বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ১৮ পদে লড়বেন ২৭ জন

সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, মৌসুমী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা ও জায়েদ খান প্রার্থী হয়েছেন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, মৌসুমী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা ও জায়েদ খান প্রার্থী হয়েছেন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদি নির্বাচনে তিন পদে বিনা বাধায় নির্বাচিত হয়েছে তিনজন। তাঁরা হলেন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর ও কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদ। গতকাল সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ওই তিন পদে তিনজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। তিনজনই মিশা-জায়েদ প্যানেলের। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীরের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সাইফুলের মনোনয়নপত্রটি সমিতির গঠনতন্ত্রের ৯(৩) ধারায় বাতিল হয়ে গেছে।

প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে বাকি ১৮ পদের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আছেন সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ও মৌসুমী। সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা ও জায়েদ খান। দুটি সহসভাপতি পদে ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সহসাধারণ সম্পাদক পদে আরমান ও সাংকোপাঞ্জা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও মামুনুন ইমন। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাকির হোসেন ও ডন। ১১টি কার্যকরী সদস্য পদের জন্য লড়বেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, বাপ্পারাজ, মারুফ আকিব, রোজিনা, রোঞ্জিতা ও শামীম খান (চিকন আলী)।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর প্রধান নির্বাচন কমিশন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছি। ঘোষিত সময়েই ভোট গ্রহণ হবে।’ তিনি প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ভোটারকে অর্থের বিনিময়ে প্ররোচিত, বাসায় গিয়ে প্রভাবিত কিংবা ভোটারকে ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়ে যদি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, এবং সে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে।