এত ভালো কেমিস্ট্রি নাকি দেখাই যায় না: জ্যোতিকা জ্যোতি

>২০ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ছবিটি। এক সপ্তাহ পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী জ্যোতিকা জ্যোতি ও ভারতের ঋত্বিক চক্রবর্তী। কলকাতা থেকে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বললেন জ্যোতি।
জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ছবির প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষার্থীরা আপনাদের নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলেন। কেন, বাংলাদেশি বলে?
প্রথমত ছবিটায় শরৎচন্দ্রের গল্পকে নতুন করে তুলে ধরা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত এতে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক, তৃতীয়ত পরিচালক প্রদীপ্তর একটা অন্য রকম গ্রহণযোগ্যতা আছে সেখানে। সবশেষে আমি এঁদের ছবির ‘রাজলক্ষ্মী’। আর বাংলাদেশের ব্যাপারে তাঁরা ভীষণ ইতিবাচক।

সেটা কি খানিকটা জয়া আহসানের কারণেও? তিনি যাবেন আপনার ছবি দেখতে?
জয়া আপাকে এখানকার সবাই খুব শ্রদ্ধা করেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমার ছবি দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

আপনাদের ছবি কি সুপারহিট তকমা পাওয়ার মতো, নাকি কেবলই হৃদয় স্পর্শ করবে?
দুটোই। কারণ, এখনকার কলকাতায় মেইন স্ট্রিম সিনেমা বলতে যা বোঝায়, রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত সে রকম ছবি। তা ছাড়া আমাদের ছবিতে নাচ-গানও আছে। ইতিমধ্যে ট্রেলার ও গানগুলো মানুষের ভালো লেগেছে। প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে আমরা সেটা টের পেয়েছি। মানুষ ইতিমধ্যে গুনগুন করে গাইতে শুরু করেছে ‘আমার ভুল হয়ে গেছে প্রিয়...’

কলকাতায় ছবি শুরু করার আগে-পরে সেখানকার প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখেছেন?
ছবি শুরু করার আগে নাচ-গানের জন্য আমাকে ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে। সেখানকার বাংলাটা রপ্ত করার জন্য পথে হেঁটে চলাফেরা করেছি, পাবলিক বাসে চড়েছি। পরিচালক বলেই দিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত গাড়িতে যেন না চড়ি। ছবিটি তৈরিতে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে। প্রথম দুই বছর কলকাতায় মুক্তি পাওয়া প্রায় সব ছবি আমি দেখেছি। সেটা নিজের প্রয়োজনেই। জানতে চেয়েছি কে কী করছে, কীভাবে করছে।

ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন?
খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেছে আমাদের। পরিচয়ের পর দেখলাম আর দশটা সাধারণ ছেলের মতোই তাঁর ব্যবহার। তিনি যে একজন বড় তারকা, সে রকম কোনো আচরণ করতে দেখিনি। তাতেই আমার ৭০ ভাগ ভয় কেটে গেছে। শুটিং শুরুর প্রায় এক বছর আগে থেকে আমরা একসঙ্গে আড্ডা আর ঘোরাঘুরি করতে শুরু করি। পরে দেখা গেল, আমাদের বেশির ভাগ শট এক টেকে হয়েছে। সবাই অবাক! বলেছে, এত ভালো কেমিস্ট্রি নাকি দেখাই যায় না।

কলকাতায় কাজ করতে যাওয়া কেন?
আমি আসলে একটা জায়গা চেয়েছিলাম। কলকাতায় কাজ করতে যাচ্ছি বা বেশি টাকা রোজগারের জন্য যাচ্ছি, সেসব মাথায় ছিল না। দরকার ছিল ভালো একটা কাজ। ভালো গল্প, ভালো পরিচালক, ভালো প্রজেকশন, ভালো দর্শক। সবটা মিলে গেছে। আমি নিজেকে এক্সপ্লোর করতে চেয়েছি, টাকার কথা ভাবিনি। কারণ, তিন বছর ধরে আমি এই কাজটাই করেছি। আমার বিশ্বাস, এই কাজ আমার হয়ে কথা বলবে।

কয়টি হল পেল ছবিটি?
পশ্চিমবঙ্গে ৩০টি হল পেয়েছি।