'একের ভেতর অনেক' ওয়াহিদ

নায়ক, গায়ক, কবি—তিনি তো সবই। তিনি ওয়াহিদ ইবনে রেজা। নামের আগে বেশ কয়েকটি পরিচয়সূচক বিশেষণ আছে। তিনি একাধারে ইঞ্জিনিয়ার, কবি, লেখক, অ্যানিমেশনকর্মী, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা। বুয়েট ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন ক্যামেরার সামনে ও পেছনে। হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও চলচ্চিত্রে তিনি মোটামুটি ‘কমন’ চরিত্র। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হোয়াইট প্লাস টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন তাঁকে অল্প সময়ে অনেকের কাছে পরিচিত মুখ করে তোলে। তিনি হলিউডে ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ও অ্যানিমেশনে প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্টের কাজ করেন। এবার মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যে ‘টুডি’ অ্যানিমেশন ছবি তৈরি করছেন। ছবির নাম ‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান-অ্যান আনটোল্ড স্টোরি অব অ্যান আননোন ওয়ার’। ২৬ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ছবির টিজার। বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এল চলচ্চিত্র, বইয়ের সঙ্গে জীবনযাপন নিয়ে নানা ভাবনা।

ওয়াহিদ ইবনে রেজা একাধারে ইঞ্জিনিয়ার, কবি, লেখক, অ্যানিমেশনকর্মী, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা। ছবি: খালেদ সরকার
ওয়াহিদ ইবনে রেজা একাধারে ইঞ্জিনিয়ার, কবি, লেখক, অ্যানিমেশনকর্মী, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা। ছবি: খালেদ সরকার


যে মুহূর্তে জানলেন, সিনেমাই তাঁর জীবনসঙ্গী
সে অনেক দিন আগের কথা। ২০০৩ বা ২০০৪। তখন ওয়াহিদ ইবনে রেজা বুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন। সেখানকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আগ দিয়ে কী মনে হলো, সিনিয়রদের পরামর্শে বানিয়ে ফেললেন সিনেমা। নাম ‘এন পুরুষের প্রেম’। ইংরেজি বর্ণ ‘এন’ এখানে বীজগণিতের স্বাভাবিক সংখ্যার প্রতীক। সেই ছবির নায়িকা ছিল ‘ও মোর ময়না গো’খ্যাত গায়িকা জুলি। এই ছবির লেখক ও নায়ক ওয়াহিদ। তখনো ওয়াহিদ রেজা মঞ্চনাটক করতেন। তবে প্রথম সিনেমা সেটিই। আর এই ‘নায়ক কাম নির্মাতা’র দাবি, সেটিই নাকি বুয়েটের ইতিহাসের প্রথম স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এরপর ‘বাংলা সিনেমা স্টাইলে’ মাইক লাগিয়ে ‘আসিতেছে, আসিতেছে...নবাগত জিয়া, নবাগত বাপ্পি (ওয়াহিদ ইবনে রেজার ডাকনাম) আর নবাগত জুলি অভিনীত...’। পরদিন এই সিনেমা দেখতে বুয়েটের বিশাল হল কানায় কানায় পূর্ণ। দর্শক দাঁড়িয়ে, বসে, উঁকি দিয়ে দেখে ফেলল ‘এন পুরুষের প্রেম’। এরপর যখন শিল্পী আর কলাকুশলীরা মঞ্চে উঠলেন, শুরু হলো তুমুল করতালি। সেই করতালি আর থামে না। সেই মুহূর্তে ওয়াহিদ ইবনে রেজা মনে মনে ঠিক করে ফেললেন, সিনেমা-ই হবে তাঁর বাকি জীবনের সঙ্গী। ‘ইঞ্জিনিয়ার’ না, ‘এন্টারটেইনার’ হতে চান তিনি। এ-ও যোগ করলেন, ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে নিলে তিনি নাকি খুবই খারাপ ইঞ্জিনিয়ার হতেন।

বুয়েট ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন ক্যামেরার সামনে ও পেছেনে। ছবি: খালেদ সরকার
বুয়েট ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন ক্যামেরার সামনে ও পেছেনে। ছবি: খালেদ সরকার


‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর শুরুর কথা
ওয়াহিদ ইবনে রেজার বাবা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজে পড়ার সময় তিনি যুদ্ধে যান। মে মাসে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনের পাশ থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। যখন ট্রেন সেতু পার হচ্ছিল, তখন হানাদার বাহিনীর পরিকল্পনা ছিল চোখ বাঁধা অবস্থায় তাঁকে গুলি করে নিচে পানিতে ফেলে দেবে। পাশের জনকে সেই পদ্ধতিতে মেরে পানিতে ফেলে দেওয়া হলো। সেই মুহূর্তে চট করে বুদ্ধি করলেন রেজাউল করিম। গুলি করার আগে আন্দাজে নিজেই লাফ দিলেন পানিতে (এই দৃশ্যটির দেখা মেলে ‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর টিজারে)। বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের সেই গল্প শুনে ওয়াহিদ পুরোটা কল্পনা করে ফেলেছিলেন অ্যানিমেশনে, পর্দায়। তাই হলিউডের ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান: ডন অব জাস্টিস’ ছবির এই প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ভাবলেন, মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অসাধারণ গল্প বলবেন। বিশ্বের কাছে এই না-জানা ইতিহাসকে যদি তিনি না তুলে ধরেন, তবে সেটা আর কে করবে? যেই ভাবা সেই কাজ! এই ছবির মূল চরিত্র তিনটি—ধ্রুব, আক্কু আর রেজাউল। এই বেলা ফাঁস করে দিই একটা হাঁড়ির খবর, ধ্রুব চরিত্রটা পরিচালক নির্মাণ করেছেন প্রচ্ছদশিল্পী ধ্রুব এষের অনুপ্রেরণায়।

‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর মূল তিনটি চরিত্র—ধ্রুব, আক্কু আর রেজাউলের ফার্স্ট লুক। ছবি: সংগৃহীত
‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর মূল তিনটি চরিত্র—ধ্রুব, আক্কু আর রেজাউলের ফার্স্ট লুক। ছবি: সংগৃহীত


মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত আক্ষেপ তাঁর
ওয়াহিদ ইবনে রেজা চোখ বন্ধ করে তাঁর বাবার জায়গায় বা অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করেছেন। ভেবে বের করেছেন, তাঁরা যেভাবে সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন, তিনি নাকি তা পারতেন না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর আক্ষেপের শেষ নেই। ‘লিবারেশন ওয়ার নাইনটিন সেভেনটি ওয়ান’ লিখে গুগোলে সার্চ দিলে পরপর বেশ কয়েকটি ‘ইন্দো-পাকিস্তানি ওয়ার নাইনটিন সেভেনটি ওয়ান’ সাজেশনে আসে। তাহলে বিশ্ব কি এই যুদ্ধের বিষয়ে কিছুই জানবে না? ৩০ লাখ শহীদের কারও কথা জানবে না? ধর্ষণকে প্রথমবারের যুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করল, সেই বীরাঙ্গনাদের (বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীদের নারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে) কথা জানবে না? চোখের সামনে পরিচিত মানুষদের অনেকে রাজাকার হয়ে গেল, সেসব দিনের কথা কিছুই জানবে না? প্রায় খালি হাতে, পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন, যাঁরা জানেন না যে এরপর কী হবে। একেবারে সাধারণ মানুষের সেসব অদম্য দুঃসাহসের ইতিহাসের কিছুই জানে না। ওয়াহিদ ইবনে রেজার ভাষায়, ‘যুদ্ধের ক্ষতিপূরণের জন্য ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তো দূরে থাক, এই যুদ্ধের জন্য পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে একবার ‘দুঃখিত’ও বলেনি। একটা ছবিতে মুক্তিযুদ্ধ তুলে ধরা সম্ভব নয়। আমি চাই, আমার ছবি দেখে এখন যারা বড় হচ্ছে, দেশ নিয়ে ভাবছে, তাদের মনে প্রশ্ন জাগুক। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জানতে গুগোল সার্চ করুক। এভাবে সার্চ করতে থাকলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ওপরে উঠে আসবে। আফগানিস্তানের যুদ্ধ নিয়ে যদি পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন ছবি “ব্রেডউইনার” হতে পারে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘সারভাইভিং সেভেনটি ওয়ান’ কেন নয়?’

ওয়াহিদ ইবনে রেজা। ছবি: খালেদ সরকার
ওয়াহিদ ইবনে রেজা। ছবি: খালেদ সরকার


তবে কি সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি?
ওয়াহিদ ইবনে রেজার ইচ্ছা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বা মিনি সিরিজ বানানো। কিন্তু অ্যানিমেশনে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য গল্প বলার জন্য কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা লাগে। সেই অর্থ জোগাড়ের জন্য আর বড় ছবিটির প্রস্তুতি হিসেবে বানানো হচ্ছে এই ছবি। ইতিমধ্যে এই ছবির টিজার দেখা হয়েছে এক লাখের বেশিবার। যদি এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়, তবে আন্তর্জাতিক প্রযোজক জোগাড় করতে সুবিধা হবে। বোঝানো যাবে, এ ধরনের ছবির দর্শক আছে, মানুষ আগ্রহী।

‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর মূল তিনটি চরিত্র—ধ্রুব, আক্কু আর রেজাউলের ফার্স্ট লুক। ছবি: সংগৃহীত
‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর মূল তিনটি চরিত্র—ধ্রুব, আক্কু আর রেজাউলের ফার্স্ট লুক। ছবি: সংগৃহীত


‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর যত কাজ
ছবিটির দৈর্ঘ্য হবে ১৫ মিনিটের মতো। এই মুহূর্তে এই ছবির জন্য ৭ মার্চের ভাষণের অংশের কাজ চলছে। এ বছরে ছবি তৈরির অর্থ জোগাড় করা হবে। ২০২০ সালের পুরোটা যাবে নির্মাণে। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ৫০তম বিজয় দিবসে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে। মূল তিনটি চরিত্র নকশা করা শেষ। ভিজ্যুয়াল রেফারেন্সগুলো কিন্তু সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে নেওয়া। পোশাক আর কস্টিউমও সেই সময়কার সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে নেওয়া।

ওয়াহিদ ইবনে রেজা। ছবি: খালেদ সরকার
ওয়াহিদ ইবনে রেজা। ছবি: খালেদ সরকার


‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর সঙ্গে যুক্ত কিছু নাম
ওয়াহিদ ইবনে রেজা পরিচালিত ‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান-অ্যান আনটোল্ড স্টোরি অব অ্যান আননোন ওয়ার’ নামে এই শর্ট ফিল্মে মূল চরিত্রে কণ্ঠস্বর দেবেন জয়া আহসান, মেহের আফরোজ শাওন, তানযীর তুহিন, গাউসুল আলম শাওন, সামির আহসান, অনিক খান আর নির্মাতা নিজে। পূর্ণাঙ্গ শর্ট ফিল্মের জন্য মেহের আফরোজ শাওনের ভয়েস রেকর্ড করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগস্ট মাসের মধ্যে বাকি সবার ভয়েস নেওয়া হবে। এ ছাড়া টিজারে অতিথি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আরিফ আর হোসেন, সাদাত হোসাইন ও কাজী পিয়াল। পূর্ণাঙ্গ শর্ট ফিল্মে অতিথি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে থাকবেন আরও অনেকেই। প্রোডাকশন ডিজাইন করেছেন শরিফুল ইসলাম তামিম। পরে সাউন্ড ডিজাইনার হিসেবে দলে যোগ দেন রাজেশ সাহা ও রিপন নাথের স্টুডিও সাউন্ডবক্স। পাশাপাশি মিউজিক করেছেন মেঘদলের গিটারিস্ট ও স্টুডিও কাউবেলের কর্ণধার রাশেদ শরিফ শোয়েব। ২০২০ সালের শুরুর দিকে আর্ট টিমে আরও কিছু শিল্পী নেবেন তাঁরা।

ওয়াহিদ ইবনে রেজা। ছবি: খালেদ সরকার
ওয়াহিদ ইবনে রেজা। ছবি: খালেদ সরকার


কিছু বই, সিনেমা আর বর্তমান ব্যস্ততা
‘দেবী’, ‘কাব্যখাতা’, ‘কথোপকথন’, ‘গুটি কবিতার হাট’, ‘কবিতা সংক্রান্তি’ ইতিমধ্যে ওয়াহিদ ইবনে রেজার পাঁচটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘হ্যাভ আ জোক প্লিজ’, লাভ বাইট লাভ বাইট টু আর আত্মপচানিমূলক রস: সেল্ফ ডিপ্রেটিং হিউমার—এই চারটি তাঁর জোকসের বই। ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’ ও ‘ডক্টর স্ট্রেইঞ্জ’ ছবির ভিজ্যুয়াল টিমেও কাজ করেছেন। এইচবিও চ্যানেলের সিরিজ ‘গেম অব থ্রোনস’, হলিউডের ‘ফিউরিয়াস সেভেন’, ‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ ও ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম: সিক্রেট অব দ্য টম্ব’ ছবির ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস টিমেও ছিলেন তিনি। ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসে ওয়াহিদের কাজ করা মুভি ‘ডক্টর স্ট্রেইঞ্জ’ ২০১৭ সালে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল। ওয়াহিদ ইবনে রেজা কাজ করছেন ‘দ্য অ্যাংরি বার্ডস টু’ ছবিতেও। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় হলিউডের ব্লকবাস্টার অ্যানিমেটেড ছবি ‘দ্য অ্যাংরি ‌বার্ডস’। বর্তমানে শিশুদের জন্য নির্মিত একটা থ্রিডি অ্যানিমেশন সিরিজে ১২০ জনের দলের প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। এই সিরিজটি পাবে ২০২২ সালে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেওয়া হবে। তাই এখনই কিছু বলতে মানা। আর এসবের সঙ্গেই একটু একটু চলছে ‘সারভাইভিং সেভেন্টি ওয়ান’-এর কাজ।