নতুন দলের নতুন নাটক

কালিদাস নাটকের দৃশ্য। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
কালিদাস নাটকের দৃশ্য। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

শনিবার, শারদীয় নাট্যোৎসবের দ্বিতীয় দিন। ঢাক কুরকুর, ঢাক কুরকুর—অবিরাম বাজছে সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি মানসিংহের স্মৃতিবিজড়িত রাজারবাগের গঙ্গাসাগর দিঘির পাড়ে। বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির প্রাঙ্গণে তিলধারণের ঠাঁই নেই। এখানে বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান পরিচালনা কমিটির আয়োজনে উৎসবের দ্বিতীয় রাতে নতুন নাটক দেখল দর্শক। থিয়েটার ’৫২-র পঞ্চম প্রযোজনা কালিদাস নাটকের প্রথম মঞ্চায়ন হয় এখানে।

প্রথম প্রদর্শনী, তবে উদ্বোধন নয়। বিশেষ প্রদর্শনী, প্রচলিত ভাষায় যাকে বলে ‘অনকল শো’।

নাটকটি লিখেছেন অপূর্ব কুমার কুণ্ডু। তিনি বলেন, কালিদাসকে নিয়ে ঐতিহাসিক জীবনীগ্রন্থ পাওয়া যায় না, অথচ তাঁর রচিত প্রায় সব গ্রন্থ পাওয়া যায়। সংস্কৃত থেকে সেগুলো বাংলায় অনুবাদের সুবাদে অনায়াসে পড়েও নেওয়া যায়। কালিদাসের শৈশব-কৈশোর-যৌবন-বার্ধক্য স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও ডালে বসে সেই ডালের গোড়া কাটা কিংবা বাসরঘরে স্ত্রীর ভর্ৎসনা—সেসব তো এককথায় প্রচলিত গল্প। সেসব গল্পের কুয়াশা ভেদ করে কালিদাসকে আপন করে দেখতে চাওয়ার চেষ্টাই দেখা গেছে কালিদাস নাটকে।

নাটকটিতে ‘কালিদাস’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নজরুল ইসলাম, ‘রাজকন্যা বিদ্যাবতী’ চরিত্রে রুমি প্রভা। প্রদর্শনীতে ‘দেবী সরস্বতী’ চরিত্রে হাজির হয়েছিলেন নাটকের নির্দেশক জয়িতা মহলানবীশ। ছিলেন আদিব মজলিশ খান, রাসেল খান, এম পারভেজ, দিপু আহমেদ, রুদ্র রায় প্রমুখ। নাটকের এই প্রদর্শনীকে উদ্বোধনী বা কারিগরি—কোনোটাই বলছেন না নির্দেশক জয়িতা মহলানবীশ। তাঁর মতে, ‘শুধু উৎসবে অংশ নিতেই এ শো করেছি আমরা। আরও প্রস্তুতি নিচ্ছি। খুব শিগগির শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে।’