আবার প্রভাস-ম্যাজিক

প্রভাস
প্রভাস

সেদিন ছিল এক উজ্জ্বল দুপুর। মেঘ সরিয়ে অনেক দিন পর সুয্যি মামা ভারতের মুম্বাইয়ের আকাশে উঁকি মেরেছিল। সেই মন ভালো করা দুপুরেই স্থানীয় এক পাঁচ তারা হোটেলে বাহুবলীর তারকা প্রভাসের সঙ্গে দেখা। হাজার হাজার তরুণীর ফ্যান্টাসি ভারতের দক্ষিণী এই সুপারস্টার। বলিউড–রূপসীরাও তাঁর নায়িকা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। পাঁচ শতাধিক বিয়ের প্রস্তাব নাকি তিনি পেয়েছেন। অথচ বাস্তবে আপাদমস্তক লাজুক আর বিনয়ী প্রভাস। বাহুবলীর আকাশছোঁয়া সাফল্যও তাঁর মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি।

তারকাখ্যাতিতে একদমই বিশ্বাসী নন দক্ষিণী নায়ক প্রভাস। এ নিয়ে মাথাব্যথাও নেই। প্রভাস বলেন, ‘আমি নিজেকে আজও সুপারস্টার বলে মনে করি না। আমি একজন ভালো অভিনেতা হিসেবে সবার মনে বেঁচে থাকতে চাই।’ এত বড় তারকা হয়েও মাটিতে পা রেখে চলা কতটা মুশকিলের? তার জবাবে এই তারকা বলেন, ‘আমার মনে হয় আমার বন্ধুদের জন্যই আমি মাটির এত কাছাকাছি থাকি। ওরা আমার খ্যাতিকে কখনো আমার মাথায় উঠতে দেয়নি। আমি অতটা সামাজিক নই। যা শিখেছি বন্ধুদের কাছ থেকেই শেখা।’

দক্ষিণ ভারতীয় ছবি উল্টেপাল্টে দিয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসকে। সর্বকালে সর্বোচ্চ আয় করা ভারতীয় ছবি এটি। আর সেই ছবিরই নায়ক প্রভাস। এই সাফল্য আজও তাঁকে বিস্মিত করে। তিনি বলেন, ‘আমি স্বপ্নেও এতটা ভাবিনি। প্রথম বাহুবলীর পর ভেবেছিলাম দক্ষিণ ভারতেই বুঝি ছবিটা চলবে। বলিউড নিয়ে কোনো প্রত্যাশা ছিল না। কিন্তু এখানেও অভূতপূর্ব সাফল্য পেল ছবিটা। মাঝেমধ্যেই আমি বাহুবলী দেখি আর ভাবি যে এতে সত্যি সত্যি আমিই ছিলাম! কখনো কখনো আমার নিজেরই বিশ্বাস হয় না। বাহুবলীর পর জীবন অনেক বদলে গেছে।’

সাহো ছবির পোস্টার
সাহো ছবির পোস্টার

এদিকে সাহো ছবির বাজেট নিয়ে হামেশাই বিটাউনে নানান খবর ভেসে এসেছে। শোনা গেছে, ছবিটি নির্মাণ করতে ৩৫০ কোটি রুপি নাকি ব্যয় হয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে ছবিটি মুক্তির পর থেকে নানান মহল থেকে শোনা যাচ্ছে সমালোচনা। বড় বড় সমালোচক ছবিটিকে বলছেন ‘অর্থের অপচয়’। প্রভাস হয়তো এমন ফলাফল আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। তাই প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘শুধু একটাই প্রার্থনা করি, যেন ছবির লগ্নিটা উঠে যায়। তখন এটাই হবে আমার পারিশ্রমিক।’

বলিউডে গুঞ্জন উঠেছে, এ মুহূর্তে বলিউড আর দক্ষিণ ভারতনির্বিশেষে প্রভাসই নাকি সবচেয়ে দামি অভিনেতা। যদিও এই গুঞ্জনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন এই তারকা। তাঁর কাছে দিন শেষে ছবির লগ্নি উঠে আসা আর দর্শকের তৃপ্তিটাই মূল পারিশ্রমিক। তিনি বলেন, ‘বক্স অফিসের আয়ের মাধ্যমে দর্শকের ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়। তাই আমার কাছে এর গুরুত্ব অনেক। বক্স অফিসের আয়ই বলে দেবে দর্শক আপনাকে পছন্দ করছে কি না।’ তাই দর্শকও সাহোর ক্রান্তিকালে প্রভাসকে হতাশ করেননি। বাহুবলী টু-এর পর প্রভাসের এই ছবিটিও শুধু ভারতেই আয়ের দিক থেকে ১০০ কোটি রুপির কোঠা ছাড়িয়ে গেছে।