জেনিফার অ্যানিস্টোনের বিশ্ব রেকর্ড

জেনিফার অ্যানিস্টোন। ছবি: রয়টার্স
জেনিফার অ্যানিস্টোন। ছবি: রয়টার্স

ইনস্টাগ্রামে ৫০ বছর বয়সী হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টোনের বয়স তখন এক দিনও নয়। মাত্র ৫ ঘণ্টা ১৬ মিনিট। এর মধ্যেই ভেঙেছেন পুরোনো সব রেকর্ড, গড়েছেন নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এমনটাই জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে জেনিফার অ্যানিস্টোনের ফলোয়ার সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ ছাড়িয়েছে। আর প্রতি সেকেন্ডে এই ফলোয়ারের সংখ্যা কেবলই বড় হচ্ছে।

এর আগে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল গত এপ্রিলে তাঁদের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলার ৫ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে ১০ লাখ ফলোয়ার পেয়েছিলেন। সেটিই ছিল এত দিন পর্যন্ত সবচেয়ে কম সময়ে ১০ লাখ ফলোয়ার পাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়েছেন জেনিফার অ্যানিস্টোন। অবশ্য এই রেকর্ডের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে একটি ‘বিশেষ’ সেলফি। এটিই জেনিফারের প্রথম ইনস্টাগ্রাম পোস্ট।

এনবিসি নেটওয়ার্কে দীর্ঘ এক দশক ধরে প্রচারিত হয়েছে জনপ্রিয় টিভি শো ‘ফ্রেন্ডস’। ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৪ সালে মে পর্যন্ত প্রচারিত হয় ‘ফ্রেন্ডস’। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি শোগুলোর একটি। ‘ফ্রেন্ডস শো দিয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা পান এই সিরিজের তারকার জেনিফার অ্যানিস্টোন, লিসা কুড্রো, কার্টনি কক্স, ম্যাট লেব্লঙ্ক, ডেভিড শুইমার ও ম্যাথু পেরি। সম্প্রতি তাঁরা দল বেঁধে কক্সের বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছিলেন। সেখানেই এই সেলফি তোলেন জেনিফার। অনেকে এই সেলফিকে দেখছেন জনপ্রিয় এই সিরিজটির ফিরে আসার পূর্বাভাস হিসেবে।

ইনস্টাগ্রামে জেনিফার অ্যানিস্টোনের পোস্ট করা এই ছবিটি ভেঙে দিয়েছে সব রেকর্ড
ইনস্টাগ্রামে জেনিফার অ্যানিস্টোনের পোস্ট করা এই ছবিটি ভেঙে দিয়েছে সব রেকর্ড

এই সেলফির ক্যাপশনে অ্যানিস্টোন লিখেছেন, ‘এখন আমরা ইনস্টাগ্রামেও ফ্রেন্ডস। হাই ইনস্টাগ্রাম!’

এই ছবির নিচে জড়ো হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ লাইক। আর মন্তব্য ছাড়িয়ে গেছে ৪ লাখ ৬১ হাজার। অনেকে তাই ফিসফাঁস করে বলাবলি শুরু করেছেন, এটা ‘অ্যানিস্টোন ম্যানিয়া’।

হুড়মুড় করে ভক্তদের ফলো, লাইক, কমেন্টে ভেঙে পড়ার জন্য কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়। এ কারণে কিছুক্ষণের জন্য অ্যানিস্টোনের প্রোফাইলে ফলো করতে পারেননি ভক্তরা। তখন রসিকতার সুরে জেনিফার অ্যানিস্টোন লিখেছেন, ‘দুঃখিত, মনে হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম ভেঙে ফেলেছি!’

এরপর একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নিজের মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলছেন। আর ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি আসলেই কিছু ভেঙে ফেলতে (ফলোয়ারের আগের বিশ্ব রেকর্ডকে ইঙ্গিত করে) চাইনি। বিশ্বাস করুন। এই ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা।’ এই পোস্টের লাইকসংখ্যাও ছাড়িয়ে গেছে ১ কোটি।

প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের আগে দ্রুততম সময়ে ১০ লাখ ফলোয়ার পাওয়ার রেকর্ড ছিল কে-পপ স্টার ক্যাং ড্যানিয়েলের। ১১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিটে ১০ লাখ ফলোয়ার পেয়েছিলেন তিনি।

ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিওটি পোস্ট করে জেনিফার অ্যানিস্টোন বলেছেন, ‘আমি আসলেই কিছু ভেঙে ফেলতে চাইনি। বিশ্বাস করুন।’
ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিওটি পোস্ট করে জেনিফার অ্যানিস্টোন বলেছেন, ‘আমি আসলেই কিছু ভেঙে ফেলতে চাইনি। বিশ্বাস করুন।’

জেনিফার অ্যানিস্টোন প্রথমে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন হলিউড তারকা ব্র্যাড পিটের সঙ্গে। ২০০০ সালের সেই হাইপ্রোফাইল বিয়ে শেষ হয় ২০০৫ সালে এসে। এরপর ২০১৫ সালে জাস্টিন থেরক্সকে জীবনসঙ্গী করলেও তা টেকেনি ২ বছরের বেশি। এখন শোনা যাচ্ছে, অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে ব্র্যাড পিটের বিচ্ছেদের পর আবার ‘ভালো বন্ধু’ হয়েছেন অ্যানিস্টোন আর পিট। শুরু থেকেই ব্যক্তিজীবনকে আড়ালে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। তাই ইনস্টাগ্রামে যোগ দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত ভক্তদের কাছে দুর্দান্ত চমক হয়েই এসেছে।

এখন পর্যন্ত জেনিফার অ্যানিস্টোন ফলো করছেন ১২১ জনকে। তাঁদের মধ্যে আছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, জুলিয়া রবার্টস, নিকোল কিডম্যান, পেনেলোপে ক্রুজ, জুলিয়ান মুর, গিনেথ প্যালট্রো, শার্লিজ থেরন, সেলেনা গোমেজ, কেটি পেরি, অপরাহ উইনফ্রে, এলেন ডিজেনারেস, ইভা মেন্ডেস, জেনিফার গার্নার, জাস্টিন টিম্বারলেক, জেসিকা বিয়েল, রিজ উইদারস্পুন, অরল্যান্ডো ব্লুম, মিশেল ওবামা, সাবেক স্বামী জাস্টিন থেরাক্সসহ আরও অনেকে।