ভাগ্যই আমাকে সিনেমার জগতে নিয়ে এসেছে: জাহরা মিতু

জাহরা মিতু
জাহরা মিতু

দেশের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সিনেমার কাজ শুরু করেছেন জাহরা মিতু। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘আগুন’ সিনেমায় এরই মধ্যে দুই লটের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে বড় পর্দায় নাম লেখানো মিতুর কাজের অভিজ্ঞতা ও আগামীর পরিকল্পনার কথা জানতে যখন কথা হচ্ছিল, তখন সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।

সিলেটে কি শুটিং?
শাকিব ভাই অসুস্থ, তাই শুটিংয়ে কয়েক দিন বিরতি। এই ফাঁকে আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি।

‘আগুন’ সিনেমার শুটিংয়ের প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে কেমন লেগেছিল?
আমার মনে হচ্ছিল না, নাটক নাকি সিনেমায় অভিনয় করছি। ক্যামেরার সামনে এর আগে তো অনেকবার দাঁড়িয়েছি। এরপরও টেনশন কাজ করছিল। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর পর প্রথমবার শট ওকে হওয়ায় খুব ভালো লাগছিল। সুচরিতা ম্যাডাম হাততালি দিচ্ছিলেন।

শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। শাকিব খান যেভাবে স্বাগত জানিয়েছেন, তাতে তিনি বুঝতেই দেননি কত বড় সুপারস্টার তিনি। আমার মনে হচ্ছিল, একজন নতুনকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য সবকিছু তিনি করেছেন।

উপস্থাপনা, নাটক আর গানের ভিডিওতে কাজ নিয়ে তো ভালোই ছিলেন, সিনেমায় অভিনয় করতে এলেন কেন?
অভিনয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যমে কাজ করতে চাই। হয়তো আরও দুই কিংবা তিন বছর পর সিনেমায় অভিনয় করা হতো। মনে মনে চাচ্ছিলাম আর্ট ফিল্মে কাজ করতে। যখন শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব এল, তখন ভাবলাম, দু–তিন বছর আগে হলে সমস্যাটা কোথায়? সুযোগ এসেছে, সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছি।

আপনার সিনেমায় কাজ করার ব্যাপারটিকে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা কীভাবে দেখছেন?
সত্যি কথা বলতে কেউ কখনো ভাবেনি আমি অভিনয়ে আসব, উপস্থাপনা করব! সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অনেকবারই আমার বন্ধুরা রেজিস্ট্রেশন করেছে। আমি সব সময় বলতাম, পড়ালেখাই ভালো। আমার সেই বন্ধুরাই অবাক, আমি নায়িকা! আমি কিন্তু পড়াশোনা করতে গিয়ে নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি—সবকিছুতে অংশ নিতাম। বন্ধুরা তাই বলত, তুই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়ে অভিনয় আর মডেলিং শুরু কর। এখন বুঝি, এটাই আমার জায়গা। আমার পরিবার, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনেক খুশি। ঈদে যখন নানিবাড়ি গেলাম, আমাকে বলছিলেন, জন্মের পরই তোর মাকে বলেছিলাম, মেয়ের চেহারা নায়িকাদের মতো। বুঝলাম, তিনিও খুব খুশি।

সিনেমার পাশাপাশি নাটকে অভিনয় আর উপস্থাপনা কি থাকবে?
ভাগ্যই আমাকে সিনেমার জগতে নিয়ে এসেছে। ভাগ্য যদি এমনও হয়, এটাই আমার শেষ চলচ্চিত্র, তাহলে তো কথা নেই।

শেষ তিন প্রশ্ন
আপনার জীবনের আদর্শ?
আমার মা। অভিনয়ে শাবনূর ও জয়া আহসান।

কোন নায়িকার সৌন্দর্যে ঈর্ষা হয়?
শ্রীদেবী।

বলিউডে সুযোগ পেলে কাকে চাইবেন নায়ক?
আমির খান নাহয় সালমান। যদিও আমার পছন্দের নায়ক শাহরুখ খান।