নওশাবার সহশিল্পী বিড়াল

এসো সুসংবাদ এসো ছবিতে পিনু রসিদ ও কাজী নওশাবা আহমেদ।  ছবি: সংগৃহীত
এসো সুসংবাদ এসো ছবিতে পিনু রসিদ ও কাজী নওশাবা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ছোটবেলায় প্রাণী পছন্দ ছিল অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের। পুষতেন নয়টি বিড়ালও। আজ একটিও নেই। খবর এল, ক্যামেরার সামনে অভিনয় করতে হবে একটি বিড়ালের সঙ্গে। এক কথায় ‘হ্যাঁ’ বলে দিলেন। শুটিংয়ের দিনগুলো যেন শৈশব হয়ে ফিরে এসেছিল তাঁর কাছে।

এসো সুসংবাদ এসো নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং হলো সম্প্রতি। সেখানে নওশাবার সহশিল্পী একটি বিড়াল। এক দম্পতির সন্তান নেওয়া ও না নেওয়ার গল্প নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটির কাহিনি। এটি পরিচালনা করেছেন তানভীর চৌধুরী। কাজী নওশাবা বলেন, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই প্রাণীর সঙ্গে সম্পর্ক। একা বড় হয়েছি। তাই পশুপাখিই ছিল আমার খেলার সঙ্গী। ওদের সঙ্গে ভীষণ বোঝাপড়া। এই ছবিতে আমার গুরুত্বপূর্ণ সহশিল্পী ছিল একটি বিড়াল। আমার একসময় নয়টা বিড়াল ছিল। বিড়ালগুলো এক এক করে নেই হয়ে যায়। শুটিং করতে গিয়ে অনেক দিন পর মনে হয়েছে, ছোটবেলার বন্ধুকে ফিরে পেয়েছিলাম।’
নওশাবা জানান, মূলত একটি বিড়ালকে রূপক ধরে একটি মেয়ের জীবনে মাতৃত্ব কত গুরুত্বপূর্ণ, তা দেখানো হয়েছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটিতে নওশাবার সঙ্গে আরও দেখা যাবে পিনু রসিদ, গালিব আহমেদ ও মনিষা অর্চিকে।
তরুণ চলচ্চিত্রকার খুঁজে বের করার প্রতিযোগিতা মেরিল-প্রথম আলো ফেইম ফ্যাক্টরির প্রথম আসরের চূড়ান্ত তিনটি ছবির একটি এসো সুসংবাদ এসো। ছবিটি প্রযোজনা করা হয়েছে মেরিল-প্রথম আলো ফেইম ফ্যাক্টরি থেকে। ছবির পরিচালক তানভীর আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা একটা সুন্দর দল পেয়েছি। অনেক মজা করে কাজ করেছি। চার থেকে পাঁচ দিন শুটিং হয়েছে। কষ্ট হয়েছে, তবে ভালো লাগছে কাজটি শেষ হয়েছে। ছবিটি যে রসগুলোর ভেতর দিয়ে গেছে তা দর্শকের ভালো লাগবে। দেখে মনে হবে, অনেকের জীবনেই এমন গল্প আছে।’

মেরিল-প্রথম আলোর প্ল্যাটফর্ম ‘ফেইম ফ্যাক্টরি’ থেকে আয়োজন করা হয় ‘আগামীর নির্মাতা’ প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে তরুণ নির্মাতাদের খুঁজে বের করা হয়। অনূর্ধ্ব ৪০ বছরের তরুণেরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ১০ জনকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়। তাঁরা ফেইম ফ্যাক্টরির পৃষ্ঠপোষকতায় একটি করে মোট ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানানোর সুযোগ পান। এতে অর্থ সহযোগিতা করে মেরিল-প্রথম আলো ফেইম ফ্যাক্টরি। এরপর ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থেকে বিচারকদের রায় ও দর্শকদের ভোটে বেছে নেওয়া হয় সেরা তিনটি ছবিকে। সেরা তিন চলচ্চিত্রকার সুযোগ পান তাঁদের স্বপ্নের ছবি নির্মাণে। ছবিটি আগামী ডিসেম্বর মাসে দেখা যাবে।