ডেঙ্গুর সময় বাবা আমাকে বাড়ির বাইরে পা রাখতে দেননি: শ্রদ্ধা

শ্রদ্ধা কাপুর
শ্রদ্ধা কাপুর
>শ্রদ্ধাকে দেখে অবাক হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্র তারকা প্রভাস। এত রোগা–পাতলা হয়ে কীভাবে কঠিন কঠিন অ্যাকশন করছেন মেয়েটা। বন্দুক হাতে শ্রদ্ধা যেমন সাবলীল, তেমনি নাচের ফ্লোরও মাতিয়ে দিতে পারেন। আবার ‘হাসিনা পারকর’ রূপে সবার মনে ত্রাসও সৃষ্টি করেছেন এই বলিউড রূপসী। এই মুহূর্তে বলিউড নায়িকাদের ইঁদুরদৌড়ে তিনিও এগিয়ে আছেন। সাহো মুক্তির কয়েক দিন আগে মুম্বাইয়ের এক পাঁচ তারা হোটেলে বলিউডের হাসিখুশি অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর প্রথম আলোর মুখোমুখি হলেন।

এত বড় বাজেটের ছবি। তার ওপর প্রভাসের মতো তারকা। নিশ্চয় খুব চাপ?

শ্রদ্ধা কাপুর: খুবই চাপের মধ্যে আছি। এই ছবিতে আমি একটু আধটু অ্যাকশন করেছি। তার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। আসল বন্দুক হাতে ধরে শুট করেছি। অনেক চোট–আঘাত পেয়েছি। 

প্রভাস বলেছিলেন যে আপনি এত ভালো অ্যাকশন করবেন, তা তিনি ভাবতে পারেননি...

শ্রদ্ধা: তাই নাকি! আসলে প্রভাস খুবই সরল ও ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ। সব সময় সব কাজে উৎসাহ জোগায়। ছবির সব দৃশ্য আমার জন্য সে সহজ করে দিয়েছে। তাই আমিও সহজে অ্যাকশন দৃশ্যগুলো করতে পেরেছি। প্রভাসের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয়ে মনে হয়নি যে আমাদের এটা প্রথম সাক্ষাৎ। সিনেমার চেয়ে বেশি খাওয়াদাওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হতো। সেটে প্রভাস আমার জন্য বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসত।

প্রভাস আরও বলেছেন, রোমান্টিক দৃশ্যে আপনি তাঁর থেকে অনেক বেশি সাবলীল ছিলেন...

শ্রদ্ধা: হা হা হা। প্রভাস আমার অনেক প্রশংসা করেছে দেখছি।

অভিনয়ের ব্যাপারে বাবা শক্তি কাপুরের সলাপরামর্শ নেন কি?

শ্রদ্ধা: বাবার ছবির সংখ্যা অগণিত। তিনি সব সময়ই আমাকে কিছু না কিছু পরামর্শ দেন। অনেক সময় বেশি কাজের জন্য আমি যখন ব্যস্ত থাকি, তখন বাবা আমাকে আরাম করতে বলেন, ধীরেসুস্থে কাজ করার পরামর্শ দেন। ডেঙ্গুর সময় বাবা আমাকে বাড়ির বাইরে পা রাখতে দেননি।

আপনি তো পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন। এবার অবসরে কোথায় যাবেন?

শ্রদ্ধা: হ্যাঁ, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে আমি দারুণ ভালোবাসি। তবে এখন হাতে একদম সময় নেই। তাই কোথাও যেতে পারছি না। জানেন, আমাদের এই পারিবারিক সফরকে সব সময় মাতিয়ে রাখেন আমার বাবা। এত মজা করেন যে আমরা হাসতেই থাকি। আমার বাবা সবচেয়ে বড় কার্টুন।

মুম্বাইয়ে থাকলে অবসর সময়ে কী করেন?

শ্রদ্ধা: বাড়িতে আমার নিজস্ব একটা বারান্দা আছে। ওই জায়গাটা আমার খুব প্রিয়। অবসরে ওখানেই আমি সময় কাটাই। এই বারান্দাতে আমি বাহারি ফুলের গাছ লাগিয়েছি। এই গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে আমার সময় কেটে যায়।

বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান না?

আমি কারও সঙ্গে খুব বেশি বন্ধুত্ব করতে পারি না। স্কুলজীবনে গুটিকয়েক বন্ধু ছিল, তারা আজও আমার সঙ্গে আছে। তাদের আমি খুব মিস করি। এই বন্ধুরাই আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক। তারা আমার ভালো–মন্দ সব দিক তুলে ধরে।

অভিনেত্রী মানেই সব সময় সেজেগুজে থাকতে হবে। এটা কি আপনার কাছে খুব চাপের?

শ্রদ্ধা: আমি খুব সাধারণ থাকতে ভালোবাসি। আরামদায়ক পোশাক পরতে পছন্দ করি। কিন্তু যেখানে সেজেগুজে যেতেই হবে, সেখানে সেভাবেই যাই।

এবার একটু সিনেমার প্রসঙ্গে আসি। ‘সাইনা’ ছবির জন্য আপনি অনেক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ছবিটা ছাড়ার জন্য কি অনুশোচনা হচ্ছে?

শ্রদ্ধা: এই ছবিটার সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরে যুক্ত ছিলাম। অনেক সময় খরচ করেছি সাইনার জন্য। এমনকি আমি ব্যাডমিন্টন ক্লাসেও গিয়েছি। কিন্তু এরপর আমার ডেঙ্গু হয়ে যায়। তা ছাড়া সে সময় রেমো ডি’সুজা আমাকে স্ট্রিট ডান্সার ছবির প্রস্তাব দেন। তিনি আমাকে এবিসিডি টু ছবিতে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তাই আমি তাঁকে আমার গুরু মনে করি। দুটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে পারতাম না। তাই আমাকে এই দুটি ছবির প্রযোজক ভূষণ কুমার যেকোনো একটাকে বেছে নিতে বলেন। সে অর্থে অনুশোচনা নেই। তবে মনে হয়, যদি আমি দুটি ছবিই করতে পারতাম, তাহলে ভালো লাগত।