কলকাতা উৎসবে নাসির উদ্দীন ইউসুফসহ ৮ জনকে সংবর্ধনা

২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মাননা পেয়েছেন (বাম দিক থেকে) স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখার্জি, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মনোজ মিত্র, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অরুণ মুখোপাধ্যায় ও রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মাননা পেয়েছেন (বাম দিক থেকে) স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখার্জি, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মনোজ মিত্র, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অরুণ মুখোপাধ্যায় ও রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতায় আয়োজিত ২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গত মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফসহ ভারতের ছোট ও বড় পর্দার আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা দিয়েছে উৎসব কমিটি। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুষ্পস্তবক, শাল এবং সম্মাননা স্মারক। এই ৮ কিংবদন্তি হলেন—নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, মনোজ মিত্র, অরুণ মুখোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত এবং বাংলাদেশের নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় নন্দন চত্বরের ‘একতারা’ মঞ্চে। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় ‘ডানা’। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও সোহিনী সেনগুপ্ত। সম্মাননা পাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের হাতে উপহার তুলে দেন পরিচালক গৌতম ঘোষ এবং রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতিসচিব বিবেক কুমার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তীসহ চলচ্চিত্র তারকারা।

নাসির উদ্দীন ইউসুফকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন পরিচালক গৌতম ঘোষ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
নাসির উদ্দীন ইউসুফকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন পরিচালক গৌতম ঘোষ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

সম্মাননা পেয়ে আপ্লুত নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘এই উৎসবে আমি আসি। আমার ভালো লাগে। কলকাতা আমার ভালোবাসা এবং ভালো লাগার জায়গা। এ বছর আমার ছবি “আলফা” ১০ নভেম্বর বিজলী প্রেক্ষাগৃহে এবং ১২ নভেম্বর মিনার সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়েছে। এর আগে আমার “গেরিলা” ছবিটি এই উৎসবে যোগ দিয়ে পুরস্কৃত হয়েছিল। এবার এই উৎসবে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি মনে করি, আমাদের দুই বাংলার চলচ্চিত্রশিল্পকে এই উৎসব আরও এগিয়ে নেবে। চলচ্চিত্রই পারে দুই দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে দৃঢ় করতে। দুই বাংলার মৈত্রীর বন্ধনকে শক্তিশালী করতে।’