বড় দেরি করে দেখা হলো

অনেক দিনের চেনাজানা, কাজের সূত্রে একসঙ্গে ওঠবস তাঁদের। দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছেন, হয়তো শুটিং করছিলেন পাশাপাশি ফ্লোরে। একই অনুষ্ঠানে নাচতে হয়েছে, টিভিতে একই টক শোতে অতিথিও হয়েছেন হয়তো। শুধু প্রেক্ষাগৃহের বিশাল পর্দায় একসঙ্গে দেখা যায়নি দুজনকে!

ঢালিউডে এ রকম কিছু জুটির অন্যতম অপু বিশ্বাস ও বাপ্পি চৌধুরী। অনেক দিনের চেনাজানা তাঁদের। সম্প্রতি চূড়ান্ত হয়েছে এ জুটির প্রথম ছবি শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু। ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রং’ ছবিতে অভিষেক হয় বাপ্পির। তত দিনে চলচ্চিত্রে অর্ধযুগ কাটিয়ে দিয়েছেন অপু। শাকিবের সঙ্গে সফল জুটি ভেঙে যায় বছর তিনেক আগে। তখনই অন্য নায়কদের সঙ্গে ছবি করার সম্ভাবনা তৈরি হয় অপুর।

গত বছর অপু-বাপ্পিকে জুটি করে নিজের প্রথম ছবি শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-এর সিকুয়েল নির্মাণের উদ্যোগ নেন দেবাশীষ বিশ্বাস। চলচ্চিত্রে সাত বছর কাটানোর পর অপুকে নায়িকা হিসেবে পান বাপ্পি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে অপুর সঙ্গে তেমন জানাশোনা ছিল না তাঁর। ‘বুঝিনি আমাদের জুটিকে কীভাবে নেবেন দর্শকেরা। ছবির গান মুক্তির পর মনে হচ্ছে ভালোভাবেই নেবেন,’ নিজের প্রত্যাশার কথা জানান অপুর নতুন নায়ক বাপ্পি।

এ মাসের প্রথম দিনে মহরত হয়ে গেল ব্লাড ছবির। এ ছবিতে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন ইমন ও মাহি। এফডিসিতে মহরতের দিন সবার সামনেই মাহি বলেছিলেন নায়িকা হওয়ার আগে ইমনের প্রতি তাঁর মুগ্ধতার কথা। ২০১২ সালে মুক্তি পায় ইমন অভিনীত লাল টিপ। ছবির প্রচারণার জন্য মাহির স্কুলে গিয়ে বাড়িয়ে দেন তাঁর হৃৎস্পন্দন। তাঁকেই নায়ক হিসেবে পাওয়ার ঘোষণার এ তথ্য সবাইকে জানিয়েছেন মাহি। এত বছর চলে গেলেও কেউ মাহি ও ইমনকে জুটি করেননি। অবশেষে মাহি-ইমনকে পর্দায় আনছেন পরিচালক ওয়াজেদ আলী।

‘সেই তো আবার কাছে এলে’ গানের কথায় যেন লুকানো পূর্ণিমা ও আরিফিন শুভ জুটির গল্প। দুজনের দেখা হয়েছিল দশ বছর আগে। উপলক্ষ, মোস্তফা কামালের সিনেমা ছায়াছবি। তার বছরখানেক আগে ঢালিউডে কাজ শুরু করেছেন শুভ, আর পূর্ণিমা তত দিনে প্রায় এক যুগ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ছায়াছবিতে জুটি বাঁধলেও আলোর মুখ দেখেনি সেই ছবি। এত বছর পর আবারও জুটি হয়েছেন শুভ ও পূর্ণিমা। নঈম ইমতিয়াজ পরিচালিত জ্যাম ছবিতে দুজনকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা। গল্পের চাহিদা থেকেই শুভ ও পূর্ণিমাকে এক ফ্রেমে বন্দী করেছেন বলে জানান পরিচালক। তিনি বলেন, ‘যাঁরা বড় শিল্পী, তাঁরা যেকোনো শিল্পীর সঙ্গেই মানিয়ে নিতে পারেন। শুভ-পূর্ণিমাও একাত্ম হয়ে আমার ছবিতে কাজ করেছেন। একজন করেছেন সাংবাদিকের চরিত্র, আরেকজন প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পীর। দুজনকে মানিয়েছেও বেশ।’