কেবিসির প্রথম কোটিপতি সনোজ

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানের একাদশ মৌসুমের প্রথম কোটিপতি সনোজ রাজ ও সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন। ছবি: ভাইরাল ভায়ানির ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানের একাদশ মৌসুমের প্রথম কোটিপতি সনোজ রাজ ও সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন। ছবি: ভাইরাল ভায়ানির ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে

একাদশ মৌসুমের প্রথম কোটিপতির দেখা পেয়েছে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ (কেবিসি)। ভারতের সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান কেবিসির গতকাল শুক্রবার রাতের বিশেষ পর্বটিকে অসাধারণ করে তোলা সেই কোটিপতি প্রতিযোগীর নাম সনোজ রাজ। অনুষ্ঠানটিতে দেখা গেছে, এবার এই প্রতিযোগিতায় ১৬টি প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া প্রথম প্রতিযোগী তিনি।

বিহারের জেহানাবাদের বাসিন্দা সনোজ রাজ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সনোজের ইচ্ছা, তিনি আইএএস (ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) অফিসার হবেন। কোটিপতি হওয়ার পরেও সে স্বপ্ন বদলে যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে ইউটিউবে প্রকাশিত সনি টিভির ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র বিশেষ পর্বের ৩০ সেকেন্ডের প্রোমোতে দেখা যায়, সনোজ রাজকে সাত কোটি রুপির জন্য প্রশ্ন করা হয়েছে। আর তারপরই বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ও কেবিসির সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন বলেন, ‘এই হলো সাত কোটির প্রশ্ন।’ এই পর্বটি নিয়ে তাই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

সনোজকে এক কোটি রুপি জিতিয়ে দেওয়া প্রশ্নটি ছিল, ‘ভারতের কোন প্রধান বিচারপতির পিতা কোনো ভারতীয় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন?’ প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার জন্য সনোজ তাঁর চূড়ান্ত লাইফলাইন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। সনোজ ‘বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞেস করুন’ নামক সেই লাইফলাইনটি ব্যবহার করেন। বাকিটা ইতিহাস।

খেলার সাত কোটি রুপি মূল্যের চূড়ান্ত প্রশ্নে আটকে যান সনোজ। বিশেষ পর্বের এ পর্যায়ে এসে খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ষোড়শ যে প্রশ্নটি নিয়ে সনোজ দ্বিধান্বিত ছিলেন, সেটি ছিল, ‘কোন ভারতীয় বোলারের একক রানে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান শততম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরির দেখা পান?’

সনোজ তাঁর জ্ঞান, মেধা আর প্রতিভা দিয়ে কেবিসির সঞ্চালক বিগ বিকে (অমিতাভ বচ্চন) মুগ্ধ করেছেন। শো চলার সময় স্বাস্থ্য এবং পরিবেশনীতি নির্ধারণে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সনোজ।

নিজের এই বিশাল জয়ের প্রতিক্রিয়ায় সনোজ রাজ বলেন, ‘এ জয় আমার জন্য পরম আনন্দের। এটি আমার জীবনের এক যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে থাকবে। এখন কেবল আরও অনেক মাইলফলক অর্জনে এগিয়ে যাব। আমি বিশ্বাস করি, কঠোর পরিশ্রম ও প্রাণপণ চেষ্টা করে, মন দিয়ে লেগে থাকলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা যায়। লক্ষ্য অর্জনে আত্মোৎসর্গ থাকলে অর্জনের পথ উপভোগ্য হয়ে ওঠে।’