খুরশীদ আলমের সম্মানে গাইবেন মুহিন

খুরশীদ আলম ও মুহিন। ছবি: প্রথম আলো
খুরশীদ আলম ও মুহিন। ছবি: প্রথম আলো

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান করছে সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে নীলুফার ইয়াসমীনকে সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠান প্রবর্তিত হয়। ইতিমধ্যে এ সম্মাননা জানানো হয় ফিরোজা বেগম, সন্‌জীদা খাতুন, সোহরাব হোসেন, ফেরদৌসী রহমান, ফরিদা পারভীন, আলাউদ্দিন আলী, সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লা, ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রমুখকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে এ আয়োজনে। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য এ বছরে এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে দেশের গুণী সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলমকে। সিটিব্যাংক সূত্র এমনটাই নিশ্চিত করেছে।

২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই শিল্পীর হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে। ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে সেদিন সন্ধ্যায় খুরশীদ আলমের সম্মানে গান গাইবেন মুহিন।

খুরশীদ আলম বলেন, ‘সম্মাননা বরাবরই আনন্দের। আমারও সে রকম অনুভূতি হচ্ছে। আর সম্মাননা কাজের গতিও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি মনটাও খুব বিষণ্ন। কারণ, আমার চেয়ে বয়সে ১২ বছরের ছোট এন্ড্রু কিশোর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপনাদের মাধ্যমে তার জন্য দোয়া চাইছি। আমি চাই, এন্ড্রু আবার গানে গানে আমাদের মাতিয়ে রাখুক।’

গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গুণীজনের সম্মানে একজন শিল্পী গান গেয়ে থাকেন। খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমি তো সব সময় বলি, বর্তমান সময়ের শিল্পীরা অনেক বেশি জানে। তাদের সংগীতের অভিভাবকের অভাব। আমাদের সময় আমরা তো এত গুণী গুণী সংগীত পরিচালক, গীতিকার, যন্ত্রশিল্পী পেয়েছি, যা এখন তারা মোটেও পাচ্ছে না। এরপরও তারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে নিজেদের মেলে ধরতে। মুহিন এ প্রজন্মের তেমনই একজন প্রতিনিধি।’

প্রসঙ্গত, মো. খুরশীদ আলমের জন্ম ১৯৪৬ সালে, জয়পুরহাটে। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান গেয়েছেন ১৯৬৯ সালের ১ আগস্ট। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘আগন্তুক’ চলচ্চিত্রের সেই গানটি হলো ‘বন্দী পাখির মতো’। গানটি তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর মো. খুরশীদ আলম কণ্ঠ দিয়েছেন পাঁচ শতাধিক গানে। এর মধ্যে বেশির ভাগ গানই চলচ্চিত্রের। জনপ্রিয় হয়েছে অসংখ্য গান। চলচ্চিত্র ও আধুনিক গানের শিল্পী হলেও মো. খুরশীদ আলমের শুরুটা হয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে।

খুরশীদ আলমের সম্মানে তাঁর সামনে গান গাইতে পারবেন, সেটা বড় সম্মানজনক ব্যাপার—এমনটাই মনে করছেন মুহিন। তিনি বলেন, ‘অসাধারণ অনুভূতি, এমন একজন গুণী শিল্পীকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর সামনে তাঁরই গান গাইতে পারাটা অনেক বড় পাওয়া। আমি আমার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ ২০০৬ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন মুহিন। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা—দুটি পেলেও এখন সংগীত পরিচালক হিসেবে সংগীতশিল্পী মুহিন খান বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানালেন, নতুন মৌলিক গানের সুর করা এবং সংগীত পরিচালনা নিয়েই তাঁর ভাবনা বেশি। চলতি বছর ৫০টি গান করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এর মধ্যে প্রথিতযশা শিল্পীসহ এ প্রজন্মের মোট ২৭ জন শিল্পীর গান থাকছে।