উপমহাদেশের নারীরা কর্মে বিরতিহীন: নাদিয়া

নাদিয়া আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে
নাদিয়া আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে

অভিনেতা মাজনুন মিজান ও নাদিয়া আহমেদের হাসিখুশিমাখা বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছেড়ে দেন নির্মাতা সকাল আহমেদ। সেই পোস্টের বেশ কয়েকটি ছবিতে এই দুই অভিনয়শিল্পীকে খুব হাসিখুশি অবস্থায় দেখা যায়। নির্মাতা ছবিগুলো ট্যাগ দিয়েছেন এই দুই তারকাকে। পোস্টে লেখেন ‘ওরে খুশি মিজান’।

শুটিং সেটে কী কারণে এমন খুশির উদয় হলো, জানতে চেয়ে অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ছবিতে হাসির প্রসঙ্গে ধরেই কথা শুরু করে জানতে চাই, এমন হাসির কারণ কী? প্রশ্ন শুনেই হেসে দেন নাদিয়া। শুনে নাদিয়া বলেন, ‘খুশির অনেক কিছুই ছিল। নাটক করতে গিয়ে অনেক মজার ঘটনা ঘটে। মাজনুন ভাইয়ের মজা করে কথা বলা, দৃশ্য ধারণের সময় ক্যামেরার পেছন থেকে নির্মাতা এমন সব কথা বলেন, সেগুলো প্রচণ্ড হাসির খোরাক জোগায়। সেসব কথা বলা যাবে না। তবে হাসির কথা। সেই সময়েই ছবিটি মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেছেন নির্মাতা। তিনি স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন মজা করে। মূল লক্ষ্য সামাজিক যোগাযোগের বন্ধু, অনুসারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তাঁরা যেন কাজটি দেখেন। কাজটি করতে গিয়ে মনে হয়েছে, বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে গল্পটিতে আমাদের দর্শকদের দেখা উচিত। এটাও একধরনের প্রচার বলতে পারেন।’

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বোঝা গেল, এই হাসিখুশি নাটকের দর্শকদের মনোযোগ ফেরাতেই একধরনের প্রচার। নাটকের নাম ‘বিরতিহীন নারী’। নাটকটি নারী দিবস উপলক্ষে আজ ৮ মার্চ প্রচারিত হয়েছে। কেন নাটকটি দর্শকদের দেখা উচিত, সে সম্পর্কে নাদিয়া জানান, ‘আমাদের উপমহাদেশের নারীর গল্প এটি। আমরা “বিরতিহীন নারী”। অনেকে গৃহিণী তাঁরা ঘরে কাজ করেন, আবার অনেক নারী বাইরে কাজ করে এসে ঘরের কাজ করেন। তাঁরা উভয়ের কাজই বিরতিহীনভাবে চলে। আমাদের উপমহাদেশের নারীরা কর্মে বিরতিহীন। নাটকটিতে নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন। সংসারে নারীর অনেক রূপ থাকে। কাজের মধ্যে দিয়ে নারীর এই রূপ বিরতিহীন।’ নিজের পরিবারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও একজন কর্মজীবী নারী। আমার বাইরে অনেক কাজ থাকে। আবার ঘরের কাজও করতে হয়। নাটকের চরিত্রটি করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশির আমার মায়ের কথা মনে পড়েছে। আমার চরিত্রের মতো মা–ও সেই সকাল থেকে দুপুর, রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করেন। ঘুমোতে যাওয়ার আগেও নিজের চিন্তা না করে সন্তানের চিন্তা করছেন। কিছু দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে মাকে মিস করেছি।’

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সংসারে নারীর কাজের কোনো বিরতি নেই, সেটাই নাটকের গল্পে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নাটকটি লিখেছেন ইদ্রিস আলী। নির্মাতা সকাল আহমেদ প্রায় ৩০০ নাটক বানালেও নারী দিবসের জন্য এটি তাঁর প্রথম নির্মাণ।