আজ আসছেন 'চলচ্চিত্র পরিচালক' অঞ্জন দত্ত

অঞ্জন দত্ত। ছবি: ফেসবুক থেকে
অঞ্জন দত্ত। ছবি: ফেসবুক থেকে

সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসেছিলেন। গান শুনিয়ে মাতিয়েছেন ঢাকার শ্রোতাদের। সর্বশেষ ঢাকা এসেছিলেন গেল বছরের জুলাই মাসে। নির্দেশক এবং অভিনেতা হয়ে তিনি মাতিয়েছেন মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে সমাগত দর্শকদের। গায়ক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অঞ্জন দত্ত এবার ঢাকায় আসছেন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে। নিজের নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ নিয়ে অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেবেন অঞ্জন দত্ত।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের গণমাধ্যম সমন্বায়ক রুহুল রবিন খান। রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে শনিবার বিকেল ৫টায় দর্শকদের সঙ্গে চলচ্চিত্রটি দেখবেন তিনি। ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ প্রদর্শনী শেষে এ চলচ্চিত্র নিয়ে দর্শকদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্র। পরিচালনার পাশাপাশি আলাদা আলাদা তিনটি ভালোবাসার গল্পে ছবির চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা, গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি। এতে আরও অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রাইমা সেন, অর্জুন চক্রবর্তী, সৌরসেনী মৈত্রা।

ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে অঞ্জন দত্তের ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ ছবিটি দেখানো হবে
ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে অঞ্জন দত্তের ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ ছবিটি দেখানো হবে

জানা গেছে, সমাজ যে সম্পর্কগুলোর প্রতি উদাসীন, কিংবা আড়চোখে তাকায় সেই সমীকরণকেই চলচ্চিত্রে এনেছেন পরিচালক অঞ্জন দত্ত। তিনটি ভিন্ন গল্পকে এক কেন্দ্রবিন্দুতে মিলিয়ে দেওয়ার গল্প ‘ফাইনালি ভালোবাসা’। ছবির প্রথম গল্পের নাম ইনসমনিয়া। সরকার একজন শিল্পপতি। তার সেক্রেটারির পদে যোগ দিয়েছে বিবেক। কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরই সে সরকারের স্ত্রী মালবিকার প্রেমে পড়ে যায়। এরপর তাকে নিয়ে পালানোর ছক। টাকার লোভে তাদের সাহায্য করে বিবেকের সহকর্মী সল্লু। দ্বিতীয় গল্প আর্থারাইটিস। আহিরী একটি উঠতি ব্যান্ডের সদস্য। ট্রাম্পেট বাজায়। মাদকে আসক্ত। একদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আসেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট দীনেশ। এরপর অসমবয়সী দুজনের মধ্যে প্রেম। তৃতীয় গল্পের নাম এইচআইভি পজেটিভ। একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জয়। চেয়েছিল অভিনতা হতে। কিন্তু এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার পর আত্মীয়রা তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে। শেষে খোলা হাওয়ায় নিশ্বাস নিতে একজনের হাত ধরেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

গানের মানুষ হিসেবেই বেশি পরিচিত শিল্পী অঞ্জন দত্ত। কিন্তু চলচ্চিত্র ও মঞ্চনাটকেও রয়েছে তাঁর পদচারণ। গেল জুলাই মাসে ঢাকায় অঞ্জন দত্ত এসেছিলেন মঞ্চনাটক নিয়ে। বেইলি রোডের মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনের মঞ্চে দল নিয়ে অভিনয় করেছিলেন তিনি। আর্থার মিলারের ‘ডেথ অব এ সেলসম্যান’ অবলম্বনে ‘সেলসম্যানের সংসার’ নাটকটি তৈরি করেছেন অঞ্জন দত্ত। এই নাটকে মধ্যবিত্ত সমাজের সংকট ধরতে চেয়েছেন পরিচালক।