১২৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার
বিশ্বসংগীতজগতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার গ্র্যামির মনোনয়ন দেওয়া হয় গত ২০ নভেম্বর। তাতে সেরা চার ক্যাটাগরি হলো সেরা নতুন শিল্পী, সেরা গান, সেরা রেকর্ড ও সেরা অ্যালবাম। এর সব কটিতে নাম আছে বিলি আইলিশের। আর ৭ ডিসেম্বর বিলবোর্ড জানাল, বছরের সেরা নবীন শিল্পীর নাম বিলি আইলিশ। শুধু তা–ই নয়, বছরের সেরা অ্যালবামটিও তাঁর। অ্যালবামটির নাম হলো ‘হোয়েন উই ফল অ্যাস্লিপ, হোয়্যার ডু উই গো?’
বিলবোর্ডের সেরা ২০০ অ্যালবামের মধ্যে এটি এখন ১ নম্বরে উঠে এসেছে। সাধারণত, এক বছরের সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিলবোর্ড ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকেই জানিয়ে দেয়, বিশ্বসংগীতে কারা দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিলেন। আর সেই তালিকায় বারবার উচ্চারিত হচ্ছে বিলি আইলিশের নাম।
বয়স সবে ১৭। এর মধ্যেই মাত্র তিন বছরের মাথায় বিশ্বসংগীতের তারকাদের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে বিলি আইলিশের নাম। ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপ রায় দিয়েছে, বিলবোর্ডের ১২৫ বছরের ইতিহাসে বিলি আইলিশ ‘বিলবোর্ড ২০০’-এর টপচার্টে স্থান করে নেওয়া সবচেয়ে তরুণ শিল্পী।
এক দশক আগে, ২০০৯ সালে টেইলর সুইফটের অ্যালবাম ‘ফিয়ারলেস’ বিলবোর্ডের টপ চার্টের ১ নম্বরে স্থান করে নিয়েছিল। সে বছরই ১৩ ডিসেম্বর ২০ বছরে পা দিয়েছিলেন টেইলর সুইফট। এরও দুই দশক আগে ১৯৮৯ সালে ববি ব্রাউনের ‘ডোন্ট বি ক্রুয়েল’ অ্যালবামটিও টপচার্টের টপে স্থান পায়। তখন ববি ব্রাউনের বয়সও ছিল ২০ বছর।
ধারণা করা হচ্ছে, বিলি আইলিশের এই ঐতিহাসিক রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে। বিলি আইলিশ ছাড়াও আরও দুই শিল্পীর অ্যালবাম যৌথভাবে প্রথম অবস্থানে আছে। অর্থাৎ এ বছর সেরার সেরা হয়েছে তিনটি অ্যালবাম। আরিয়ানা গ্রান্ডের ‘থ্যাংক ইউ’ এবং লেডি গাগা ও ব্রাডলি কুপারের ‘আ স্টার ইজ বর্ন’ (২০১৮)-এর গানও স্থান পেয়েছে টপচার্টের প্রথম অবস্থানে।