এখনো আঁতকে ওঠেন কিম

কিম কারদাশিয়ান। ছবি: রয়টার্স
কিম কারদাশিয়ান। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, মডেল ও অভিনয়শিল্পী কিম কারদাশিয়ানের বছরের শুরুটা ভালো যায়নি। তিনি সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিমের সেই কঠিন দিনগুলোর কথা।

কিম কারদাশিয়ানের বোন কোর্টনি কারদাশিয়ান সম্প্রতি নিজের ওয়েবসাইট চালু করেছেন। ওয়েবসাইটটি জীবনযাপন নিয়ে। নাম ‘পুশ’। সেখানেই কিম লিখেছেন, ‘এক রাতে আমি ঘুম থেকে জেগে দেখি, ফোনটা বাজছে। কিন্তু সেটা ধরতেই পারলাম না। অনেক ব্যথা। ভাবলাম, হয়তো মাথার নিচে হাত দিয়ে ঘুমিয়েছি, তাই। ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সকালে উঠে দেখি একই অবস্থা। ফোন ধরতে পারি না। তারপর দেখি ব্রাশও না।’

যখন কিম কারদাশিয়ানের বয়স মাত্র ২৫, তখন প্রথম কিম তাঁর মুখে, গায়ে, পায়ে লাল লাল র‍্যাশ দেখতে পান। তাঁর এক প্রতিবেশী ছিল চর্মবিশেষজ্ঞ। তিনি কিমকে এক ধরনের চিকিৎসা দেন। এড্রিনালিন গ্রন্থি নিঃসৃত এক ধরনের হরমোন। ফলে পাঁচ বছরের মধ্যে আর ফিরে আসেনি সোরিয়াসিস। পরবর্তী আট বছর ভুগেছেন, তবে খুব বেশি নয়। কিন্তু এ বছরের শুরুতে নতুন ভবে হানা দেয় এই রোগ।

কিম কারদাশিয়ান। ছবি: রয়টার্স
কিম কারদাশিয়ান। ছবি: রয়টার্স

৩৮ বছর বয়সী এই ‘কিপিং আপ উইথ দ্য কারদাশিয়ানস’ তারকা আরও লিখেছেন, ‘গত আট বছরে অন্য দাগগুলো প্রায় মিলিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ডান পায়ের নিচের দিকে বড় দাগ ছিল। আমি ওই দাগ নিয়েই বেঁচে থাকা শিখেছি। কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা ছাড়াই। মাঝে মাঝে ঢেকে রাখতাম। আবার খোলাও থাকত। ওই দাগ নিয়ে আমি আসলে অতটা চিন্তিত নই।’

সোরিয়াসিসের একপর্যায়ে কিমের সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস হয়। তাঁর মা ক্রিস জেনারেরও নাকি এ রকম ছিল। বছরের শুরুর দিকের কথা মনে করে কিম আরও লিখেছেন, ‘আমার মনে আছে, আমি ক্যারোলিনা লেমকের সানগ্লাসের একটা সংবাদ সম্মেলনে ছিলাম বেগুনি রঙের বুট জুতা, সাপের গায়ের মতো প্রিন্টের প্যান্ট পরে। আর টয়লেটে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। যে বুট জুতা পরেছিলাম, আমার গোড়ালিতে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। জামা-কাপড় পরতে, খুলতেও আরেকজনের সাহায্য লাগত। তখন বুঝলাম, শুধু সোরিয়াসিস নয়, আমার আর্থ্রাইটিসের ভয়াবহ সমস্যা শুরু হয়েছে।’

নিজের চেহারা দেখে আঁতকে ওঠেন কিম কারদাশিয়ান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
নিজের চেহারা দেখে আঁতকে ওঠেন কিম কারদাশিয়ান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

এখন কেমন আছেন কিম কারদাশিয়ান? বছরের শুরুর দিনগুলোর তুলনায় বেশ ভালো। তবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। চিকিৎসা চলছে। কিম লিখেছেন, ‘এখনো ওই ব্যথার কথা মনে করে আঁতকে উঠি। কিন্তু এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি, খুশি আছি। ডায়াগনোসিস করিয়েছি। অটোইমিউনের যে পরিস্থিতিতে আমি ছিলাম, তাতে সঠিক চিকিৎসা আর যত্নের কল্যাণে সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। সেটাই চলছে।’

কিম কারদাশিয়ান ইদানীং নিজের খুব খেয়াল রাখেন। বিশেষ করে খাবার আর ব্যায়ামের ক্ষেত্রে খুবই সচেতন তিনি। সামুদ্রিক শৈবাল আর উদ্ভিদজাত খাবার খান। যত কাজই থাকুক, ব্যায়াম করতে ভোলেন না।