সমুদ্রসৈকতে 'ন ডরাই' ছবির প্রদর্শনী

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘ন ডরাই’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘ন ডরাই’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘ন ডরাই’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনী হলো। ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্টার সিনেপ্লেক্স দাবি করেছে, এর আগে সমুদ্রসৈকতে এভাবে আর কোনো ছবির প্রদর্শনী হয়নি। সম্প্রতি কক্সবাজারের সায়মান বিচ রিসোর্টের সামনে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছবির প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে। আমন্ত্রণ জানানো হয় স্থানীয় সার্ফারদের। তাঁদের দেওয়া হয় নানা উপহার।

এই আয়োজন নিয়ে ছবির প্রযোজক মাহবুব রহমান বলেন, ‘পুরো আয়োজনটি ছিল মনোমুগ্ধকর। নিচে বালুকণা, ওপরে পরিষ্কার আকাশে ফুটে ওঠা নক্ষত্র আর চাঁদের আলো, পাশ থেকে মশালের আলো কাটিয়ে ভেসে আসা সমুদ্রের মৃদু গর্জন আর সামনে সুবিশাল পর্দায় চলছে “ন ডরাই”। অপূর্ব এক দৃশ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ছবির গল্প, নির্মাণশৈলী, চিত্রায়ণ—সবকিছুতে অভিনবত্বের ছাপ রাখার চেষ্টা ছিল। সাহসী নারীর গল্পের পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে আকর্ষণীয় রূপে পর্দায় উপস্থাপন করতে চেয়েছি। সমুদ্রসৈকতের এই প্রদর্শনীও তেমনি একটি উদ্যোগ। ছবিটি মুক্তির পর দর্শকদের কাছ যে সাড়া পেয়েছি, তাতে আমাদের চেষ্টা অনেকখানি সার্থক হয়েছে বলে মনে করি।’

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘ন ডরাই’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে শিল্পী ও কলাকুশলী। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘ন ডরাই’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে শিল্পী ও কলাকুশলী। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৯ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে সার্ফিং নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘ন ডরাই’। পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান। ছবির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারে।

‘ন ডরাই’ ছবি তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। এই শব্দের অর্থ ‘ভয় করি না’। ছবিতে সমাজ ও পরিবারের ভয়কে জয় করে সার্ফার হিসেবে এক নারীর প্রতিষ্ঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। মাহবুব রহমানের মতে, এই ছবির গল্প নারীদের এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।