এলটন জন মরতে বসেছিলেন

এলটন জন ছবি: এএফপি
এলটন জন ছবি: এএফপি

ঘাতক ব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী স্যার এলটন জন। মূত্রনালির ক্যানসারে আক্রান্ত জন প্রায় মরতে বসেছিলেন। প্রায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান এই খ্যাতিমান সংগীত তারকা। নিজের জীবনীতে সেসব তুলে ধরেছেন এলটন জন।

এ মাসেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে এলটন জনের আত্মজীবনী ‘মি’। সেখানে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া এবং সে সময়ের অনুভূতি নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে নেওয়া হয় লন্ডনের কিং এডওয়ার্ড সেভেন হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানানো হয়েছিল আমার অবস্থা শোচনীয়। তখনকার সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো সরঞ্জাম সেই হাসপাতালে ছিল না।’

মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটা সংক্রমণ বাধিয়ে এনেছিলেন এলটন জন। সেটাই তাঁর জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি লিখেছেন, ‘চিকিৎসকেরা ডেভিডকে (জনের সঙ্গী) বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি মরতে যাচ্ছি। ওই দক্ষিণ আমেরিকান চিকিৎসক যদি সেদিন না থাকতেন, আমি শেষ হয়ে যেতাম।’

এলটন জন সত্যিই ভীষণ ভাগ্যবান। ৭২ বছর বয়সী এই শিল্পী লিখেছেন, ‘সেই রাতে হাসপাতালের বিছানায় একাকী শুয়ে শুয়ে ভেবেছি, যদি মরে যাই? শেষ রাতে প্রার্থনা করেছিলাম, দয়া করে আমাকে নিয়ে যেয়ো না, সন্তানদের আবার দেখার সুযোগ করে দাও, আমাকে আর কিছুটা সময় দাও।’

২০১৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ক্যানসার থেকে মুক্ত হন জন। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়েই অসুখটা ধরা পড়েছিল। কিন্তু মাত্র ১০ দিন পরই লাস ভেগাসে এক কনসার্টের সময় ব্যথা অনুভব করতে থাকেন তিনি। সার্জারির জায়গাটা থেকে তরল পদার্থ বের হচ্ছিল, যেটা সচরাচর হতে দেখা যায় না। যদিও নিয়মিত পরীক্ষা ও চিকিৎসকদের দেখভালে সেটা সেরে যায়। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফেরেন তিনি।

শিগগির নতুন সংগীতসফর শুরু করতে যাচ্ছেন এলটন জন। আর তাঁর আত্মজীবনী মি প্রকাশিত হবে চলতি মাসের ১৫ তারিখে। পিপল ও এসশোবিজ