প্রতীক্ষিত ৫ অ্যানিমে

অ্যানিমে ব্যাপারটা ‘খাইলে চাইবেন, না খাইলে পস্তাইবেন’-এর মতো। যাঁরা দেখেন তাঁরা এতে বুঁদ। আর যাঁরা একবার মজা পেয়ে যান, তাঁদের এটা ছাড়া যেন চলেই না। বিশ্বব্যাপী এত চাহিদা কী করে এড়াবে নেটফ্লিক্স? তাই গত কয়েক বছরে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের এই সাইট বিশাল অঙ্কের অর্থ এবং সময় বরাদ্দ রেখেছে অ্যানিমের জন্য। ২০১৮ সালে এতে মুক্তি পেয়েছে ৩৫টি অ্যানিমে সিরিজ ও সিনেমা। এ বছরও বেশ কিছু এসেছে। আসি আসি করছে আরও কিছু। অ্যানিমেভক্তরা নেটফ্লিক্সে যেসব সিরিজ দেখার জন্য চাতক পাখির মতো প্রতীক্ষা করছেন, সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন।
সেইস মানোস
সেইস মানোস

সেইস মানোস
মুক্তি পাবে: ৩ অক্টোবর ২০১৯
পরিচালক: ব্র্যাড গ্র্যাবার ও আলভারো রদ্রিগেজে
পর্ব:
ক্সিকোর প্রেক্ষাপটে এটাই পয়লা অ্যানিমে সিরিজ। দেশ মেক্সিকো হলেও গল্পের শহরটি কাল্পনিক—স্যান সাইমন। সত্তরের দশকের দুই তরুণ ও এক তরুণী এর প্রধান চরিত্র। তিনজনই অনাথ, চীনা মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষিত। গুরু খুন হলে বদলা নিতে নামে এই তিন তরুণ। স্প্যানিশ ‘সেইস মানোস’ অর্থ ছয় হাত। তিন তরুণের ছয় হাত আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে মার্কিন ও মেক্সিকান পুলিশের সহযোগিতায়।

বিস্টার্স
মুক্তি পাবে: অক্টোবর ২০১৯
পরিচালক: শিনিচি মাতসুমি
পর্ব: জানা যায়নি
বুনো প্রাণীর জগৎ নিয়ে এই সিরিজ। তৃণভোজী আর মাংসাশী প্রাণীদের এই জগতের এক হায়েনার নাম রাগোশি। নামটা মেজাজি, চেহারাও কঠোর, তবে মনটা বেশ কোমল। সে বেড়ে উঠেছে আতঙ্ক নিয়ে। ছেলেবেলা থেকে অন্য সব প্রাণীর কাছে কেবল আঘাতই পেয়েছে। ফলে মনটা হয়ে গেছে ছোট। এই জীবনে মানিয়েও নিয়েছিল নিজেকে। কিন্তু তার মতোই আরও কিছু ভুক্তভোগী সহপাঠী পেতেই জীবনটা বদলে গেল। রাগোশি তার স্কুলের চেহারা বদলে দিতে শুরু করল। পারু ইতাগাকির একাধিক পুরস্কারজয়ী মাঙ্গা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে বিস্টার্স।

ডাইনো গার্ল গোকু
মুক্তি পাবে: ২০১৯ সালের শেষ দিকে
পরিচালক: আকিরা শিগিনো
পর্ব: জানা যায়নি
দুই যমজ বোন, নাম নাওকো ওয়াতানাবে। এদের মধ্যে একজন রেগে গেলে একেবারে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যায়! রীতিমতো হাল্কের শিশুতোষ সংস্করণ। ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’ নীতিতে আস্থা না রেখে ওয়াতানাবে বনে যায় ডায়নোসরে। খুব বেশি চটে গেলে মুখ দিয়ে আগুনও বের হয়। বোঝাই যাচ্ছে, শিশুতোষ কমেডি সিরিজ বানিয়েছেন আকিরা শিগিনো। তবে বুড়োরাও যে এই সিরিজ চেখে দেখবেন, তা আন্দাজ করতে বেগ পেতে হয় না। কারণ, শিগিনো পরীক্ষিত নির্মাতা। এর আগে বানিয়েছেন ক্রেয়ন শিন–চ্যান, লাইন টাউন, ওসুমাৎসু–কুন–এর মতো জনপ্রিয় কিছু টিভি সিরিজ।

ক্যারোল অ্যান্ড টিউয়েজডে
ক্যারোল অ্যান্ড টিউয়েজডে

ক্যারোল অ্যান্ড টিউয়েজডে (দ্বিতীয় পর্ব)
মুক্তি পাবে: ২০১৯ সালে শেষ দিকে
পরিচালক: শিনিচিরো ওয়াতানাবে ও মোতোনোবু হোরি
পর্ব: ১২
প্রথম পর্ব পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। ফলে দ্বিতীয় পর্বের জন্য জাপানের দিকে তাকিয়ে আছে অনেকেই। জাপানে দ্বিতীয় পর্ব চলছে, শেষ হলেই বিশ্বের বাকিদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাবে। সিরিজের স্থান মঙ্গলগ্রহ, কাল নিকট ভবিষ্যৎ। মঙ্গলে নকল এক পৃথিবী গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দা এক রাজনীতিবিদের কিশোরী কন্যা টিউয়েজডে সিমনস। সংগীতশিল্পী হবে বলে ঘর ছাড়ে কেবল গিটারটা সঙ্গী করে। অ্যালবা শহরে চলতিপথে পেয়ে যায় ওরই মতো আরেক সংগীতপিয়াসী ক্যারোল স্ট্যানলিকে। শুরু হয় ক্যারোল অ্যান্ড টিউয়েজডের পথচলা।

লেভিয়াস
লেভিয়াস

লেভিয়াস
মুক্তি পাবে: ২০১৯ সালের শেষ দিকে
পরিচালক: হিরোউয়ুকি সেশিতা
পর্ব: জানা যায়নি
পুরোদস্তুর সাই–ফাই অ্যানিমে সিরিজ। আসলে কী হবে কেউ ঠিক বলতে পারছে না, তবে অ্যানিমে–পণ্ডিতেরা মনে করছেন, চমৎকার কিছু আসছে। গল্পের প্লট অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে নেটফ্লিক্স। এমন এক সময়ের গল্প যখন যন্ত্রপাতি চলছে বাষ্প দিয়ে। প্রযুক্তির ঝকমারিতে মানবশরীরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে যন্ত্র। এই মানব–যন্ত্ররা আবার অংশ নেয় সাইবার–কুস্তিতে। ভীষণ জনপ্রিয় এই কুস্তিতে নাম লেখায় লেভিয়াস নামের এক তরুণ। জীবনের ধ্রুবতারাই করে ফেলে সাইবার–কুস্তিকে। কিন্তু ভবিষ্যৎ কী রেখেছে তার কপালে?

গ্রন্থনা: মাহফুজ রহমান