সাইফের না, বিরক্ত কারিনা

একেবারেই সাদামাটা কারিনা কাপুর খান, সাইফ আলী খান ও তৈমুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
একেবারেই সাদামাটা কারিনা কাপুর খান, সাইফ আলী খান ও তৈমুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

কারিনা কাপুর আর সাইফ আলী খান। এই মুহূর্তে তাঁরা বলিউডের আদর্শ জুটিদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু তাঁদের খুব কমই বলিউডের পার্টি, চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো কিংবা এ ধরনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় নন।

সম্প্রতি পতৌদি রাজপ্রাসাদে ৩৯তম জন্মদিন পালন করেন কারিনা। আর এবার ‘দ্য লাভ লাফ লিভ শো’তে জানালেন সাইফ আলী খানের বিরক্তিকর অভ্যাস। ডিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফ নাকি যেকোনো কিছু শোনার সঙ্গে সঙ্গে আগে ‘না’ বলেন। আর এ জন্য নাকি সাইফের ওপর মাহাবিরক্ত কারিনা। বললেন, ‘সে কোনো কিছু শুনেই তাৎক্ষণিকভাবে বলে, “উহু, না।” এই ধরুন, সোফাটা বদলানোর প্রস্তাব দেওয়া হলো। সে বলবে, “না থাক, দরকার নেই।” আমি বলি, কাম অন সাইফ! তারপর দুই বা তিন ঘণ্টা পর ফোনে মেসেজ আসে, “আমার মনে হয়, সোফাটা বদলানো দরকার।”’

কারিনা আর সাইফ, দুজনই প্রচুর কাজ করেন। ফলে তাঁদের বন্ধুত্ব করার বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার সুযোগ নেই বললেই চলে। যেটুকু সময় পান, নিরিবিলি সময় কাটান। তৈমুরকে নিয়ে মেতে থাকেন। নিরিবিলি সময় কাটান। কারিনার বরাত দিয়ে ডেকান ক্রনিকলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁরা উভয়েই চলচ্চিত্র পরিবারের হলেও বলিউডে তাঁদের বন্ধুসংখ্যা খুবই কম। নেই বললেই চলে। বলিউডে খুব কম যে মানুষগুলোকে বন্ধু হিসেবে মানেন তিনি, তাঁদের প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে পারিবারিক সম্পর্কসূত্রে আত্মীয়।

একটা সাধারণ সন্ধ্যা কেমন কাটে, যে সন্ধ্যায় কারিনা বা সাইফের শুটিং বা অন্য কোনো কাজ থাকে না? কারিনা জানিয়েছেন, গড়পড়তা সন্ধ্যা মানেই নাকি সাইফের বই পড়া। আর অনেকগুলো জ্বলন্ত মোমবাতি। সাইফ আলী খান নাকি সময় পেলেই বই নিয়ে বসে যান। প্রচুর বই পড়েন। আর সব মানুষের জন্য যে সন্ধ্যা অতিসাধারণ, কারিনা আর সাইফের কাছে তা অসাধারণ। অনেক মূল্যবান। মাঝে মাঝে এমন সন্ধ্যায় সাইফ আলী খান বই বন্ধ রেখে গায়ে অ্যাপ্রোন জড়িয়ে সোজা ঢুকে পড়েন রান্নাঘরে।

স্ত্রী কারিনাকে নিজের রন্ধনশিল্পের প্রমাণ দেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা বা রাত আটটার ভেতরে তাঁরা ‘ক্যান্ডেল লাইট ডিনার’ সারেন। গড়ে সপ্তাহে তিন দিন এমন সন্ধ্যা কাটান এই দম্পতি। হালকা গল্প করতে করতে রাতের খাবার খেয়ে নেন। আর সেই সময় নাকি তৈমুর আশপাশ দিয়ে দৌড়ে বেড়ায়।