গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেলেন রামেন্দু মজুমদার

অনুষ্ঠানে গান্ধী স্মারক বক্তৃতাও প্রদান করেন রামেন্দু মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
অনুষ্ঠানে গান্ধী স্মারক বক্তৃতাও প্রদান করেন রামেন্দু মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গান্ধী শানইত প্রতিষ্ঠান প্রবর্তিত গান্ধী মেমোরিয়াল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। ১০ অক্টোবর নৈহাটিতে সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ শাখা ও ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান রামেন্দু মজুমদারের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন। প্রবীণ মূকাভিনেতা বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীকেও এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, ঐকতানের সমরেশ বসু সেমিনার কক্ষে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি অনিরুদ্ধ মজুমদার।
রামেন্দু মজুমদার এ অনুষ্ঠানে গান্ধী স্মারক বক্তৃতাও প্রদান করেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘মহাত্মা ও বঙ্গবন্ধু: অহিংসার দুই মূর্ত প্রতীক’।

পশ্চিমবঙ্গের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদারের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন। ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিমবঙ্গের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদারের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেতা, মঞ্চ নির্দেশক, নির্মাতা রামেন্দু মজুমদারের জন্ম ১৯৪১ সালের ৯ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে বিএ (অনার্স) ও এমএ পাস করেন। পড়াশোনা শেষে তিনি অধ্যাপনাকে বেছে নেন পেশা হিসেবে। চৌমুহনী কলেজে বছর তিনেক অধ্যাপনার পর পেশা পরিবর্তন করে যোগ দেন বিজ্ঞাপন শিল্পে ১৯৬৭ সালে করাচিতে। ১৯৭২-এ দেশে ফিরে বিটপী অ্যাডভারটাইজিংয়ে পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৯৯৩-এ প্রতিষ্ঠা করেন এক্সপ্রেশানস, যেখানে এখন তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত। ১৯৫৮ সাল থেকে তিনি মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় ও নির্দেশনার কাজ শুরু করেন। ১৯৬১ সালে বেতারে ও ’৬৫ সালে টেলিভিশনে নাট্যশিল্পী হিসেবে যুক্ত হন। মঞ্চে অভিনয় করছেন ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে। দীর্ঘকাল তিনি সংবাদ উপস্থাপনা করেছেন। রামেন্দু মজুমদার ২০০৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।