে অভিনয় প্রসঙ্গে চম্পা বলেন, ‘এ ছবির গল্প ও আমার অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে জেনেই ছবিটি করতে সম্মত হয়েছি। আমাদের বয়সী অভিনয়শিল্পীদের প্রাধান্য দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা চলচ্চিত্র নির্মিত হয় না। তবে বিশ্বসুন্দরী চলচ্চিত্রে দর্শকেরা আমাকে যে চরিত্রে এবং যেভাবে দেখবেন, তা এর আগে দর্শক আমার কাছ থেকে পাননি। ভালো লাগছে সিয়াম ও পরীমনির সঙ্গে কাজ করতে পেরে। পরীমনির সঙ্গে নাটক করতে গিয়েই বুঝেছিলাম, চলচ্চিত্রের নায়িকা হবার সব ধরনের গুণ ওর মধ্যে রয়েছে। তখন আমিই বেশ কয়েকজন প্রযোজককে পরীমনির কথা বলেছিলাম। আর সম্প্রতি “শান” নামের আরেকটি চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে সিয়ামকে চিনেছি, জেনেছি।’

‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবিতে দেখা যাবে পরীমনি ও চম্পাকে
‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবিতে দেখা যাবে পরীমনি ও চম্পাকে

বিশ্বসুন্দরী প্রযোজনা করছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড। জানা গেছে, এ ছবিতে আরেক গুণী অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার অভিনয় করার কথা থাকলেও তিনি ছবিটি করছেন না। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘সুবর্ণা আপার সঙ্গে আমাদের শুটিংয়ের শিডিউল না মেলার কারণে আমরা তাঁকে পাচ্ছি না। তবে তাঁর আশীর্বাদ সব সময়ই পেয়েছি, আশা করি ভবিষ্যতেও একসঙ্গে আরও কাজ করব।’

গেল জুনে ফরিদপুরে শুরু হয় বিশ্বসুন্দরী ছবির শুটিং। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নিজের চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। প্রথম চলচ্চিত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সবাই অনুরোধ করছিল। আমি নিজেও চেয়েছি, এমন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে, যা সব শ্রেণির দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে। দর্শক হাসবেন, কাঁদবেন, প্রেমের অনুভূতিতে ভাসবেন। কেন জানি এত দিন মনমতো গল্প পাচ্ছিলাম না। কারণ, এমন কোনো গল্প চেয়েছি, যা ড্রয়িং রুমের দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহের দিকে নিয়ে আসতে বাধ্য করবে, সেই সঙ্গে যাঁরা নিয়মিত প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখেন, তাঁদের মনের খোরাকও যাতে জোগাতে পারি। আমার অসংখ্য নাটকের নাট্যকার রুম্মান রশীদ খান। বেশ কিছুদিন আগে তাঁর কাছ থেকে একটি গল্প শোনার পর রীতিমতো আমার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়েছে। তখনই মনে হয়েছে, আমি তো এমন গল্পই আসলে খুঁজছি।’ বিশ্বসুন্দরী ছবির মধ্য দিয়ে কিসের গল্প দর্শককে দেখাতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই গল্প প্রেমের, এই গল্প মানবতার, এই গল্প জীবনের জয়গানের। সৌন্দর্য যে শুধু বাহ্যিক নয়, সৌন্দর্য হতে পারে মন-মননের—তা শক্তিশালী একটি চিত্রনাট্যের মাধ্যমে এই গল্পে ফুটে উঠেছে। আশা করছি, দারুণ এই গল্পকে আমি আমার দীর্ঘ নির্মাণ জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে চলচ্চিত্রে রং ছড়াতে পারব।’