বিহাইন্ড দ্য সিনের ছবি দিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা

হাওয়া ছবির শুটিং চলাকালে ছবিটি তোলা।  ছবি: সংগৃহীত
হাওয়া ছবির শুটিং চলাকালে ছবিটি তোলা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ‘হাওয়া’ ছবির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন। সেখানে দেখা গেল চলচ্চিত্রটির শুটিংকালীন তোলা একটি ছবি। ছবিতে দেখা যায়, গভীর সমুদ্রে ট্রলারে মাছ ধরছেন জেলেরা। জ্বলছে লাইট। ক্যামেরার স্ক্রিন। ছবিটি দিয়ে জানানো হয়েছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

বেশ গোপনে শুটিং হয় হাওয়া ছবির। পাত্র–পাত্রীদের ‘লুক’ যাতে প্রকাশ না পায়, সে ব্যাপারে তাঁরা সচেষ্ট ছিলেন। এবার চলচ্চিত্রটির বিহাইন্ড দ্য সিনের একটি ছবি দিয়ে জানানো হলো নতুন বছরের শুভেচ্ছা। পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে পয়লা জানুয়ারির ছবিটা আমাদের ক্যামেরার কোনো ফুটেজ নয়। ছবিটির বিহাইন্ড দ্য সিন শুটিংয়ের সময় তোলা। বিভিন্ন স্টিল শুট করা হয়েছে ছবির শুটিংয়ের সময়। এটি সেগুলোর একটি। আমাদের ভিজ্যুয়াল এখনো প্রকাশ করিনি। আমরা টিজার ও ট্রেলারের মাধ্যমে প্রথম ঝলক প্রকাশ করব। পুরো কাজ শেষ করে তারপর ছাড়ব।’

‘হাওয়া’ ছবির শুটিং হয় গভীর সমুদ্রে। গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাস ঘিরে ৩৫ থেকে ৪০ দিন শুটিং হয় সেখানে। পরিচালক বলেন, ‘আমরা ছবিটা শেষ করেছি প্রায় এক মাসের ওপরে হলো। নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ঢাকায় আসি। এরই মধ্যে একটা লাইন আপ শেষ করেছি। ডাবিংয়ে যাব আগামী সপ্তাহ থেকে। তারপর সাউন্ডের কাজ হবে ভারতে। কালার গ্রেডিংয়ের কাজ করব। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে। তারপর জানাব মুক্তির তারিখ। আপাতত ধরে নেওয়া যায়, বছরের শেষের দিকেই ছবিটা মুক্তি পাবে। আর প্রচারের ক্ষেত্রে প্রথমে টিজার ছাড়ব। তারপরে একটু বিরতি দিয়ে ট্রেলার ছাড়ব। তখনই আসলে প্রচারণাটা শুরু করব। আমরা শুটিংয়ের শুরু থেকেই কোনো কিছু প্রকাশ করতে চাইনি। একবারেই দর্শককে দেখাতে চাই। আশা করি পুরো কাজ শেষ করেই প্রচারের কিছু পরিকল্পনা আছে। সেগুলো শুরু করব।’

ছবির গল্পটাকে আরেকটু পরিষ্কার করতে মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘আমাদের ছবিটা জেলেদের জীবনের দুঃখ–দুর্দশার ছবি নয়। জেলেদের জীবনের সংগ্রামের গল্প নয়। আমরা বারবার বলেছি, এটা আধুনিক রূপকথার গল্প। গল্পটি একটা মিথোলজিকে ভিত্তি করে। সমুদ্রের জীবনের গল্পের ভেতর দিয়ে একটা হাইপাররিয়্যালিটির গল্প বলতে চাই, যার মধ্যে গল্প বলার ক্ষেত্রে রিয়েলিস্টিক অ্যাপ্রোচ আছে। আমরা দেখাতে চাই আধুনিক রূপকথা কিংবা প্রতিশোধের গল্প। এটাই মূল কথা। এখানে মাছ ধরার গল্প মুখ্য নয়। মাছ ধরা চরিত্রের দৈনন্দিন কাজেরই একটি অংশ।’

ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, রিজভি, নাসির, মাহমুদ প্রমুখ।