কলকাতায় আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের ৪ ছবি

সংবাদ সম্মেলনে শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন শিশুসাহিত্যিক প্রসাদ রঞ্জন রায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
সংবাদ সম্মেলনে শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন শিশুসাহিত্যিক প্রসাদ রঞ্জন রায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আগামী রোববার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। এতে ৩৫টি দেশের ২৫০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে । উৎসবে বাংলাদেশের চারটি ছবিও দেখানো হবে।

কলকাতার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নন্দন-৪এ গতকাল বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উৎসবের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। উৎসবের আয়োজক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিশু-কিশোর একাডেমি।

সংবাদ সম্মেলনে এই উৎসবের সূচি ঘোষণা করেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক প্রসাদ রঞ্জন রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এই উৎসব কমিটির চলচ্চিত্র নির্বাচন কমিটির সদস্য এস ভি রমন, সাংবাদিক নির্মল ধর, তথ্য ও সংস্কৃতিসচিব পিয়ালী সেনগুপ্ত এবং রবীন্দ্র সদনের পরিচালক শঙ্কর সাঁতরা। এবারের এই সপ্তম বর্ষের উৎসবে যোগ দিচ্ছে বিশ্বের ৩৫টি দেশের ২৫০টি শিশু চলচ্চিত্র।

উৎসবে বাংলাদেশের যেসব ছবি দেখানো হবে সেগুলো হলো : মৃত্তিকা গুণ নির্মিত ‘কালো মেঘের ভেলা’, টোকন ঠাকুরের ‘রাজপুত্তুর’, আফজাল হোসেনের ‘এবারে সাভারে’ এবং আসিফ ইসলাম ও ফয়সাল রড্ডির ‘পাঠশালা’।

এবারের উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চিত্র পরিচালক সন্দীপ রায়, মন্ত্রী ও সংগীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য তথ্য ও সংস্কৃতিসচিব বিবেক কুমার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ’হামিদ’-এর পরিচালক আইজাজ খান এবং হাঙ্গেরির চিত্র পরিচালক নেইলা জর্দি। সভাপতিত্ব করবেন শিশু-কিশোর একাডেমির সভাপতি সাবেক সাংসদ অর্পিতা ঘোষ।

এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ছবি হলো জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি ’হামিদ’। আর এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করবেন ‘হামিদ’ ছবির মূল চরিত্রাভিনেতা তালহা আরশাদ রেসি।

কলকাতার ১০টি প্রেক্ষাগৃহ ও মিলনায়তনে উৎসবের সব ছবি প্রদর্শিত হবে। এগুলো হলো: নন্দন-১, ২ ও ৩, রবীন্দ্র সদন, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, স্টার থিয়েটার, চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন, শিশির মঞ্চ, অহিন্দ্র মঞ্চ ও রবীন্দ্র তীর্থ মিলনায়তন। উৎসবে যোগ দেওয়া ২৫০টি ছবির মধ্যে থাকছে ৬০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ও তথ্যচিত্র। আট দিনব্যাপী এই উৎসব শেষ হবে ২৬ জানুয়ারি।