ফ্রেন্ডস আসবে কি আসবে না, কেউ জানে না

ফ্রেন্ডসের নতুন পর্ব আসা অনিশ্চিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ফ্রেন্ডসের নতুন পর্ব আসা অনিশ্চিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

গত শতকের জনপ্রিয়তম টিভি সিরিজ ‘ফ্রেন্ডস’ ফিরবে, পাকা কথা দিয়েছিলেন ম্যাথিউ পেরি, জেনিফার অ্যানিস্টোনসহ অন্যরা। সেই ঘোষণা ভক্তদের এতটাই আলোড়িত করেছিল যে এক পোস্টের কারণে পুরো ইনস্টাগ্রাম ক্রাশ করতে বসেছিল। কিন্তু হায়, সব দেওয়া কথা কি রাখা যায়? এই যেমন করোনার কারণে আপাতত স্থগিত ফ্রেন্ডস রিইউনিয়ন। হলিউড রিপোর্টারের এক প্রতিবেদন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ফ্রেন্ডসের নারীরা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ফ্রেন্ডসের নারীরা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কথা ছিল, মার্চের ২০ তারিখ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার বারব্যাংকে শুরু হবে শুটিং। আর মে মাসে আত্মপ্রকাশ করার কথা নতুন স্ট্রিমিং সাইট এইচবিও ম্যাক্স। আর এই স্ট্রিমিং সাইটে মে মাসেই মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ‘ফ্রেন্ডসে’র বিশেষ পর্ব।

১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্কে প্রচারিত হয়েছিল ফ্রেন্ডস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্কে প্রচারিত হয়েছিল ফ্রেন্ডস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

প্রত্যাবর্তনের এই বিশেষ পর্ব তৈরি করছে এইচবিও ম্যাক্স। একটি মাত্র বিশেষ পর্বের জন্যই পুরো ‘ফ্রেন্ডস’ শিল্পীরা দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার এক হতে যাচ্ছিলেন। এই এক পর্বের জন্য প্রত্যেক শিল্পীর পারিশ্রমিক ছিল ২৫ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা)। কিন্তু আপাতত সব বন্ধ। কবে হবে শুটিং, আর কবে ভক্তরা দেখবেন এই ছয় বন্ধু ডেভিড (শুইমার), জেনিফার (অ্যানিস্টন), কার্টনি (কক্স), ম্যাট (লিব্ল্যাঙ্ক), লিসা (কুডরো) ও ম্যাথিউকে (পেরি), তা এখন অনিশ্চিত।

ছবিটি ছিল জেনিফার অ্যানিস্টোনের প্রথম ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। এই ছবির নিচে জড়ো হয়েছে দেড় কোটির বেশি লাইক। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ছবিটি ছিল জেনিফার অ্যানিস্টোনের প্রথম ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। এই ছবির নিচে জড়ো হয়েছে দেড় কোটির বেশি লাইক। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্কে প্রচারিত হয়েছিল চিত্রনাট্যহীন এই শো, ‘ফ্রেন্ডস’। ২০০৪ সালে এই জনপ্রিয় সিটকম টিভি সিরিজের শেষ পর্বটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে দেখেছিলেন ৫ কোটি ২৫ লাখ দর্শক।

এরপর এ প্রজন্মের কাছে এই সিরিজ নিয়ে আসে নেটফ্লিক্স। ১৫ বছর আগে শেষ হয়ে যাওয়া সিরিজটি এখনো তরুণদের কাছে জনপ্রিয়। ২০১৮ সালে নেটফ্লিক্সের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে এটি সর্বোচ্চবার দেখা কোনো সিরিজ, আর যুক্তরাজ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।