'গণ্ডি' সন্ধ্যায় আগাম জন্মদিন

গণ্ডি সন্ধ্যায় অভিনয়শিল্পী সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্মদিন উপলক্ষে আগাম জন্মদিনের কেক কাটা হয়
গণ্ডি সন্ধ্যায় অভিনয়শিল্পী সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্মদিন উপলক্ষে আগাম জন্মদিনের কেক কাটা হয়

ছবিটা এখনো আসেনি। শুটিং চলছে। কক্সবাজার আর লন্ডনে শুটিংয়ের পর বেশ কিছুদিন ছিল বিরতি। শুটিং আবার শুরু হওয়ার আগে ‘গণ্ডি সন্ধ্যা’ নাম দিয়ে ছবির শুভানুধ্যায়ীদের ডেকেছিলেন নির্মীয়মাণ গণ্ডি ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান। রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে গত রোববার সন্ধ্যায় ছিল এ আয়োজন।

যাঁরা নানাভাবে এই ছবির পৃষ্ঠপোষণার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন পরিচালক। এরপর তাঁদের বলতে দিলেন কথা। তাঁরা প্রত্যেকেই জানালেন, কেন এই ছবির সঙ্গে তাঁরা যুক্ত হয়েছেন। ঘুরেফিরে দেখা গেল, ছবিতে সব্যসাচী চক্রবর্তী আর সুবর্ণা মুস্তাফার উপস্থিতিই তাঁদের এ ছবির দিকে টেনে এনেছে।

কথা বললেন গণ্ডির মূল আকর্ষণ সব্যসাচী ও সুবর্ণা। একটা নিরাভরণ মঞ্চে তাঁরা হাতে নিলেন মাইক্রোফোন।

সুবর্ণা মুস্তাফা বললেন, ‘আকর্ষণ করেছে ছবিটির স্টোরি লাইন। চমৎকার একটি গল্প। আরেফীন যখন গল্পটা সুন্দর করে বলেছে, হা করে গল্পটা শুনে রাজি হয়ে গেলাম। পরে যখন শুনলাম, আমার প্রিয় একজন অভিনেতা সব্যসাচীদা রাজি হয়েছেন অভিনয় করতে, তখন সোনায় সোহাগার মতো হয়ে গেল। আমার সহ–অভিনেতা যদি সব্যসাচী হন, তাহলে অভিনয় এমনি এমনি ভালো হয়ে যায়।’ সবাইকে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখতে অনুরোধ করেন সুবর্ণা মুস্তাফা।

সব্যসাচী বললেন, ‘আরেফীন যে আমাকে এই ছবিতে অভিনয় করানোর কথা ভাবলেন, সেটাই আমার আশ্চর্য লেগেছে। আমার বয়স ছাড়া আর কোনো কিছুর সঙ্গেই বোধ হয় এই ছবির চরিত্রটির সঙ্গে আমার কোনো মিল নেই। আমি হয় গুন্ডা, নয় পুলিশ, নয় গোয়েন্দা। এ রকম চরিত্রে অভিনয় করেই অভ্যস্ত। সেখানে এ রকম প্রথম জীবনে কিছু অভিনয় হয়তো করেছি, কিন্তু পরে আমার চেহারাগত কারণে কেউ আর আমাকে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করাতে চাননি। আমি উচ্চমানের অভিনেতা নই। আমাকে দয়া করে লোকে কাজ দেয়। সব্যসাচীর নামে ছবিটা চলবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি এই পুরো টিমটার প্রত্যেকের পরিশ্রম, সততা ও আন্তরিকতার ফলেই ছবিটা চলবে।’ তিনি সুবর্ণা মুস্তাফার অভিনয়ের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে ফাখরুল আরেফীন খান জানালেন, ৮ সেপ্টেম্বর সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্মদিন। সে সময় তিনি খুব ব্যস্ত থাকবেন বলে আজই জন্মদিন পালন করা হবে।

চলে এল কেক। সবাই মিলে জন্মদিনের পরিচিত গানটি করলেন। এরপর স্বভাবতই সবার ডাক পড়ল দোতলায়—জন্মদিনের খাবার আয়োজনে।

শুরুতে গান করেছিলেন সাজেদ ফাতেমী। শেষে গান করেন পিন্টু ঘোষ।