কবীর সুমনের গান 'এনআরসি নিপাত যাক'

কবীর সুমন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কবীর সুমন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

‘আজ ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। আমি বসে আছি আমাদের পৈতৃক ভিটেতে। আমার বাবা-মা বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। আমার ঠাকুরদার নাম ছিল নারায়ণ দাস চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে খুব ছোটবেলায় দেখেছি। আচ্ছা, তিনি কি সত্যি এ দেশের লোক ছিলেন? সে রকম কোনো কাগজপত্র আমার হাতে নেই। আমার ঠাকুরমা, তিনিও শুনেছি এ দেশের মানুষ ছিলেন। কিন্তু কোনো কাগজপত্র আমার হাতে নেই। আমার নাম কবীর সুমন। ২০০০ সালের একটি বিশেষ দিন থেকে নামটি আমি গ্রহণ করেছি। এর কিন্তু প্রমাণ আছে। কোর্ট অ্যাফিডেভিট আছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে বললেন কবীর সুমন।

তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধুরা, আজ সকাল ৮টা ৪৫ নাগাদ আমি একটা গান তৈরি করেছি। সঙ্গে হারমোনিকা বাজাব। আগে গান লিখেছি, তারপর সুর করেছি। এখনো দোনোমনা রয়েছে। খাতা দেখে গান গেও না, না খাতা দেখেই আজ গান গাইতে হবে।’

একটা নতুন গান তৈরি করেছেন কবীর সুমন। গানের শিরোনাম ‘এনআরসি নিপাত যাক’। তিনি বললেন, ‘আমার আবার নতুন করে বাঁচতে, নতুন করে গান বাঁধতে ইচ্ছে করছিল।’ আর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একটা নতুন গান বানালাম। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে রেকর্ড করলাম। আপনাদের সকলের জন্য।’

গানের প্রথম কয়েকটি লাইন হলো, ‘কই ছিলি কোত্থেকে এলি/ আয় খেলি দেশ দেশ খেলি/ সীমান্ত কাকে বলে, কাঁটাতার বুঝি!/ আয় খুঁজি দুনিয়াটা খুঁজি...’।

আসামের এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তেতে আছে গোটা ভারত। এখন এনআরসিবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, জাতীয় কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট এই এনআরসির বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সব দলের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, এই রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করতে দেওয়া হবে না।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, এই রাজ্যে এনআরসি কার্যকর হবে না।

রাজ্যবাসীও এনআরসি কার্যকর করতে দেবে না। রাজ্যবাসী চায় না এনআরসির নামে সাম্প্রদায়িক বিভাজন। তাই বিজেপিবিরোধী সব দল এখন এক হয়েছে এনআরসির বিরুদ্ধে। চলছে এনআরসিবিরোধী আন্দোলন।