সে সময় নাটক থেকে অনেক কিছু শিখতাম

নাদিয়া আহমেদ
নাদিয়া আহমেদ

আজ রাত সাড়ে আটটায় দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হবে কায়সার আহমেদ পরিচালিত বকুলপুর নাটকের ১৫০তম পর্ব। এ নাটকে প্রিন্সেস দিবা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদিয়া আহমেদ। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে জানালেন নাটক ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে।

‘বকুলপুর’ নাটকের ১৫০তম পর্ব হচ্ছে আজ...
নাটকটি ভীষণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ভালো সাড়া পাচ্ছি। যেকোনো কাজে শিল্পী যদি দর্শকের কাছ থেকে সাড়া পায়, ভালোবাসা পায়, সেটা অনেক আনন্দের ব্যাপার। নাটকটির আজ ১৫০তম পর্ব হচ্ছে, আমিও ভীষণ আনন্দিত।

আপনার অভিনীত চরিত্রটি কেমন?
প্রিন্সেস দিবা ভীষণ পোড়–খাওয়া মেয়ে। তাঁকে জীবনে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। মানুষের কাছে হাত পাততে হয়েছে। একটা সময় যাত্রাদলে প্রিন্সেস হিসেবে সে কাজ শুরু করে। দর্শকের কাছে সে ভীষণ জনপ্রিয়তা পায়। তাঁর অনেক নাম হয়, কিন্তু তাঁর এই পেশা ভালো লাগে না। দিনশেষে সে নিজের মতো করে বাঁচতে চায়।

এই মুহূর্তে ব্যস্ততা কী নিয়ে?
ধারাবাহিক বেশি করছি। বকুলপুর সপ্তাহে ছয় দিন প্রচারিত হয়। এ ছাড়া লাগ ভেলকি লাগ, ভদ্রপাড়া নামে ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে। আরেকটি শুরু করছি সুলতান ভাই নামে। পাঁচ–ছয়টা ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে। সেগুলোতে নিয়মিত কাজ করতে হয়। এ ছাড়া নাচের অনুষ্ঠান আছে। দেশে ফিরেই এগুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাব। বিটিভির কিছু কাজ আছে। নাগরিক টেলিভিশনের একটা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় মন দরজা নামের একটি নাটকের শুটিং শেষ করেছি। আরও কিছু কাজ আছে। তারপর ফিরে আসব।

নাটক নিয়ে দর্শক ক্রমেই আগ্রহ হরিয়ে ফেলছেন, এমন অভিযোগ আছে। আপনার কী মতামত?
এটা নিয়ে নানা রকম কথা শুনছি। কিন্তু আমি কয়েক মাস আগে যখন কলকাতায় গিয়েছিলাম, রাস্তায় দুই–তিনজনের সঙ্গে দেখা হয়েছে, তাঁরা আমাদের দেশের নাটক দেখেন। তাঁরা আমাদের নাম ধরে বলেছেন, এই নাটক ভীষণ ভালো লেগেছে। তার মানে, ভালো নাটক হয়। আসলে অনেক বেশি কাজ হচ্ছে বলে মনে হয় নাটকের মান কমছে। কিন্তু ভালো নাটক তৈরি হচ্ছে।

টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে নাদিয়ার যে বিষয় অপছন্দ—
নাটকের প্রতি দর্শকের ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল তখন, যখন অনেক বেশি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে নাটক হয়েছিল। আমরা সে সময় নাটক থেকে অনেক কিছু শিখতাম। নাটকগুলোতে পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়গুলো উঠে আসত। এখন একই ধারার একঘেয়ে নাটক বেশি তৈরি হচ্ছে।