চুপিসারে কাজ শেষ করতে চেয়েছিলাম

ফেরদৌস। ছবি: প্রথম আলো
ফেরদৌস। ছবি: প্রথম আলো
>

নতুন চলচ্চিত্র হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি–এর কাজ শেষ করেছেন ফেরদৌস। এদিকে শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় নির্মীয়মাণ বঙ্গবন্ধুর জীবনী চিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সেসব নিয়ে কথা বললেন প্রথম আলোর সঙ্গে।

‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ ছবিটির কাজ শুরু করেছিলেন কবে?
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ছবির কাজ শুরু করি। পাঁচ মাস ধরে চলে শুটিং। ছবিতে আমি একজন থিয়েটারকর্মী। আমাদের দলের কাছে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করার প্রস্তাব আসে। ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে ছবিটি তৈরি হয়েছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোনো চরিত্রই আসবে না, আবার সব চরিত্রই ঘুরেফিরে আসবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন, দর্শন সবই ফুটিয়ে তোলা হবে।

ছবিতে আপনার বিপরীতে কে অভিনয় করেছেন?
আমরা একেবারে চুপিসারে কাজ শেষ করতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, শুটিং শেষে ছবিটির ব্যাপারে সবাইকে জানাব। ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছে শর্মীমালা ও সোহানা সাবা।

ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা কবে ও কীভাবে?
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি চলচ্চিত্র উৎসব হওয়ার কথা ছিল। এখন তো সব শিডিউলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন ভাবনাটা হচ্ছে, ছবিটি সিনেপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি দেওয়া হবে।

শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় নির্মীয়মাণ বঙ্গবন্ধু জীবনীচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আপনি প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আপনার অংশের শুটিং কবে?
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক বাংলাদেশের একটি ইতিহাস হতে যাচ্ছে। এই ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া ইতিহাসের অংশ হওয়ার মতো। ছবিটিতে কাজ করার ব্যাপারে আমাকে যতবার ডেকেছে কর্তৃপক্ষ, আমি দেখা করেছি, অডিশন দিয়েছি। তবে এত বড় চরিত্র পাব প্রথমে ভাবিনি। আমি যখন শুনলাম তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছি, অসম্ভব খুশি হয়েছি। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে তাঁর নামটিও জড়িয়ে আছে। ভেবেছিলাম, আজ-কালের মধ্যে চরিত্রটি নিয়ে বসব। কিন্তু শুনলাম, সবকিছুই পিছিয়ে যাচ্ছে।

আর কী করছেন?
গাঙচিল ছবির সিকোয়েন্সের কাজ শেষ করলাম। এখন তিনটি গানের শুটিং বাকি। যদি আরেকটু সময় পেতাম নামে একটি ছবির কাজ শেষ করেছি। এই ছবির পুরো শুটিং করেছি লন্ডনে। এ ছবিও মুক্তির পরিকল্পনা চলছে।

চলচ্চিত্র এখন কোথায় দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে করেন?
আমার তো মনে হয়, এ মুহূর্তে চলচ্চিত্র ভালো নেই। নানাবিধ সমস্যা। এর মধ্যেও ভালো কিছু কাজ হচ্ছে। তবে সংখ্যায় সেটা খুবই কম। কয়েক বছর আগে তো যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নিয়মিত হতো, এখন তা হচ্ছে না। যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নিয়মিত হলে বাংলাদেশের সিনেমা আরও উন্নত হতো।