নাটকের সবচেয়ে বড় সংকট লেজুড়বৃত্তি

ইরফান সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত
ইরফান সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত
>

২০১৩ সালে একটা রিয়েলিটি শোর বিজয়ী হবার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আজকের ইরফান সাজ্জাদ। এরপর তাঁকে নিয়মিতই দেখা গেছে ছোট পর্দায়। ক্যারিয়ারে যোগ হয়েছে তিনটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। স্বাস্থ্যসচেতন এই তারকার বর্তমান ব্যস্ততা আর জীবনযাপন নিয়ে কথা হলো মুঠোফোনে।

কোথায় এখন?
পুবাইলে। একটা ‘সিনেমার মতো নাটকের’ শুটিং করছি। নাম জানলার ওপারে। এ রকম ৬টা বা ৮টা গল্প নিয়ে একটা সিরিজ প্রচারিত হবে আগামী মাস থেকে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে গল্প প্রচারিত হবে। একেবারে সিনেমার গল্প। এভাবেই প্রতিদিন আমরা এক একটা সিনেমার গল্প দিয়ে নাটক বানিয়ে ফেলি।

কেন সিনেমার গল্পে নাটক বানাই?
এইটার কথাই ধরেন। পরিচালক প্রথমে বললেন, তিনি পাঁচ দিন সময় চান। আমি রাজি। পরে তিনিই জানালেন, প্রযোজক রাজি হচ্ছে না, তিন দিনেই শুটিং শেষ করতে হবে। বাজেট সংকট একটা বড় সমস্যা। যে তরুণেরা সিনেমা বানাতে চায়, নানান জটিলতায় তারা সিনেমা বানাতে এসে নাটক বানায়। পরে নাটকের পরিচালক হয়ে যায়।

ইরফান সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত
ইরফান সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত


নাটকের সবচেয়ে বড় সংকট কী?
লেজুড়বৃত্তি। ধরেন, যেকোনো দিন ‘অ্যাকশন’ বলে নাই, তাঁকে ‘ডিরেকশনে’ দিয়ে দেওয়া। তাই যোগ্য মানুষ সঠিক কাজটা পাচ্ছে না।

নাটকের ‘ভিউ’ আপনার কাছে কতটা জরুরি?
ভিউ মানেই যে ভালো, এমনটা মোটেই নয়। অসংখ্য হালকা গল্পের কাজ অসংখ্য ভিউ পাচ্ছে। তা দিয়ে মান নির্ধারণ করা যাবে না। আমি তাই সব রকম কাজ করার চেষ্টা করি। আমার কাজের ক্ষেত্রে গল্পের গভীরতা থাকতেই হবে।

ইরফান সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত
ইরফান সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত


আপনার অভিনীত ৩টা নাটকের নাম বলেন, যেগুলো দর্শককে দেখতে বলবেন...
বেড সিন। আমার সবচেয়ে প্রিয় নাটক। এই নাটকটা আমি আমার মাকে নিয়ে দেখেছিলাম। আমাদের গল্পটা এমন হতে পারত আর হ্যালো নাইন ওয়ান ওয়ান লাভ ইমার্জেন্সি।

করোনা নিয়ে কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
আমি কোনো কিছু নিয়ে আতঙ্কিত নই, হই না।

ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার কাছের বন্ধু কারা?
আমি একটু ঘরকুনো ধরনের। কাজ শেষ করে বাড়ি চলে যাই। তবে পরিচালক শাফায়েত মনসুর রানা আমার খুবই কাছের মানুষ। আরেকজনের কথা বলতেই হবে। না হলে মার খাব। বিদ্যা সিনহা মিম। 

ইরফান সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত
ইরফান সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত


আপনার প্রিয় অভিনয়শিল্পী কারা?
বাংলাদেশে সবার আগে হুমায়ুন ফরীদি। তা ছাড়া আহমেদ রুবেল আর আফরান নিশোর অভিনয় আমার ভালো লাগে। সুবর্ণা মুস্তাফা আর রুনা খানের অভিনয়েরও ভক্ত আমি। আর হলিউডের ক্রিস্টিয়ান বেল অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমার আইডল।

সর্বশেষ কোন বাংলাদেশি সিনেমা দেখলেন?
সবশেষ দেখেছি সাপলুডু। খুব একটা ভালো লাগেনি। দেবী দেখে খুব ভালো লেগেছিল। একেবারে অন্য রকম, এই ধরনের ছবি তো হয় না বললেই চলে। আর কাঠবিড়ালী ছবিটা দেখার ইচ্ছা ছিল। এরপর কোথাও প্রদর্শনী হলে ছবিটা দেখে নেব।