জেমসের গান থেকে ছবির নাম পেলেন রিজু

জেমসের গানের অনুপ্রেরণায় পরিচালক রিয়াজুল রিজু বানাবেন চলচ্চিত্র ‘দিদিমণি’। ছবি: সংগৃহীত
জেমসের গানের অনুপ্রেরণায় পরিচালক রিয়াজুল রিজু বানাবেন চলচ্চিত্র ‘দিদিমণি’। ছবি: সংগৃহীত

‘অনেক দিন ধরে গল্পটা মাথায় ছিল। নাম পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ একদিন জেমস ভাইয়ের গান শুনে নামটা মাথায় আসে। আমার পরবর্তী ছবির নাম “দিদিমণি”।’ বললেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া পরিচালক রিয়াজুল রিজু। জানালেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে তাঁর পরবর্তী চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করবেন। 

‘এই দিদিমণি, দিদিমণি, সেলাই দিদিমণি/ ছলো ছলো চোখে সেই দিদিমণি/ এই শহরে তোমার পাশে, আমিও যে থাকি/ ও লাল টুকটুক সেলাই দিদিমণি...।’ জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমসের জনপ্রিয় গানের স্থায়ী অংশ। নারী পোশাকশ্রমিকদের উৎসর্গ করে জেমস তাঁর একক অ্যালবামে গেয়েছিলেন গানটি। সেই গানের অনুপ্রেরণায় নারী প্রধান চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করবেন পরিচালক।

২০১৫ সালে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ছবিটি নির্মাণ করেন রিয়াজুল রিজু। ছবি: সংগৃহীত
২০১৫ সালে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ছবিটি নির্মাণ করেন রিয়াজুল রিজু। ছবি: সংগৃহীত

পরিচালক রিয়াজুল রিজু প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের একজন শীর্ষ অভিনয়শিল্পী এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন। আপাতত নামটা প্রকাশ করতে চাই না।’

রিজু আরও বলেন, ‘“বাপজানের বায়োস্কোপ” ছবির পর কাঙাল হরিনাথকে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছি। অনুদানের জন্য দুবার প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু পাইনি। এই গল্পটা মাথায় ছিল। নাম ঠিক করতে পারছিলাম না। পরে গান শুনে মাথায় এল নামটা। আমার সঙ্গে কখনো জেমস ভাইয়ের দেখা হয়নি। আমি বাংলাদেশের হাতে গোনা দু-চারজন সুপারস্টারের মধ্যে জেমসের অন্ধ ভক্ত। আমার নতুন ছবির নাম চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে জেমসের গানটি আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

রিয়াজুল রিজুর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘দিদিমণি’ চলচ্চিত্রের কাহিনি ও সংলাপ লিখেছেন অনীক বিশ্বাস।

‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ছবিটি আটটি বিভাগে নয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে। ছবি: সংগৃহীত
‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ছবিটি আটটি বিভাগে নয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে। ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ছবিটি নির্মাণ করেন রিয়াজুল রিজু। ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ মুক্তি পায়। সারা দেশে ৪৬টি হলে ছবিটি মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি ওই বছর (পুরস্কার দেওয়া হয় ২০১৭ সালে) ‘সেরা চলচ্চিত্র’, ‘সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক’সহ আটটি বিভাগে নয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। এ ছাড়া তিনি নাটক ও টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম ছবির সময় তেমন প্রস্তুতি ছিল না। শুধু কয়েকটা নাটক, অনুষ্ঠান বানানোর অভিজ্ঞতা ছিল। খেলতে খেলতে প্রথম ছবিটা বানিয়েছি। এখন চলচ্চিত্রের অনেক খুঁটিনাটি জানা হয়েছে, অনেক কিছু শিখেছি। আশা করছি, দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’