করোনার দিনে যে কারণে রাস্তায় নায়িকা

বন্ধু, সহকর্মীদের নিয়ে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন মিষ্টি জান্নাত। ছবি: প্রথম আলো
বন্ধু, সহকর্মীদের নিয়ে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন মিষ্টি জান্নাত। ছবি: প্রথম আলো

দেশের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। সেই ঝুঁকির মধ্যেই বেঁচে থাকার তাগিদে নিম্ন আয়ের দিনমজুরেরা রাস্তায় নামছেন প্রতিদিনই। তাঁদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে রাস্তায় নামলেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। তাঁর নিজের গড়া ডাক্তারদের একটি প্রতিষ্ঠান ‘বিং হিউম্যান’-এর ব্যানারে রিকশাওয়ালা, চা–ওয়ালাসহ নিম্ন আয়ের পথচারীদের মধ্যে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জরুরি সামগ্রী বিতরণ করলেন তিনি। কাল বিতরণ করবেন চার শ কেজি চাল।

এমবিবিএস, সার্জারি ও ডেন্টাল সার্জনদের নিয়ে তৈরি এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৭ কর্মী শাহবাগ, শ্যামলী ও মিরপুরে প্রায় দুই হাজার মাস্ক, দুই হাজার সাবান এবং তাঁদের নিজ হাতে তৈরি দুই হাজারের মতো স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশ বিতরণ করেন। বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত দ্রব্যসামগ্রীগুলো ওই সব শ্রেণি–পেশার মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মিষ্টি জান্নাত। ছবি: ফেসবুক থেকে
মিষ্টি জান্নাত। ছবি: ফেসবুক থেকে

মিষ্টি জান্নাত বর্তমানে দন্ত চিকিৎসায় ইন্টার্ন করছেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীজুড়ে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। দেশে দেশে বহু মানুষ প্রতিদিনই আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। আমাদের মতো দেশে নিম্ন আয়ের মানুষ অতটা সচেতন নন। তাঁরা প্রতিদিনের আয়ের ওপর বেঁচে থাকেন। তাঁরা নিজের জীবন, পরিবার কীভাবে চলবে, সেই ভাবনা নিয়ে প্রতিদিন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। এ অবস্থার মধ্যে তাঁদের একটু সচেতনতা তৈরি করার জন্যই কাজটি করলাম। তা ছাড়া এসব দ্রব্যসামগ্রী কেনারও বাড়তি অর্থ হয়তো তাঁদের নেই। তাই আমাদের অল্প–বিস্তর যে সামর্থ্য আছে, তা দিয়েই এসব মানুষকে সহযোগিতা করতে চেয়েছি।’

এই অভিনেত্রী জানান, তাঁর নিজ উদ্যোগে আগামীকাল এফডিসিতে প্রায় চার শ কেজি চাল বিতরণ করবেন। তার মধ্যে দুই শ কেজি স্বল্প আয়ের শিল্পীদের ও দুই শ কেজি টেকনিশিয়ানদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এ সময় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতির নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি।

মিষ্টি জান্নাত বর্তমানে দন্ত চিকিৎসায় ইন্টার্ন করছেন। ছবি: প্রথম আলো
মিষ্টি জান্নাত বর্তমানে দন্ত চিকিৎসায় ইন্টার্ন করছেন। ছবি: প্রথম আলো

মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘চলচ্চিত্রের অনেক শিল্পী, কলাকুশলীরা আছেন, যাঁরা প্রতিদিনের আয় থেকে সংসার চালান। এখন শুটিং, ডাবিংসহ চলচ্চিত্রের সব কাজ বন্ধ। আমার কাছে মনে হয় তাঁরা বেশ বিপদে আছেন। এ জন্য আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাইছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার যতটুকু পরিচয় হয়েছে, এই ইন্ডাস্ট্রি থেকেই হয়েছে। এখানকার মানুষের সঙ্গে সুখ–দুঃখে একসঙ্গে থাকতে চাই।